
প্রিন্ট এর তারিখঃ মার্চ ১৫, ২০২৫, ১০:৫৯ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ নভেম্বর ২৮, ২০২২, ১:১১ পি.এম
সন্ধ্যার কাল গ্রাসে নদীর পেটে চলে যাচ্ছে কাউখালীর আমরাজুড়ী বাজার জিও ব্যাগ ফেলেও রোধ করা যাচ্ছেনা ভাঙন।
রিয়াদ মাহমুদ সিকদার, কাউখালী, পিরোজপুর।
পিরোজপুর জেলার কাউখালী উপজেলার সন্ধ্যা নদীর নতুন করে ত্রিমুখী ভাঙনের মুখে পড়েছে আমরাজুড়ী ইউনিয়নের স্বরূপকাঠী-কাউখালী সড়ক সংযোগকারী ফেরীঘাট। বাজারের কমপক্ষে ৩৫/৪০টি বিভিন্ন প্রকারের দোকান গ্রাস করছে রাক্ষুসে নদী সন্ধ্যা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নতুন করে ভাঙন শুরু হওয়ার ফলে আরো অনেক দোকান, বাড়িঘর, রাস্তা, মসজিদসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিলীন হয়ে যাবার পথে।
নদী ভাঙনের কারণে বহু বার ফেরিঘাট স্থানান্তর করতে হয়েছে। এই ফেরিঘাট থেকে পিরোজপুর থেকে গড়িয়ার পাড় হয়ে বরিশাল-ঢাকা-বানারিপাড়া-নেছারাবাদ-কাউখালী-পিরোজপুর-বাগেরহাট সহ খুলনা যাতায়াত করে। ফেরীঘাট বাজার কমিটির সভাপতি কায়েস হাওলাদার, ব্যবসায়ী ইকবাল তালুকদার ও ফেরীঘাট জামে মসজিদের খতিব মাওলানা গাজী আনোয়ার হোসেন সহ ক্ষতিগ্রস্তরা জানান তিন নদীর মোহনায় আমরাজুড়ী ফেরীঘাট হওয়ায় এ ভাঙনের মুখে পড়ছে এলাকাবাসী।
স্থায়ী বাধ নির্মানে কার্যকর কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় রোধ করা যাচ্ছেনা ভাঙন। করুন দৃষ্টিতে নিজেদের সর্বনাশ দেখছে অসহায় ভুক্তভোগীরা। অবিলম্বে যদি বেরিবাঁধ না করা হয় তাহলে আমরাজুড়ী ইউনিয়নের বিরাট একটি অংশসহ কাউখালী-শেখেরহাট সংযোগ সড়কটি বিলীন হয়ে যাবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবু সাঈদ মিয়া মনু জানান, জিও ব্যাগ ফালাবার পরেও ভাঙন রোধ করা যাচ্ছে না। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করছি।বর্তমানে মসজিদসহ প্রায় ৩০/৩৫টি দোকান ঝুকির মধ্যে রয়েছে। ভাঙন রোধে দ্রত পদক্ষেপ না নেয়া হলে বাজার ও ফেরীঘাট রক্ষা করা সম্ভব হবে না। বিষয়টি স্থানীয় এমপি মহোদয় এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
প্রকাশক ও সম্পাদক মোঃ গোলাম মাওলা শাওন ০১৭১১-০০৬২১৪, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক 01762119992, প্রধান কার্যালয় ৩৪ নুরজাহান শরীফ প্লাজা ৮ম তলা, পুরানা পল্টন ঢাকা ১০০০। ০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০ নিউজ ই-মেইল [email protected] সিভি পাঠান: [email protected]
দৈনিক বাংলার আলো নিউজ জিএমএস বাংলার আলো গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান।