
নিজস্ব প্রতিবেদক
কলাপাড়ায় ওয়েস্টার্ন কোম্পানির নৈশ প্রহরী শাহাদাৎ হোসেন কে আটকে রেখে ৬ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার কলিক দিনেশসহ তাদের উদ্ধার করতে যাওয়া আরও চার প্রহরীকে বেধরক পিটিয়ে গুরুত্বর জখম করেছে। গত বুধবার সন্ধায় উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের পাচজুনিয়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে। ঐ রাতে শাহাদাৎ কে ডেকে নিয়ে আটকে রেখে শুক্রবার ১৬.০২.২০২৪ইং তারিখ সকালে ধানখালী একটা বিলের মধ্যে ফেলে রেখে যায়।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় নাজমুল মৃধা, শওকত, বেল্লালসহ ১০/১২ জন কে দায়ী করেছেন ভুক্তভোগীরা।
ভুক্তভোগী শাহাদাৎ হোসেন জানান, কাজের সাইডে তেল কম হয়, এই তেল গুলো নাজমুল ও শওকতসহ আরো অনেকে চুরি করে। এতে বাধা দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে বুধবার সন্ধায় বাহিরে গেলে তাকে ডেকে নিয়ে যায় শওকত ও জাকার। বিলের মধ্যে নিয়ে অত্যাচার শুরু করে। তার কলিক দিনেসকে ফোন করে নিলে তাকেও নির্যাতন করে আটকে রাখে। বাচাতে নৈশ প্রহরী রাকিব, মনির, লিমন, মফিজুল গেলে তাদেরকেও মেরে আহত করে এবং মফিজুলের মটরসাইকেল আটকে রাখে। পরে সবাইকে ছেরে দিলেও শাহাদাৎকে আটকে রেখে অমানুষিক নির্যাতন চালায়। খালি রেপ ও স্টাম্পে স্বাক্ষর রেখে শুক্রবার সকালে ফেলে রেখে যায় ধানখালীর এক বিলে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি সাংবাদিকদের কাছে।
অভিযুক্ত জাকার বলেন, তারা আমাদের কোম্পানিতে নৈশ প্রহরীর চাকুরি করে। তেল চুরি করা অবস্থায় তাদের ধরে জিঞ্জাসাবাদ করলে আমাদের উপর হামলা করে। আমাদেরকে হয়রানি করার জন্য শাহাদাৎকে সাহাবুদ্দিন হাওলাদারের বাড়িতে আটকে রাখা হয়েছে। স্টাম্প, রেফ, মটরসাইকেল কিছুই রাখা হয়নি বলে তিনি জানান।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যন শাহাজাদা পারভেজ টিনু মৃধা বলেন, দুই থেকে তিনশত লোক এসে ঘটনাটি আমাকে জানিয়েছে। প্রকৃত দোষিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দেওয়া হোক।
কলাপাড়া থানার ওসি আলী আহমেদ জানান, এ বিষয় কোন অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।