বাংলাদেশ ০৮:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
জেলা পরিষদের সদস্য ও বাইশারীর কৃতি সন্তানদের গণসংবর্ধনা চট্টগ্রামে আঞ্চলিক গানের কিংবদন্তি শিল্পী শেফালী ঘোষ সরকারি চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎকারি শীর্ষ প্রতারক হাবিবুল্লাহ হাবিব কারিকরকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। জিয়া সেতুতে অবৈধ ডাম্প ট্রাক না চলার হুঁশিয়ারি ঘূর্ণিঝড় সিডর স্মরণে রাঙ্গাবালীতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন। কালুরঘাট সেতুর কাজ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে : সেতু উপদেষ্টা ব্রাহ্মণপাড়ায় বিপুল পরিমাণ মাদক ও অবৈধ ভারতীয় মালামাল জব্দ পীরগঞ্জে আবু সাঈদের কবর জেয়ারত করেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক। ইন্দুরকানিতে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল পিরোজপুরে জোড়া খুন এর মামলায় ২১ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী খাগড়াছড়ি থেকে গ্রেপ্তার বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে আলোচনা ও আপনজন সম্মাননা চাঁদা আদায়ের উদ্দেশ্যে অপহৃত মসজিদের ইমাম হাফেজ সোলাইমান কে উদ্ধার অপহরণকারী দাদনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। নাটোরে ভোরের চেতনা পত্রিকার ২৬ তম বর্ষপূর্তী উদযাপিত। বিস্ফোরক আইনে প্রধান শিক্ষক শফিক গ্রেফতার বিএনপি নেতা – কর্মীদের ওপর বোমা হামলার অভিযোগ

ক্ষমতার দাপটে বালু তোলার হিড়িক কুলিক নদীতে

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১১:২২:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ১৬৩৮ বার পড়া হয়েছে

 

 

 

 রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি: 
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে দীর্ঘদিন ধরে কুলিক নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের হিড়িক চলছে। কয়েকবার জরিমানা করা হলেও বালু ব্যবসায়ী বলছেন প্রশাসনকে ম্যানেজ করে বালু উত্তোলন করছি আমরা। রানীশংকৈলের বিভিন্ন ইউনিয়নের কুলিক নদীর প্রায় ৮টি ঘাট থেকে দিনে ও রাতের আঁধারে প্রকাশ্যে বালু তোলার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে কিছু অসাধু বালু ব্যবসায়ী।
দেখা গেছে, হোসেনগাঁও ইউনিয়নের রাউতনগর মধ্যপাড়া গ্রামের নদীর ঘাট থেকে উসমান আলী, রাউতনগর গোরস্থান সংলগ্ন নদীর ঘাটে থেকে সইদুল ইসলাম, লেহেম্বা ইউনিয়নের রসুনপুর কুলিক নদী থেকে সুবহান আলী,উমরাডাঙ্গী নদীর ব্রিজ থেকে তরিকুল, মানিক, আবুল, মুরসালিন, নাঈম, সাইদসহ অনেকে ৩ থেকে ৫ টি মহেন্দ্র ট্রাকটর দিয়ে নির্ভয়ে এবং প্রকাশ্যে বালু উত্তোলন করে চলছেন।
গত বুধবার সরেজমিনে গিয়ে এমন দৃশ্য চোখে পড়ে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওইসব এলাকার কিছু মানুষ বলেন তাঁরা গত ৭ থেকে ৮ বছর ধরে এ বালু ব্যবসা করে আজ সম্পদশালী ও প্রভাবশালী।
অপরদিকে বাচোর ইউনিয়নে মহেশপুর ফোর স্টার ইট ভাটার পূর্ব পাশে কুলিক নদী থেকে, আপেল এবং রুবেল নামে দুই ব্যাক্তি একইভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে। সেইসাথে বন্দর পাইলট কুলিক নদীর ব্রিজের নিচ থেকে কাউন্সিলর নূর আলম নামে এক ব্যাক্তি ক্ষমতার দাপটে রাতের আঁধারে বালু উত্তোলন করছেন।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক নেতা বলেন, নিজ বালুর চাহিদা মিটিয়ে এটিকে বানিজ্যিক ভাবে প্রতিগাড়ি বালু ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকায় বিক্রি করছেন।
দেখা গেছে বালু তোলার কারণে মহলবাড়ি এবং সুন্দরপুর এলাকায় নদীর পাশে থাকা হিন্দু সম্প্রদায়ের শ্মশান ঘাটগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এমন অভিযোগ করেন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন। গবেষকরা বলেছেন বালু উত্তোলনে পানিদূষণসহ নদীগর্ভের গঠনপ্রক্রিয়া বদলে যাচ্ছে এবং নদী ভাঙছে।
বালু উত্তোলনে সৃষ্ট বায়ুদূষণে মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। উদ্ভিদ ও প্রাণিকুলের মধ্যে পরিবর্তন ঘটার ফলে তাদের আবাসস্থল যেমন ধ্বংস হচ্ছে, তেমনি তাদের খাদ্যের উৎসও ধ্বংস হচ্ছে। ফলে মৎস্য প্রজনন-প্রক্রিয়া পাল্টে যাওয়ার পাশাপাশি চাষাবাদের জমিও নষ্ট হচ্ছে।
এসব বালু ব্যাবসায়ীদের সঙ্গে বালু তোলার বিষয়ে কথা বললে, তাঁরা বলেন, প্রশাসনকে মেনেজ করেই বালু উত্তোলন করা হচ্ছে এবং গোটা উপজেলা জুড়ে নদী থেকে বালু তোলা হচ্ছে আমরা তুললে দোষের কি?
 উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রকিবুল হাসান জানান, নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলার কারণে আমরা জরিমানা করেছি। তাঁর পরেও কেউ বালু উত্তোলন করে থাকলে সরকারি বিধি অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

জেলা পরিষদের সদস্য ও বাইশারীর কৃতি সন্তানদের গণসংবর্ধনা

ক্ষমতার দাপটে বালু তোলার হিড়িক কুলিক নদীতে

আপডেট সময় ১১:২২:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

 

 

 

 রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি: 
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে দীর্ঘদিন ধরে কুলিক নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের হিড়িক চলছে। কয়েকবার জরিমানা করা হলেও বালু ব্যবসায়ী বলছেন প্রশাসনকে ম্যানেজ করে বালু উত্তোলন করছি আমরা। রানীশংকৈলের বিভিন্ন ইউনিয়নের কুলিক নদীর প্রায় ৮টি ঘাট থেকে দিনে ও রাতের আঁধারে প্রকাশ্যে বালু তোলার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে কিছু অসাধু বালু ব্যবসায়ী।
দেখা গেছে, হোসেনগাঁও ইউনিয়নের রাউতনগর মধ্যপাড়া গ্রামের নদীর ঘাট থেকে উসমান আলী, রাউতনগর গোরস্থান সংলগ্ন নদীর ঘাটে থেকে সইদুল ইসলাম, লেহেম্বা ইউনিয়নের রসুনপুর কুলিক নদী থেকে সুবহান আলী,উমরাডাঙ্গী নদীর ব্রিজ থেকে তরিকুল, মানিক, আবুল, মুরসালিন, নাঈম, সাইদসহ অনেকে ৩ থেকে ৫ টি মহেন্দ্র ট্রাকটর দিয়ে নির্ভয়ে এবং প্রকাশ্যে বালু উত্তোলন করে চলছেন।
গত বুধবার সরেজমিনে গিয়ে এমন দৃশ্য চোখে পড়ে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওইসব এলাকার কিছু মানুষ বলেন তাঁরা গত ৭ থেকে ৮ বছর ধরে এ বালু ব্যবসা করে আজ সম্পদশালী ও প্রভাবশালী।
অপরদিকে বাচোর ইউনিয়নে মহেশপুর ফোর স্টার ইট ভাটার পূর্ব পাশে কুলিক নদী থেকে, আপেল এবং রুবেল নামে দুই ব্যাক্তি একইভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে। সেইসাথে বন্দর পাইলট কুলিক নদীর ব্রিজের নিচ থেকে কাউন্সিলর নূর আলম নামে এক ব্যাক্তি ক্ষমতার দাপটে রাতের আঁধারে বালু উত্তোলন করছেন।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক নেতা বলেন, নিজ বালুর চাহিদা মিটিয়ে এটিকে বানিজ্যিক ভাবে প্রতিগাড়ি বালু ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকায় বিক্রি করছেন।
দেখা গেছে বালু তোলার কারণে মহলবাড়ি এবং সুন্দরপুর এলাকায় নদীর পাশে থাকা হিন্দু সম্প্রদায়ের শ্মশান ঘাটগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এমন অভিযোগ করেন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন। গবেষকরা বলেছেন বালু উত্তোলনে পানিদূষণসহ নদীগর্ভের গঠনপ্রক্রিয়া বদলে যাচ্ছে এবং নদী ভাঙছে।
বালু উত্তোলনে সৃষ্ট বায়ুদূষণে মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। উদ্ভিদ ও প্রাণিকুলের মধ্যে পরিবর্তন ঘটার ফলে তাদের আবাসস্থল যেমন ধ্বংস হচ্ছে, তেমনি তাদের খাদ্যের উৎসও ধ্বংস হচ্ছে। ফলে মৎস্য প্রজনন-প্রক্রিয়া পাল্টে যাওয়ার পাশাপাশি চাষাবাদের জমিও নষ্ট হচ্ছে।
এসব বালু ব্যাবসায়ীদের সঙ্গে বালু তোলার বিষয়ে কথা বললে, তাঁরা বলেন, প্রশাসনকে মেনেজ করেই বালু উত্তোলন করা হচ্ছে এবং গোটা উপজেলা জুড়ে নদী থেকে বালু তোলা হচ্ছে আমরা তুললে দোষের কি?
 উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রকিবুল হাসান জানান, নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলার কারণে আমরা জরিমানা করেছি। তাঁর পরেও কেউ বালু উত্তোলন করে থাকলে সরকারি বিধি অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।