
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
যশোরে পরকীয়ার জেরে স্ত্রীর হাতে স্বামী খুন: র্যাবের অভিযানে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী এবং হত্যায় সহায়তাকারী প্রেমিক রবিউল ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার।
র্যাব ফোর্সেস আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে তরান্বিত করতে এবং সন্মানিত নাগরিকদের জন্য টেকসই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনের আলোকে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে সংগঠিত চাঞ্চল্যকর অপরাধে জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে র্যাব জনগনের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
ভিকটিম জহির হাসান গাজী (৪২) যশোর জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন বকচর এলাকার মৃত হোসেন আলীর ছেলে। ভিকটিমের স্ত্রী সেফালী বেগম (৩৩) এর সাথে আসামী রবিউল ইসলামের পরকীয়া প্রেম ছিল। গত ০৯ মে ২০২৩ তারিখ রাতে ভিকটিমের স্ত্রী তার পরকীয়া প্রেমিক রবিউল ইসলাম এর সহযোগীতায় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে প্রথমে খাবার পানিতে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে ভিকটিম জহির হাসানকে অচেতন করে। পরবর্তীতে বিষাক্ত ইনজেকশন পুশ করে তাকে হত্যা করে।
হত্যাকারী ভিকটিমের স্ত্রী উক্ত হত্যাকে ধামাচাপা দিতে ঘুমের মাঝে স্ট্রোক করে তার স্বামী মারা গেছে বলে প্রচার করে। কিন্তু এলাকাবাসী ভিকটিমের বাম হাতে ইকজেকশন পুশ করাসহ সন্দেহজনক চিহ্ন দেখে থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ভিকটিমের মরদেহ উদ্ধারসহ ভিকটিমের স্ত্রী সেফালী বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হেফাজতে নেয়। উক্ত ঘটনা সম্পর্কে র্যাব-৬, যশোর ক্যাম্প অবহিত হয়ে তাৎক্ষনিক একটি আভিযানিক দল ঘটনাস্থলে পৌছায়। বিস্তারিত তথ্য অনুসন্ধান করে জানতে পারে পরকীয়া প্রেমের জেরে ভিকটিম জহির হাসানকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে বিষাক্ত ইনজেকশন পুশ করে হত্যা করা হয়েছে। উক্ত বিষয়ে ভিকটিমের বোন বাদী হয়ে যশোর কোতয়ালী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। হত্যার পরপরই আত্মগোপনে থাকা হত্যাকারী পরকীয়া প্রেমিক রবিউল ইসলামকে র্যাব-৬, যশোরের একটি আভিযানিক দল গ্রেফতারের লক্ষ্যে অভিযান অব্যাহত রাখে। র্যাব তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আত্মগোপনে থাকা হত্যাকারী পরকীয়া প্রেমিক এর অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ১০ মে ২০২৩ তারিখ সকালে র্যাব-৬, যশোর ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল যশোর জেলার কোতয়ালী মডেল থানার শংকরপুর এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে আত্মগোপনে থাকা হত্যাকারী পরকীয়া প্রেমিক মোঃ রবিউল (৪২), থানা-পাইকগাছা, জেলা-খুলনা, বর্তমান ঠিকানা থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-যশোর’কে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে উক্ত হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। তারা আরো জানায় পূর্বপরিকল্পিতভাবে ঘটনার দিন প্রথমে খাবার পানিতে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে ভিকটিমকে অচেতন করে। পরে মোবাইলের ব্যাটারীর ভেতরের গুড়া এসিড পানিতে মিশিয়ে ইনজেকশনের মাধ্যমে হাতে পুশ করে ফলে ভিকটিমের মৃত্যু হয়।
পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে গ্রেফতারকৃত আসামীকে যশোর কোতয়ালী মডেল থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।