
প্রিন্ট এর তারিখঃ মার্চ ১৬, ২০২৫, ১০:০৫ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ নভেম্বর ১৯, ২০২৩, ৮:১১ পি.এম
গ্রাম বাংলার কালের বিবর্তনে ঐতিহ্যবাহী হারিকেন হারিয়ে যাচ্ছে

হেলাল উদ্দীন (মিঞাজী): পার্বত্য বান্দরবানে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ‘হারিকেন’। হারিকেনকে এক সময় রাত্রিকালীন বন্ধু হিসেবে অনেকেই অখ্যায়িত করত। এক সময় হারিকেন হাতে নিয়ে ডাকপিয়ন ছুটে চলতেন গ্রামের পর গ্রামে। বৃদ্ধ থেকে শুরু করে সবাই রাতের বেলাই হারিকেন হাতে নিয়ে বের হতেন। হারিকেনের আলো গৃহস্থালির পাশাপাশি ব্যবহার হতো বিভিন্ন যানবাহনে। কিন্তু আধুনিকায়নে বিভিন্ন বৈদ্যুতিক বাতিতে বাজার ভরপুর। যার কারণে হারিয়ে যাচ্ছে রাত্রিকালীন আলোর একমাত্র উৎস ঐতিহ্যবাহী হারিকেন।
সরেজমিনে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা যায়, তখনকার সময়ে হারিকেন মেরামতের জন্য উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে মিস্ত্রী বসতো। এছাড়া উপজেলার প্রতিটি বাজারে ছিল হারিকেন মেরামতের অস্থায়ী দোকান। এরা বিভিন্ন হাট বাজারে ঘুরে ঘুরে হারিকেন মেরামতের কাজ করত। এছাড়া অনেকে গ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে হারিকেন মেরামত করত। কিন্তু এখন আর হারিকেন ব্যবহার না করার ফলে হারিকেন মিস্ত্রীদের এখন আর দেখা যায় না।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার এলাকার ভ্যান চালক বলেন, এক সময় হারিকেন ছাড়া রাতে ভ্যান নিয়ে চলাচল করা যেত না।কিন্তু এখন বাজারে কোম্পানির বিভিন্ন ধরনের এলইডি লাইট বের হওয়ায় এখন আর হারিকেনের প্রয়োজন হয় না।
বিভিন্ন শিক্ষক বলেন, আগে রাতে পড়তে বসার আগেই হারিকেন নিয়ে টানা টানি করতে হতো।কিন্তু এখন ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে বিদ্যুৎ। তাছাড়া বাজারে বিভিন্ন ধরনের এলইডি বাল্ব অনেক কম দামে পাওয়া যায়। যার কারণে এখন আর হারিকেনের প্রয়োজন হয় না।
নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের এক হারিকেন মেকার জানায়, এক সময় নিজের হাতে অনেক হারিকেন মেরামত করেছি। কিন্তু এখন কার সময়ে ঘরে হারিকেন থাকলেও তা কেউ ব্যবহার করে না। এতে মেরামতের কাজ ও তেমন হয় না। যার কারণে এই পেশা ছাড়তে হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সময়ের আবর্তে এক সময় হারিকেন দেখতে যেতে হবে জাদুঘরে। নতুন প্রজন্ম হয়তো জানবেও না হারিকেনের ইতিহাস।
প্রকাশক ও সম্পাদক মোঃ গোলাম মাওলা শাওন ০১৭১১-০০৬২১৪, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক 01762119992, প্রধান কার্যালয় ৩৪ নুরজাহান শরীফ প্লাজা ৮ম তলা, পুরানা পল্টন ঢাকা ১০০০। ০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০ নিউজ ই-মেইল [email protected] সিভি পাঠান: [email protected]
দৈনিক বাংলার আলো নিউজ জিএমএস বাংলার আলো গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান।