
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
ছাত্রলীগের দুই কর্মীর বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি রথীন্দ্রনাথ বাপ্পিকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।অন্যদিকে ছাত্রলীগের দাবি, মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি। হলের সিট নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে হাতাহাতি হয়েছে।
বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেদের হল গেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে। হামলার অভিযোগ করে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়ন এর সভাপতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রথীন্দ্রনাথ বাপ্পি বলেন, “আমি হলে কেনো থাকি এ কথা বলে ছাত্রলীগ কর্মী সুমন, আসিফ ও কয়েকজন মারধর করে।
অন্যদিকে ছাত্রলীগ কর্মী সুমনের দাবি, ছাত্র ইউনিয়ন কর্মী রথীন্দ্রনাথ বাপ্পী নিয়ম বহির্ভূতভাবে একটি হলে সিটে থাকছেন ও নিয়ন্ত্রণ করছেন বলে জানতে পেরে এ বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করি।এ নিয়ে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়। এতে আমিও আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছি।
এলটমেন্ট ছাড়া হলে থাকার বিষয়টি স্বীকার করে রথীন্দ্রনাথ বাপ্পি বলেন, “আমার স্বাধীনতা দিবস হলে এলটমেন্ট এর ব্যবস্থা চলছে। বাইরে অনিরাপদ মনে হওয়ায় আমি ১০-১৫ দিন হলো শেখ রাসেল হলে আছি ।আর হলের দায়িত্ব প্রভোস্ট তাদের (ছাত্রলীগ) দিয়েছে বলে তো মনে হয় না”
এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসাইন রনি বলেন, “ছাত্র ইউনিয়ন নেতা রথীন্দ্রনাথ বাপ্পি দাদাকে ছাত্রলীগ কর্মী সুমন ভাই শেখ রাসেল হলের এলটমেন্ট আছে কিনা জানতে চায়। এ সময় বাপ্পি দাদা এলটমেন্ট না থাকার বিষয়ে জানালে এলটমেন্ট ছাড়া কিভাবে হলে অবস্থান করছে জানতে চাইলে তর্ক বিতর্ক থেকে হাতাহাতি হতে দেখেছি। কোনো মারধরের ঘটনা আমার চোখে পরে নি।
এ দিকে এ ঘটনায় প্রক্টরিয়াল বডির সাথে দেখা করে অভিযোগ জানিয়েছেন ছাত্র ইউনিয়ন এর বশেমুরবিপ্রবি সংসদ এর সভাপতি রথীন্দ্রনাথ বাপ্পিসহ ছাত্র ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ।