
মোঃ সারোয়ার হোসেন অপু বদলগাছী উপজেলা, (নওগাঁ) প্রতিনিধি,
নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মনিটরিং অফিসারদের ম্যানেজ করে ভুয়া তালিকা করে এতিমের টাকা লোপাট করা হচ্ছে। বদলগাছী উপজেলায় ১০টি এতিমখানায় কাগজে-কলমে ২৫২ জন এতিম দেখালেও বাস্তবে তা নেই। গ্রামের মাদরাসার ছাত্রদের বাবা-মাকে মৃত দেখিয়ে ভুয়া এতিম বানিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন এতিমখানার ব্যবস্থাপনা কমিটি।
বদলগাছী উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের। তথ্যানুযায়ী বদলগাছী উপজেলায় ২০২১-২২ অর্থ বছরে ক্যাপিটেশন গ্র্যান্ড। ১০ টি এতিমখানায় ১২৬ জন এতিমের অনুকুলে ৩০ লাখ ২৪ হাজার টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হয়।
সরকারের ক্যাপিটেশন গ্র্যান্ট পাওয়া তালিকাভুক্ত কয়েকটি এতিমখানায় সরেজমিনে দেখা যায়, কাগজে-কলমে যে এতিম দেখানো হয়েছে তার তিনভাগের একভাগ এতিমও নেই। এর মধ্যে পাহাড়পুর ইউনিয়নের খোঁজাগাড়ী নুরানী হাফেজিয়া মাদ্রাসা, শিশু সদন এতিমখানায় ১৯ জন এতিমের বিপরীতে ৪ লাখ ৫৬ হাজার টাকা উত্তোলন করলেও বাস্তবে এতিম রয়েছে ৭ জন। পালশা আকতার সিদ্দিকি হাফেজিয়া মাদ্রাসা, শিশু সদন ও এতিমখানায় ১৫ জন এতিমের বিপরীতে ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। বাস্তবে এখানে এতিম রয়েছে ৩ জন। মহিরউদ্দীন শিশু সদনে জন এতিমের বিপরীতে ২ লাখ ১৬ হাজার টাকা উত্তোলন করা হয়। এখানে এতিম রয়েছে মাত্র ৫ জন। উপজেলায় একই রকম চিত্র প্রায় সকল এতিমখানা ও শিশু সদনের।
বদলগাছী উপজেলা সমাজসেবা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) রোকনুজ্জামান বলেন, অনিয়ম যা হয়েছে তা আমার যোগদানের আগে হয়েছে। আমার যোগদানের আগের চাহিদা অনুযায়ী যে টাকা গুলো এসে সেগুলো আমি দিয়েছি। আর আমি যে চাহিদা দিয়েছি তা যাচাই বাছাই করে নিয়মের মধ্যেই দিয়েছি।
নওগাঁ জেলা সমাজ সেবা অফিসের উপ- পরিচালক নূর মোহাম্মদ এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমরা এতিমখানার অনিয়মের বিষয়ে বেশ কিছু অভিযোগ পেয়েছি। আমরা জেলার সরকটি এতিমখানায় মনিটরিং শুরু করেছি। অনিয়াম থাকলে আইনের আওতায় নেওয়া হবে।