
প্রিন্ট এর তারিখঃ মার্চ ১৫, ২০২৫, ১১:৪৩ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ অগাস্ট ৬, ২০২৩, ৫:২০ পি.এম
পটুয়াখালীতে মহামারিতে রূপ নিয়েছে লাম্পি স্কিন ডিজিজ

এস.এম.সোহান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট:
প্রথমে জ্বরে আক্রান্ত হয় এবং পরে ধীরে ধীরে গরুটির খাদ্যগ্রহণ কমে যায়। এরপরে জ্বরের সাথে নাক-মুখ দিয়ে লালা বের হয়, পা ফুলে যায়, দুই পায়ের মাঝে পানি জমে যায়। পশুর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় চামরা পিন্ড আকৃতি ধারণ করে, লোম উঠে যায় এবং ক্ষত সৃষ্টি করে। আর এ ক্ষত শরীরের অন্যান্য জায়গায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ক্ষতস্থান থেকে রক্তপাত হতে পারে। শরীরের কোথাও কোথাও ফুলে যায় ইত্যাদি। এরপরে সুস্থতার দিকে না গেলে কিছুদিনের মধ্যে নিস্তেজ হয়ে একপর্যায়ে মারা যায়। এই রোগটির নাম লাম্পি স্কিন ডিজিজ (এলএসডি)।
১৯২৯ সালে সর্বপ্রথম আফ্রিকা মহাদেশের জাম্বিয়াতে এ রোগ দেখা দেয়। ১৯৪৩ থেকে ১৯৪৫ সালের মধ্যে মহাদেশের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশে গরুর লাম্পি স্কিন ডিজিজ (এলএসডি) রোগটি প্রথম দেখা দেয় ২০১৯ সালে চট্টগ্রামে। এরপরই দেশের অনেক জেলায় ছরিয়ে পড়েছে লাম্পি স্কিন ডিজিজ (এলএসডি)।
সম্প্রতি পটুয়াখালীতেও ছড়িয়ে পড়েছে গরুর এমন মরনঘাতি ভাইরাস গঠিত রোগ লাম্পি স্কিন ডিজিজ (এলএসডি)। যা মহামারি আকার ধারণ করেছে। এতে আক্রান্ত হওয়ার পাশাপাশি গরু মরার খবরও পাওয়া গেছে। ঋণ করে কেনা গরুর মৃত্যুতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন খামারিরা।
প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, লাম্পি স্কিন ডিজিজ (এলএসডি) ভাইরাস গঠিত রোগ হওয়ায় সরাসরি এর কোনো চিকিৎসা নেই। তবে, সচেতনতার মাধ্যমেই কেবল এই রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
জানা যায়, মশা-মাছি বাহিত এই রোগটি মূলত মশার মধ্যমেই বেশি ছড়ায়। একটি খামারকে অর্থনৈতিকভাবে ধসিয়ে দিতে খুরা রোগের চেয়েও অনেক বেশি ভয়ঙ্কর রোগ এটি। লাম্পি স্কিন ডিজিজ (এলএসডি) গরুর জন্য একটি ভয়ঙ্কর ভাইরাসজনিত চর্মরোগ, যা খামারের ক্ষতির কারণ।
খামারিরা জানান, অসংখ্য গরু এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর দিন গুনছে। সরকারি পশু চিকিৎসকদের টিকির নাগালও পাচ্ছেন না এখানকার মানুষ।তাছাড়া, আক্রান্ত গরুকে চিকিৎসা দিয়েও তেমন ফল পাওয়া যাচ্ছে না। আক্রান্ত গরুগুলোকে সুস্থ করতে কার্যকরী কোনো ভ্যাকসিন সরকারিভাবে সরবরাহ করার দামি খামারিদের।
পটুয়াখালী জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দ্বায়িত্ব) ডাঃ মোঃ জামাল উদ্দিন বলেন, আসলে এটা একটি ভাইরাস গঠিত রোগ। এই রোগের কোনো সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। তারপরও রোগটি হয়ে গেলে আমাদের সামর্থ্যের মধ্যে কিছু ট্রিটমেন্ট দেই। তবে সচেতনতার মাধ্যমেই এই রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। এ বিষয়ে আমাদের অফিসে কেউ আসলে আমরা পরামর্শ দিয়ে থাকি।
প্রকাশক ও সম্পাদক মোঃ গোলাম মাওলা শাওন ০১৭১১-০০৬২১৪, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক 01762119992, প্রধান কার্যালয় ৩৪ নুরজাহান শরীফ প্লাজা ৮ম তলা, পুরানা পল্টন ঢাকা ১০০০। ০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০ নিউজ ই-মেইল [email protected] সিভি পাঠান: [email protected]
দৈনিক বাংলার আলো নিউজ জিএমএস বাংলার আলো গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান।