বাংলাদেশ ০৯:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
জেলা পরিষদের সদস্য ও বাইশারীর কৃতি সন্তানদের গণসংবর্ধনা চট্টগ্রামে আঞ্চলিক গানের কিংবদন্তি শিল্পী শেফালী ঘোষ সরকারি চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎকারি শীর্ষ প্রতারক হাবিবুল্লাহ হাবিব কারিকরকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। জিয়া সেতুতে অবৈধ ডাম্প ট্রাক না চলার হুঁশিয়ারি ঘূর্ণিঝড় সিডর স্মরণে রাঙ্গাবালীতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন। কালুরঘাট সেতুর কাজ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে : সেতু উপদেষ্টা ব্রাহ্মণপাড়ায় বিপুল পরিমাণ মাদক ও অবৈধ ভারতীয় মালামাল জব্দ পীরগঞ্জে আবু সাঈদের কবর জেয়ারত করেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক। ইন্দুরকানিতে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল পিরোজপুরে জোড়া খুন এর মামলায় ২১ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী খাগড়াছড়ি থেকে গ্রেপ্তার বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে আলোচনা ও আপনজন সম্মাননা চাঁদা আদায়ের উদ্দেশ্যে অপহৃত মসজিদের ইমাম হাফেজ সোলাইমান কে উদ্ধার অপহরণকারী দাদনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। নাটোরে ভোরের চেতনা পত্রিকার ২৬ তম বর্ষপূর্তী উদযাপিত। বিস্ফোরক আইনে প্রধান শিক্ষক শফিক গ্রেফতার বিএনপি নেতা – কর্মীদের ওপর বোমা হামলার অভিযোগ

পেকুয়ায় আদর্শ মহিলা মাদ্রাসার সভাপতির বিরুদ্ধে ১০ লক্ষ টাকা লোপাটের অভিযোগ

আপডেট সময় ১১:২৫:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ মে ২০২৪
পেকুয়া প্রতিনিধি;
কক্সবাজারের পেকুয়ায় আদর্শ মহিলা মাদ্রাসায় সভাপতির বিরুদ্ধে মোটাংকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বেতন ভাতার প্রায় ১০ লক্ষ ৩৭ হাজার টাকা লোপাটের গুরুতর তথ্য ফাঁস করেছে প্রতিষ্ঠানটির ৩ জন এমপিওভূক্ত কর্মচারী। চাকুরী এমপিও ও স্থায়ীকরণের কথা বলে মাদ্রাসার ৩ জন কর্মচারীর কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে এ বিপুল অর্থ। অপরদিকে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতনভাতার বিপুল অংকের টাকা পকেটে গেছে সভাপতির।
এতে করে পেকুয়ায় আদর্শ মহিলা মাদ্রাসায় সভাপতি মাওলানা কামাল হোসেন ও শিক্ষক-কর্মচারীদের দ্বন্ধ প্রকট আকার ধারণ করেছে। মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার ২৪ বছর পেরিয়ে গেছে। ওই সময় থেকে ১ জনই সভাপতি। একাডেমিক ও প্রশাসনিক দুটি দায়িত্ব তিনি প্রকাশ্যে অথবা নেপথ্যে থেকে পালন করেন। একাডেমিক কার্যাবলী সম্পাদনে আছে কমিটি। এস.এম.সি কমিটি শুধুমাত্র নামেই আছে। কাজে কমিটির কোন প্রকার নেই গুরুত্ব। সভাপতিই সবকিছুর নিয়ন্ত্রক। মাদ্রাসাটির খোদ প্রশাসনিক কার্যক্রম যিনি দেখভাল করেন তিনিও সভাপতির কাছে অনেকটা অসহায়। সভাপতি যেভাবে বলেন সুপার সাহেব সেভাবেই কার্যভার সম্পাদন করেন।
এক কথায় বলতে গেলে, ওই মাদ্রাসার সব হর্তা কর্তা একজনই। তিনি হলেন মাওলানা কামাল হোসেন। পেকুয়ায় আদর্শ মহিলা মাদ্রাসায় বড় ধরনের অনিয়মের তথ্য ফাঁস হয়েছে। দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও অনিয়মকে ঘিরে সভাপতি শিক্ষক কর্মচারীদের মধ্যে বিগত কয়েক বছর ধরে স্নায়ুদ্বন্ধ দেখা দিয়েছে।
