প্রেস বিজ্ঞপ্তি
র্যাব-১ এর ভ্রাম্যমাণ অভিযানে গাজীপুর জেলার টঙ্গী পূর্ব থানা এলাকায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, মেয়াদ উত্তীর্ণ নিবন্ধন এবং অনিবন্ধিত টেকনিশিয়ান দ্বারা প্যাথলজিকাল ল্যাব টেষ্ট, এক্সরে পরিচালনাসহ অন্যান্য বিভিন্ন অপরাধের দায়ে ০৪ টি জেনারেল হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ২,৫০,০০০/- টাকা জরিমানা।
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। সাম্প্রতিককালে রাজধানী ঢাকা ও এর আশেপাশের এলাকায় অবস্থিত বিভিন্ন হাসপাতাল মেয়াদ উত্তীর্ণ ও ভেজাল ওষুধ মজুদ ও বিক্রয় করে আসছে এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ পরীক্ষণ সামগ্রী ব্যবহারের মাধ্যমে জনস্বাস্থ্যকে চরম হুমকির মুখে ফেলে দিচ্ছে।
এসকল প্রতিষ্ঠানকে আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে র্যাব একটি বিশেষ দল গঠন করে গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত রাখে। জনস্বাস্থ্য রক্ষা এবং সবার জন্য সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতকল্পে র্যাব ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান পরিচালনা করে থাকে।
সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে ক্লিনিকে অপচিকিৎসার ফলে বেশ কয়েকজন রোগীর মৃত্যু হয়। কতিপয় অসাধু ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান চিকিৎসার নামে প্রতারনা করে চলেছে বলে জানা যায়। তারা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালনা করে আসছে এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে মেয়াদ উর্ত্তীন রেজিস্ট্রেশন ব্যবহার করে ব্যবসা পরিচালনা করছে মর্মে তথ্য পাওয়া যায়।
এছাড়াও অনিবন্ধিত ল্যাব টেকনিশিয়ান ও প্যাথলজিষ্ট নিয়োগের মাধ্যমে চিকিৎসার মান দিন দিন নিম্ন হয়ে আসছে। যার ফলে জনসাধারণের চরম ভোগান্তির সম্মুখীন হচ্ছে ।
মিথ্যা প্রতারণারোধ এবং মানুষের উন্নত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতকরণে র্যাব উদ্যোগ গ্রহণ করে। এরই প্রেক্ষিতে র্যাব-১ উক্ত বিষয়ে ছায়াহ তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।
এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ০৪ মার্চ ২০২৪ ইং তারিখ আনুমানিক ১০.৩০ ঘটিকা হতে ১৫.৩০ ঘটিকা পর্যন্ত র্যাব-১ এর একটি আভিযানিক দল গাজীপুর জেলার টঙ্গী পূর্ব থানার
১। ফাতেমা জেনারেল হাসপাতাল।
২। সেবা শুশ্রূষা হাসপাতাল।
৩। মাইশা জেনারেল হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার।
৪। নিউ লাইভ হাসপাতাল ও ট্রমা সেন্টার। এ ভ্রাম্যমান অভিযান পরিচালনা করে।
এ সময় র্যাব ফোর্সেস সদর দপ্তরের *নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোঃ আবু হাসান এর নেতৃতে ও সহকারী সার্জন, সিভিল সার্জন গাজীপুর কার্যালয় এর ডাঃ এস এম আহসানুল্লাহ এর সমন্বয়ে পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালত, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৫২ ও ৫৩ ধারা ও মেডিক্যাল এবং ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০ এর ২৯ ধারা মোতাবেক অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মেডিকেল সেন্টার, ডায়াগনস্টিক, চিকিৎসালয় পরিচালনা, অনিবন্ধিত ল্যাব টেকনিশিয়ান ও প্যাথলজিষ্ট দ্বারা এক্সরে ও চিকিৎসা পরীক্ষা করার অপরাধে *মাইশা জেনারেল হাসপাতাল* এর ব্যাবস্থাপক শরীফ হোসেন কে ১,০০,০০০/- টাকা, *সেবা হাসপাতাল* ” এর ব্যাবস্থাপক লিটন খলিফ কে ৫০,০০০/- টাকা, *ফাতিমা জেনারেল হাসপাতাল*’ ব্যবস্থাপক তাজুল ইসলামকে ৮০,০০০/- টাকা, *নিউ লাইভ হাসপাতাল ও ট্রমা সেন্টার* ”এর ব্যাবস্থাপক মো: আশিক উদ্দীন’কে ২০,০০০/- টাকাসহ সর্বমোট ২,৫০,০০০/- টাকা জরিমানা করা হয়।
জরিমানার মাধ্যমে আদায়কৃত টাকা সরকারী কোষাগারে জমা দেয়ার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
স্বাক্ষরিত/-
মোঃ মাহফুজুর রহমান
সহকারী পুলিশ সুপার
সহকারী পরিচালক (মিডিয়া অফিসার)
অধিনায়কের পক্ষে
ফোনঃ ৪৮৯৬৩১৫২
প্রকাশক ও সম্পাদক মোঃ গোলাম মাওলা শাওন ০১৭১১-০০৬২১৪, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক 01762119992, প্রধান কার্যালয় ৩৪ নুরজাহান শরীফ প্লাজা ৮ম তলা, পুরানা পল্টন ঢাকা ১০০০। ০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০ নিউজ ই-মেইল [email protected] সিভি পাঠান: [email protected]