
প্রিন্ট এর তারিখঃ মার্চ ১৭, ২০২৫, ১১:৩৫ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ মার্চ ৩, ২০২৪, ৪:১৩ পি.এম
গোবরের জ্বালানিতে ঝুঁকছেন হাওরাঞ্চলের মানুষ।

মাহফুজ রাজা, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:
সম্প্রতি গ্যাস এবং কাঠের লাকড়ির মূল্য ক্রমশঃ উর্ধ্বগতির কারণে গোবরের জ্বালানিতে ঝুঁকছেন কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চলের নিম্ন আয়ের মানুষ।
গ্রামাঞ্চলের বেশিরভাগ পরিবারেই গরু রয়েছে। গরুর গোবর দিয়েই তৈরি হচ্ছে এসব জ্বালানি। বাড়তি খরচ নেই। ছাই পর্যন্ত কাজে লাগে। এজন্য কদর বেড়েছে এসব জ্বালানির।
জেলার নিকলী, বাজিতপুর, ইটনা, মিঠামইন ও অস্ট্রগ্রাম উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা হাওরবেষ্টিত। যুগ যুগ ধরে হাওরাঞ্চলের মানুষের কাছে জনপ্রিয় জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে চটা ও গুমুট।
গরুর গোবর, ধানের কুড়া ও খড় আর বাঁশের চটি হলেই তৈরি করা যায় এসব জ্বালানি। প্রথমে ধানের খড় গোল করে বিছিয়ে দুপাশে গোবর লেপন দিয়ে তৈরি হয় চটা। পরে রোদে ভালো করে শুকিয়ে স্তূপ করে রাখা হয়। এরপর এগুলো কেটে টুকরা টুকরা করে চুলায় জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
এসব জ্বালানি দিয়ে আগুন ভালো জ্বলে। খাবারেও বাড়তি স্বাদ মেলে। জ্বালানি শেষে এ থেকে বের হওয়া ছাই ফসলের জমিতে ব্যবহার করা হয়। এটি একই সঙ্গে উৎকৃষ্ট সার ও পোকা দমনেও ভূমিকা রাখে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এখন গ্রামাঞ্চলে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়েই দেখা মেলে চটা ও গুমুট। বাড়িতে বাড়িতে স্তূপ করে রাখা হয়েছে। কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চলের গৃহবধুদের দৈনন্দিন রুটিন গোবরের চটা তৈরি করা।বাড়ির পাশে মাঠে,রাস্তার ধারে কিংবা বাড়ির উঠুনে আবার খড়ের ঘরের বেড়াতেও চটা তৈরি করে রাখা হয়েছে।
প্রকাশক ও সম্পাদক মোঃ গোলাম মাওলা শাওন ০১৭১১-০০৬২১৪, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক 01762119992, প্রধান কার্যালয় ৩৪ নুরজাহান শরীফ প্লাজা ৮ম তলা, পুরানা পল্টন ঢাকা ১০০০। ০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০ নিউজ ই-মেইল [email protected] সিভি পাঠান: [email protected]
দৈনিক বাংলার আলো নিউজ জিএমএস বাংলার আলো গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান।