উজ্জ্বল কুমার দাস, কচুয়া (বাগেরহাট) প্রতিনিধি।।
বাগেরহাটের কচুয়ায় হতদরিদ্র অসহায় বিধবা রমিছা বেগম(৪৮) এর বসতঘরে পরিকল্পিত অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে রমিছা বেগম ও এলাকাবাসী জানান, আজ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে পরিকল্পিত ভাবে তার বসত ঘরে আগুন দেওয়া হয়।এ ঘটনার সাথে রমিছা বেগমেরর পালিত ভাগীনা রিয়াজ শেখ জড়িত রয়েছেন বলে জানান তারা।আরো জানান পূর্বপরিকল্পিত ভাবে উচ্ছেদ করার জন্য এর আগেও বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা করেছে।
অনুসন্ধানে আরো উঠে আসে দেড় বছর আগে রমিছা বেগমের ভারসাম্যহীন ৩০ বছর বয়সী বোন মোসাম্মত বেবি নিখোঁজ হয়। এখন পর্যন্ত তার কোন সন্ধান পাওয়া যায় নি। রহস্যজনকভাবে নিখোঁজের ১ মাসের মাথায় বেবী ও রমিছা বেগমের ৭০ বছর বয়সী মা জামিলা বেগমের গলায় রশি দেওয়া অবস্থায় ঝুলন্ত মৃতদেহ পাওয়া যায়। ঐ সময় তার মৃতদেহের সাথে ব্যবহৃত স্বর্ণালংকার পাওয়া যায়নি তখন বিষয়টি রহস্যের দানা বাঁধে।
এরপর থেকেই তাদের উচ্ছেদ করার জন্য পালিত ভাগিনা রিয়াজ শেখ বিভিন্ন সময় অসহায় রমিছা বেগমকে চাপদেয়। অগ্নিকাণ্ডের আগের দিনও রমিছাকে বাড়ি থেকে নেমে যাওয়ার হুমকি দেয়। তবে এদিন রাতে রমিছা বেগম বাড়িতে ছিলেন না। এলাকাবাসী ও রমিছা বেগমের ধারণা এইসব কিছুর সাথে রিয়াজ শেখ জড়িত রয়েছেন।
তবে এ বিষয়ে রিয়াজ শেখের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি তবে তার পিতা রাকিব শেখ মুঠোফোনে বলেন, এ ঘটনার সাথে আমরা জড়িত নয় পরিকল্পিতভাবে আমাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটছে উপজেলার সদর ইউনিয়নের টেংরাখালী মধ্যপাড়া গ্রামে। এ ঘটনায় রমিছা বেগমের ঘর সহ সকল মালামাল ভস্মীভূত হয়ে গেছে। এতে আনুমানিক ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই কচুয়া ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ হয়নি।তবে কচুয়া থানা পুলিশের পক্ষ থেকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, হতদরিদ্র রমিছা বেগম ভিক্ষাবৃত্তি করে সংসার চালান।এমন পরিস্থিতিতে তার পক্ষে অভিযোগ করে ন্যায়বিচার পাওয়া অসম্ভব।এ বিষয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা আশা করে তারা।