
খান মোঃ রফিকুল ইসলাম, বিশেষ প্রতিনিধি:
ডিজিটাল ও আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার শেষ প্রান্তে স্মাট বাংলাদেশ গড়ার সুচনালগ্নে ও কিছু কিছু উপজেলা রয়েছে প্রচীন কালের মত। তার মধ্যে পিরোজপুরের নেছারাবাদ একটি।এখানে সংসদীয় আসনের কোন প্রার্থী আসন পায়নি বললেই চলে।তাই উন্নয়নের অবকাশ নেই এই উপজেলায়।
এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ও তারই ধারাবাহিকতায় রয়েছে। তবুও এই এলাকার মানুষের মন জয় করে নিয়েছেন বর্তমান সাংসদ। নেছারাবাদের অনেক ভোটারগন বলেন এমপি সাহেব নাকি সেই নাম ভাংঙ্গার জন্য নির্বাচনের আগে নেছারাবাদে জমি ক্রয় করে বাড়ী করছেন। এজন্য এলাকাবাসী বলে সেই পুরানো একটা ধারনা পরিবর্তন করল। গনমুখে আরো শোনা যায় তিনি নাকি এর আগের এমপি গনের মত নয়।তিনি সকল ধারনা পাল্টে দিয়ে তার নির্বাচনী এলাকায় কাজ করবেন। তিনি এলাকার জন্য কাজ করবেন এই প্রত্যাসা ভোটারগনের।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সফতবাক্য পাঠ করার ২৫/২৮ দিনের মাথায় এক দৃস্টান্ত মূলক কাজ করেন ১২৮ নং সংসদীয় আসনের নবনির্বাচিত এমপি জনাব মহিউদ্দিন মহারাজ। তিনি নেছারবাদ এবং ভান্ডরিয়ায় পৃথক দুটি কাজের যে আবেদন পেশ করল তাহা ইতিহাসের পাতায় লিখে রাখার মত। এই দুই এলাকার গন্যমান্য মুরব্বী গনের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন এর আগে কত এমপি মন্ত্রী এলো তবে এমন উদ্যোগ কাউকে নিতে দেখিনি।
নেছারাবাদের সাধারন ভোটারগন বলেন, ভোট দেয়া যেমন আমাদের একান্ত জরুরী তেমনী ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়ে আমাদের সাথে যোগাযোগ রাখাটাও তেমনি জরুরী। আরো অনেকে বলেন আমাদের এলাকা কোন আধুনিকতার ছোয়া পড়েনি। হয়নি তেমন কোন উন্নয়নমূলক কাজ। আমরা পড়ে আছি সব সময় দোটানার মধ্যে। কেহ সরুপকাঠী বাসীর দিকে নজর দেয়নি।
আরো বলেন, আমরা এমন একজন লোককে খুজে ছিলাম যে কিনা মানুষের তথা এলাকার কথা ভাববে। তাই আমরা মনে করছি এই সকল গুন ক্ষমতা মহিউদ্দিন মহারাজ এর ভিতরে আছে। এ জন্যই আমরা দলমত, জাতী বর্ন ভুলে তাকে ভোট দেই। তিনি বিজয়ী হবার পড়ে সরুপকাঠী পাইলট স্কুল মাঠে বলছিলেন আমি সরুপকাঠী বাসীকে কোন দিন ভুলবনা, আমি এমপি থাকি বা না থাকি। সেই কাথাটার সাথে আর তার কাজের সাথে মিল খুজে পাওয়া গেছে। এলাকার জনগন তাকে পেয়ে অনেক খুশি। অনেক ভোটারগন বলেন আমরা আজীবন তাকেই ভোট দিয়ে যাব।
১.পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকানী এবং ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী পয়েন্টে কচা নদীতে সেতু।
২. পিরোজপুর জেলার মধ্যে অন্যতম ব্যবসায়ী উপজেলার মধ্যে অন্যতম জন বহুল এলাকা সরুপকাঠী ইন্দুরহাট পয়েন্টে সেতু নির্মান সহ রাস্তা।
এই সেতু দুটি নির্মান হলে দক্ষিণ অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির সাথে সাথে সময়ের মুল্যের মুল্যয়ন পাওয়া যাবে। এই সেতুর মাধ্যমে গোপালগঞ্জের টংঙ্গী পাড়া, মংলা, খুলনা, যশোর, বেনাপোল, কুয়াকাটা, পায়রা বন্দর, বরিশাল সদর, ঢাকা সহ সকল স্থানের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হবে। বাড়বে ব্যবসার গতি। প্রাণ চাঞ্চল্যতা ফিরে পাবে নেছারাবাদের যোগাযোগ ব্যবস্থায়।