নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর ভাষানটেক থানা এলাকায় ৮ম শ্রেনীর শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ও পর্নোগ্রাফি আইনে ০৩ বছর সশ্রম কারাদন্ড সাজাপ্রাপ্ত আসামি মোঃ আবু আব্দুল্লাহ সিকদার (৩৫) কে দীর্ঘ ০৫ বছর পলাতক থাকার পর ডিএমপির উত্তরা থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-২।

বাংলাদেশ আমার অহংকার এই স্লোগান নিয়ে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরনের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোড়ালো ভূমিকা পালন করে আসছে।

র‌্যাবের সৃষ্টিকাল থেকে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ উদ্ধার, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস, খুনী, ছিনতাইকারী, অপহরণ প্রতারকদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে চাঞ্চল্যকর অপরাধে জড়িত দীর্ঘদিনের পলাতক দন্ডপ্রাপ্ত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে র‌্যাব জনগণের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

রাজধানীর ভাষানটেক থানা এলাকায় ৮ম শ্রেনীর শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ও পর্নোগ্রাফি আইনে ০৩ বছর সশ্রম কারাদন্ডপ্রাপ্ত আসামি মোঃ আবু আব্দুল্লাহ সিকদার (৩৫), পিতা- মোঃ মাকসুদ উল্লাহ সিকদার, থানা- হাইমচর, জেলা- চাঁদপুর’কে গতকাল ০৩/০৪/২০২৪ ইং তারিখ আনুমানিক রাত ২২.৫০ ঘটিকায় দীর্ঘ ০৫ বছর পলাতক থাকার পর ডিএমপির উত্তরা থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব- ২।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম তার পরিবারের সাথে ঢাকার ভাষানটেক এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতো। ভিকটিমের পার্শ্ববর্তী ভাড়াটিয়া মোঃ আবু আব্দুল্লাহ শিকদার (৩৫) ভিকটিমকে একা পেলে প্রায়ই উত্যক্ত করত। ভিকটিম লোকলজ্জায় কাউকে বিষয়টি বলতে পারে নাই।

সর্বশেষ ১৯-০৪-২০১৯খ্রিঃ রাত অনুমান ২৩.০০ ঘটিকায় ভিকটিমকে একা পেয়ে জোরপূর্বক তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে এবং গোপনে ভিডিও ধারন করে। ভিকটিম যাতে বিষয়টি কাউকে না বলে এর জন্য আসামি মোঃ আবু আব্দুল্লাহ শিকদার ধর্ষনের ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয়ভীতি প্রদর্শন করে।

পরবর্তীতে আসামি ভিকটিমের এক আত্বীয়ের ফেসবুক, ম্যাজেঞ্জার আইডিসহ বিভিন্ন আইডিতে ভিকটিমের ধর্ষণের ভিডিও চিত্র ছড়িয়ে দেয়।

পরবর্তীতে উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে ভাষানটেক থানায় ভাষানটেক থানার মামলা নং- ২৮/৯৫, তারিখঃ ২৭/০৪/২০১৯ ইং, ধারা- ৯(১) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩) তৎসহ পর্নোগ্রাফী নিয়ন্ত্রন আইন ২০১২ এর ৮(২)(৩) দায়ের করেন। মামলা হওয়ার পর থেকে আসামি আত্মগোপনে ছিল।

পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলার তদন্ত শেষে আসামির বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে চার্জশিট প্রদান করেন। বিজ্ঞ আদালত বিচারকার্য শেষে আসামির বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড এবং এক লক্ষ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ০৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং পর্নোগ্রাফি আইনে ০৩ বছর সশ্রম কারাদন্ড ও এক লক্ষ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ০৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান পূর্বক গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যু করেন।

বর্ণিত মামলায় জড়িত আসামিকে গ্রেফতার সংক্রান্তে ভাষানটেক থানার অফিসার ইনচার্জ এর অধিযাচন পত্রের প্রেক্ষিতে উক্ত ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে র‌্যাব এ বিষয়ে আসামিকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।

এরই ধারাবাহিকতায়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-২ এর একটি আভিযানিক দল তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গতকাল ০৩/০৪/২০২৪ ইং আনুমানিক রাত ২২.৫০ ঘটিকায় ডিএমপি ঢাকার উত্তরা থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃত আসামিকে ভাষানটেক থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। শিহাব করিম সিনিঃ এএসপি সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) পক্ষে অধিনায়ক মোবাঃ ০১৭৭৭-৭১০২০৩