এতে করে মাদ্রাসাটির শিক্ষা ব্যবস্থায় স্থবিরতা চলমান রয়েছে। ৩ জন কর্মচারীর ১০ লক্ষ ৩৭ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ৩ জন ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীর বেতন ভাতার টাকা চলে যায় সভাপতির পকেটে। বেতনভাতা পাননি এ ৩ জন কর্মচারী। তারা নিয়মিত চাকুরীও করেন। তবে অর্ধাহারে অনাহারে দিনাযাপন করছে। বেতন নিয়ে সভাপতি মাওলানা কামাল হোসেনের সাথে এ ৩ জনের বাকবিতন্ডা হয়েছে।
সম্প্রতি এ নিয়ে মাদ্রাসায় অচলাবস্থা তৈরী হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য মাদ্রাসা সুপার এস.এম.সির বৈঠক ডেকেছে। কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর জামাল হোসেন, নিরাপত্তা কর্ম্যী মিনারুল ইসলাম ও নৈশ প্রহরী হাসান শরীফসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে। এক সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। শনিবার (১১ মে) সকালে মাদ্রাসায় এস.এম.সি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ ব্যাপারে মাদ্রাসার অফিস সহকারী জামাল হোসেন জানান, আমরা এমপিওভূক্ত কর্মচারী। সভাপতি আমাদের সব টাকা আত্মসাত করছে। ২০২২ সালের ২২ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠানটির এমপিওভূক্ত হয়। আমরা অনেক আগের কর্মচারী। এক সময় বেতন পেতাম না। এখন এমপিও হয়েও বেতনের সব টাকা সভাপতির পকেটে চলে যায়। প্রতিবাদ করলে করা হয় হয়রানি।
নিরাপত্তাকর্মী মিনারুল ইসলাম জানান, এমপিওভূক্ত হয়েছি। কিন্তু বেতন ভোগ করেন সভাপতি। চাকুরী এমপিওভূক্ত করার সময় নাকি তার টাকা খরচ হয়েছে। ওই টাকা আমাদের বেতন থেকে কেটে নেওয়া হচ্ছে।
নৈশ প্রহরী হাসান শরীফ জানান, আমরা মানবেতর জীবন যাপন করছি। পাচ্ছি না বেতন ভাতা। সব টাকা এক জনের পকেটে যায়। কিছু বললে চাকুরী হারানোর ভয় দেখায়। গালিগালাজ করে আমাদেরকে। আবার সুপার মহোদয়কে দিয়ে কারণ দর্শানো নোটিশও দিয়েছে। এ বৈষম্যের বিচার কোথায় পাবো?
অভিভাবক সদস্য মাষ্টার এনামুল হক জানান, বৈঠক ডেকেছিল। আমি গিয়েছিলাম। আসলে তারা গরীব ও অসহায়। এদের চাকুরী নিয়ে কেন ষড়যন্ত্র হবে। দোষ করলে বিচার করবো। কিন্তু চাকুরী নিয়ে বাড়াবাড়ি করা যাবে না।
মাদ্রাসার দাতা সদস্য মো: সাজ্জাদ বলেন, এ রকম সভাপতি বাংলাদেশে কোন প্রতিষ্ঠানে আছে কিনা আমি জানিনা। শিক্ষক-কর্মচারীরা বড় ধরনের বৈষম্যের মধ্যে আছে। এর সব দায় শুধু একক ব্যক্তি কামাল হোসেন। সবকিছু অনিয়মের মধ্যে হয় এখানে।
মাদ্রাসার সুপার এমকে, জব্বারিয়া মাসুম জানান, ২০০৪ সাল থেকে এ ৩ জন কর্মচারী মাদ্রাসায় নিয়োগ হয়েছে। এখনতো তারা এমপিওভূক্ত। সভাপতির সাথে নাকি তারা দুর্ব্যবহার করেছে। তাই নোটিশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি নিয়মের মধ্যে রাখতে আমি চেষ্টা করছি।
এ ব্যাপারে মাদ্রাসার সভাপতি মাওলানা কামাল হোসেন জানান, তারা শৃংখলা পরিপন্থী কাজে লিপ্ত রয়েছে। অপকর্মের কারণে এদেরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। এখানে আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য নয়।
পেকুয়া উপজেলা মাধ্যমিক একাডেমিক সুপারভাইজার উলফাত জাহান চৌধুরী জানান, সভাপতি সম্পর্কে আগেও কিছু অনিয়মের কথা আমাদের জানানো হয়েছিল। তবে লিখিত অভিযোগ দিতে হবে।
পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: সাইফুল ইসলাম জানান, আমিতো এখানে এসেছি বেশিদিন হয়নি। প্রতিষ্ঠান নিয়ে কোন অনিয়মকে প্রশ্রয় দেওয়া হবেনা।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার (ডিটিও) মো: নাছির উদ্দিন জানান, অধিদপ্তর পৃথক। মাদ্রাসা পরিচালনায় স্বতন্ত্র কর্তৃপক্ষ আছে। এরপরও লিখিত অভিযোগ পেলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারি।