
উজ্জ্বল কুমার দাস (কচুয়া, বাগেরহাট) প্রতিনিধি।।
বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলায় অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলায় আরও ২ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র ্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও পুলিশ। মামলার প্রধান আসামি মো. সজীব মোল্লাকে র্যাব-৬ এর একটি দল গত মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগরীর পতেঙ্গা থেকে গ্রেপ্তার করে। আরেক আসামি শকিজুল ওরফে টিপুকে (২৩)কে মঙ্গলবার রাতে ঢাকার কামরাঙ্গীরচর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।আইনি প্রক্রিয়া শেষে গতকাল বুধবার বিকেলে গ্রেপ্তার সজীব মোল্লাকে কচুয়া থানায় হস্তান্তর করেছে র্যাব।
এর আগে গত শনিবার এজাজুল মোল্লা নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এখন পর্যন্ত আলোচিত এই ধর্ষণ মামলার চার আসামিদের মধ্যে ৩ জনকেই গ্রেপ্তার করল পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত মো. সজীব মোল্লা (২৫) কচুয়া উপজেলার কলমিবুনিয়া এলাকার বারেক মোল্লার ছেলে ও শকিজুল ওরফে টিপু (২৩) একই গ্রামের ইউসুফ শেখের ছেলে। গ্রেপ্তার দুজনকে আদালতে সোপর্দের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম।
এদের গ্রেফতারে পুলিশ গোপন সংবাদ ও তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে ঢাকার কামরাঙ্গিচর এলাকা থেকে শকিজুল ওরফে টিপুকে গ্রেপ্তার করেছে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম মহানগরীর পতেঙ্গা এলাকা থেকে র্যাব সজীব মোল্লা নামের আরেক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের আজ বৃহস্পতিবার আদালতে সোপর্দ করা হবে। এ ছাড়া অন্য আসামিকে আটকের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে বাবা-মা বাড়িতে না থাকার সুযোগে ওই শিক্ষার্থীর ঘরে প্রবেশ করে অস্ত্রের মুখে স্থানীয় চার বখাটে তাকে ধর্ষণ করে। শুক্রবার রাতে ওই শিক্ষার্থীকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করে তার পরিবার।
পর দিন শনিবার সকালে অভিযুক্ত এজাজুল মোল্লাকে আটক করে পুলিশ। ওই দিন বিকেলে নির্যাতিতা শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে কচুয়া থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন। এরপর থেকে বিষয়টি সকল গণমাধ্যম গুরুত্বের সাথে প্রচার ও প্রকাশিত হয়। অপরাধীদের গ্রেফতার করে বিচারের দাবি ওঠে নানা মহল থেকে। বিভিন্ন স্থানীয় সামাজিক,রাজনৈতিক সংগঠন, শিক্ষক -শিক্ষার্থীরা ধর্ষকদের গ্রেফতার করে সর্বচ্চ বিচারের দাবিতে মানববন্ধন, প্রতিবাদ সমাবেশ ও সড়ক অবরোধের মতো কর্মসূচি পালন করে।