
নেত্রকোণা প্রতিনিধিঃ
নেত্রকোণা জেলার আটপাড়া উপজেলার সুখারী ইউনিয়নের কুলশ্রী গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। গত রবিবার সন্ধ্যায় কুলশ্রী গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আব্দুল মালেক, জয় মিয়া গুরুত্বর আহত হন।
পরে আব্দুল মালেক, জয় মিয়া গুরুত্বর আহত মদন উপজেলা স্ব্যাস্থ্য কম্প্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের অবস্থার অবনতি দেখে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করেন। এবং রোমান মিয়াকে নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
এছাড়া বিজয় মিয়া, সুমন মিয়া ও আলী হাসানকে আটপাড়া সরকারি স্ব্যাস্থ্য কম্প্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাদের অবস্থার অবনতি দেখে নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। অন্যরা পল্লী চিকিৎসকের চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে সুখারী ইউনিয়নের সুকচান ও জখমী আব্দুল মালেকের পরিবারের সাথে বিরোধ চলমান থাকায় ঘটনার রাতে সুকচানের লোকজন আব্দুল মালেকের বাড়িতে রাতের আঁধারে অনধিকার প্রবেশ করে বাড়ি-ঘর ভাংচুর ও লোটপাট করার সময় তাদের বাঁধা দিলে দেশীয় অস্ত্রাদি নিয়ে অতর্কিত হামলায় গুরুত্বর জখমী হয়।
এ বিষয়ে জখমীর পক্ষে মোসা: তাহমিনা আক্তার বাদী হয়ে কুলশ্রী গ্রামের সুকচান মিয়ার ছেলে মো: মামুন মিয়া, সোহেল মিয়া, সুমন মিয়া, রোমান মিয়া, রাসেল মিয়া, আবু ফরিদের ছেলে হানিফ মিয়া, মো: উজ্জল, আলী ধনের ছেলে আকাশ, মৃত কামাল মিয়ার ছেলে বাপ্পী, রাব্বী, সাব্বির সহ ২৪ জনকে আসামী করে আটপাড়া থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ১৬,তারিখঃ২৫-০২-২০২২ইং।
এ ব্যাপারে জখমী আব্দুল মালেক জানান সুকচান মিয়া একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হওয়ায় তার সন্তানেরা এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের ভয়ে এলাকাবাসী মুখ খোলতে ভয় পায়।
এ ঘটনায় আটপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ জাফর ইকবাল জানান, দীর্ঘদিন ধরে এ দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। মোসা: তাহমিনা আক্তার বাদী হয়ে মামলা করেছেন। আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।