নিজের মাথায় জখম করে রক্ত বের করে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজেই সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হাসপাতালে ভর্তির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে হেলাল উদ্দিন। ঘটনাটি ঘটেছে সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলার সলপ ইউনিয়নের বাহিমান গ্রামে। এলাকাবাসী জানান, বাহিমান গ্রামের মৃত. রহম আলীর ছেলে মোঃ হেলাল উদ্দিন নামের এক ধান ব্যবসায়ী একই গ্রামের সেরাজুল ইসলামকে মারধর করে নিজেই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার নাটক করে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে চাইছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে একই গ্রামের বাসিন্দা মোঃ আঃ রাজ্জাকের সাথে ছাগল ধরাকে কেন্দ্র করে মোঃ রুবেল হোসেন  ও হেলালের বউ তার স্বামী হেলাল ও ভাসুরকে উস্কানি দিয়ে মারাত্মক হামলা চালায়। হামলায় হেলাল উদ্দিন তার দুই ছেলে ও ভাই আলমসহ মোঃ সেরাজুল ইসলাম (ঠান্ডু) কে তার নিজ বাড়িতে এসে আঘাত করায় তার পিঠের একটি হাড় ভেঙ্গে যায়। এক্স-রে রিপোর্ট দেখা যায় তার পাকস্থলীতে চিড় ধরেছে।

সেরাজুল ইসলাম ঠান্ডু বর্তমানে সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হাসপাতাল থেকে রিফার্ড নিয়ে বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ এন্ড হসপিটালে চিকিৎসাধীন আছে। গুরুতর আহত ঠান্ডু চিৎকার করলে তার বড় ছেলে মোঃ বাবু মিয়া এগিয়ে গেলে হেলাল উদ্দিন মোঃ বাবুকে হাত দা দিয়ে কোপ মারে। কোপে বাবুর মাথায় মারাত্মক ভাবে জখম হয়। মাথায় অনেকগুলো সেলাই করে ভর্তি করা হয় সিরাজগঞ্জ শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হাসপাতালে। বাবু সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এই ঘটনা অন্যদিকে মোড় দিতে হেলাল উদ্দিন ও তার ছেলে তাদের কৃতকর্ম ঢাকার জন্য নিজেই নিজের মাথা কেটে নিয়ে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হাসপাতালে ভর্তি হয়। এ ব্যাপারে গুরুতর আহত ঠান্ডু ও তার ছেলে বাবুর পক্ষ থেকে উল্লাপাড়া মডেল থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, হেলাল উদ্দিন ও তার গং সম্পুর্ন অন্যায়ভাবে প্রতিপক্ষকে আঘাত করেছে এবং নিজে জেতার জন্য মিথ্যা আঘাত নিয়ে হাসপাতালে ভর্তির নাটক করছে।