
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
সিলেটে বেপরোয়া বাসের ধাক্কায় ছয় পুলিশ সদস্য গুরতর আহতের ঘটনায় বাসের সুপারভাইজার র্যাবের হাতে গ্রেফতার।
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এলিট ফোর্স হিসেবে আত্মপ্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই বিভিন্ন ধরনের নৃশংস ও ঘৃণ্যতম অপরাধ বিশেষ করে মাদক উদ্ধার, ধর্ষণ, মানবপাচার, হত্যা মামলা, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, জঙ্গি দমন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, বনদস্যু/জলদস্যু, ডাকাত ও ছিনতাইকারীসহ বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেফতারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। হত্যাসহ যে কোন ধরনের সহিংসতা প্রতিরোধে র্যাবের প্রতিটি সদস্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে জনসাধারণের জন্য একটি নিরাপদ বাসযোগ্য সমাজ তথা দেশ বিনির্মাণে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ খ্রিঃ তারিখে ভোরে সিলেট-সুনামগঞ্জ মহসড়কের তেমুখী পয়েন্টে উপ পুলিশ কমিশনার (উত্তর), এসএমপি, সিলেট মহোদয় পুলিশি অভিযান কার্যক্রম পরিচালনা করছিলেন। এ সময় সুনামগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ‘রিয়েল কোচ’ নামে একটি বাস দ্রুত ও বেপরোয়া গতিতে এসে রাস্তার পাশে পার্কিংরত পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যান এবং পুলিশ সদস্যদের চাপা দেয়।
পরবর্তীতে বাসটির চালক ও সুপারভাইজার দ্রুত পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় পুলিশের উর্ধ্বতন তিন কর্মকর্তাসহ ছয়জন পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয় এবং পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যান ক্ষতিগ্রস্থ হয়। উক্ত ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ০৩ জনের নাম উল্লেখ করে এসএমপির জালালাবাদ থানায় গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ খ্রিঃ তারিখ একটি মামলা দায়ের করেন (মামলা নং- ০৭, তারিখঃ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ইং, ধারাঃ ২০১৮ সনের সড়ক পরিবহন আইনের ৯৮/১০৫)। এরই প্রেক্ষিতে আসামীদের আইনের আওতায় আনতে র্যাব-৯ এই ঘটনার ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করে।
এরই ধারাবাহিকতায় প্রাপ্ত গোয়েন্দা সংবাদের ভিত্তিতে অদ্য ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ খ্রিঃ তারিখ দুপুর ১৫:৩০ ঘটিকার সময় র্যাব-৯ এবং র্যাব-১১ এর যৌথ অভিযানে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বাসটির সুপারভাইজার আসামী জয়নাল (৪০) পিতা-মৃতঃ নিয়ামত খান, জেলা-কুমিল্লাকে গ্রেফতার করা হয়।
পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে গ্রেফতারকৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়াও, যেকোন ধরনের অপরাধীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-৯ এর চলমান গোয়েন্দা তৎপরতা ও অভিযান অব্যাহত থাকবে।