
মিঠাপুকুর, রংপুর প্রতিনিধি-
মিঠাপুকুরে প্রভাবশালী কর্তৃক এক ভ্যানচালকের স্ত্রীকে ছাগল চুরির অপবাদ রটিয়ে বেধড়ক মারপিট করার অভিযোগ উঠেছে। মারপিটের শিকার ঐ গৃহবধূ মিঠাপুকুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন। এ ঘটনায় মিঠাপুকুর থানায় তিনজনকে আসামি করে একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেছেন মারপিটের শিকার ঐ নারী।
স্হানীয়রা জানান, উপজেলার পায়রাবন্দ ইউনিয়নের শালাইপুর বালুয়া পাড়া গ্রামের ভ্যানচালক আলামিনের ভাগ্নে দুলু মিয়ার ফসলের খেতে ১ টি ছাগল আসলে দুলু মিয়া ছাগলটি ধঁরে তার বাড়িতে নিয়ে যান। পাশ্ববর্তী লতিবপুর ইউনিয়নের মোসামারী গ্রামের মৃত- চাঁন মন্ডলের ছেলে শিমুল আক্তার তার ছাগলটি বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করে না পেয়ে আল-আমীনের স্ত্রী তাজেনা বেগম (৩০) কে ছাগল চুরি করার জন্য দায়ী করে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন এবং ছাগল চুরি করে কোথায় রেখেছে এ নিয়ে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে জমির খুটি উপড়ে শরীরের স্পর্শ কাতর জায়গায় মারডাং শুরু করেন। কিছুক্ষণ পর শিমুলের দু-বোন ছনি এবং সিমি তারাও তাজেলা বেগমকে মারপিট করেন।
মারামারি সংঘটিত হওয়ার পর রাত আনুমানিক ৯ টার পর শিমুল জানতে পারেন, তার ছাগলটি দুলু মিয়া তার জমির ফসল খাওয়ার ফলে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে বেঁধে রেখেছেন। পরে তিনি ছাগলটি শিমুল মিয়াকে হস্তান্তর করেন। ছাগল চুরির অপবাদ এবং মারপিটের শিকার তাজেলা বেগম জানান,তিনি রাতেই- ৯৯৯ জাতীয় জরুরি সেবায় ফোন দিলে মিঠাপুকুর থানা পুলিশ তাকে উব্ধার করে মিঠাপুকুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। মারামারির কারনে তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কাটা ফাটা ফুলা জখম হয়েছে। এ ঘটনায় ৫ মার্চ মিঠাপুকুর থানায় তিনি বাদী হয়ে এজাহার দায়ের করেছেন।
অভিযুক্ত শিমুল জানান, ছাগলটি কে নিয়ে গিয়েছে জানতে গেলে আমার বোনদের সঙ্গে ঐ মহিলার একটু ধাক্কাধাক্কি হয়। তিনি জানান, কয়েকটি হাট বাজার তিনি ছাগলটি খুঁজতে গিয়েছিলেন। তাজেলা বেগমকে চিকিৎসার খরচ বহন করা হচ্ছে। মামলা করার মত ঘটনা ঘটেনি। বিষয়টি বসে মিমাংসা করা হবে।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পায়রাবন্দ বিট অফিসার এসআই রবিউল ইসলাম জানান, মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।