প্রেস রিলিজ
রাজধানীর মোহাম্মাদপুর ও ধানমন্ডি এলাকা থেকে চাঁদাবাজি ও বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ৫টি “কিশোর গ্যাং” গ্রুপের ২৫ জন’কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-২; উদ্ধার করা হয় দেশীয় অস্ত্র।
“বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরনের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাবের সৃষ্টিকাল থেকে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ উদ্ধার, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস, খুনী, ছিনতাইকারী, অপহরণ প্রতারকদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে চাঞ্চল্যকর অপরাধে জড়িতদের দ্রুততম সময়ে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে র্যাব জনগণের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও ধানমন্ডি এলাকায় বেশ কয়েকটি ‘কিশোর গ্যাং’ গ্রুপের সদস্য কর্তৃক চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন ধরণের সন্ত্রাসী কার্যক্রম লক্ষ্য করা যায়। এ সকল সন্ত্রাসীদের হামলা ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক সাধারণ ডায়েরী ও মামলা হয়। বিভিন্ন ‘কিশোর গ্যাং’ এর সন্ত্রাসীরা নিজেদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে এক গ্রুপ অপর গ্রুপের সাথে সংঘাতে জড়িয়ে মারামারি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে জখম করার প্রবণতাও লক্ষ্য করা যায়।
অতি সম্প্রতি মোহাম্মদপুর ও ধানমন্ডি এর আশপাশের এলাকায় বেশ কয়েকটি চাঁদাবাজি ও অন্যান্য সন্ত্রাসী কর্মকান্ড সম্পর্কে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, প্রিন্ট মিডিয়া ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া হতে তথ্য পায় র্যাব। ফলশ্রæতিতে র্যাবের টহল ও গোয়েন্দা কার্যক্রম বৃদ্ধি করা হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল ২৩ মার্চ ২০২৪ ইং র্যাব-২ এর একাধিক আভিযানিক দল রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও ধানমন্ডি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে জড়িত কিশোর গ্যাং “আক্তার গ্রুপ” এর অন্যতম মূলহোতা ১। মোঃ আক্তার (২৪) ও তার সহযোগী ২। মোঃ শাকিল (১৯), ৩। মোঃ রাসেল (২০), ৪। মোঃ ফয়সাল (১৯), ৫। মোঃ আশিক (২৩), কিশোর গ্যাং “মাসুম গ্যাং” এর প্রধান ও ২টি মামলার আসামি ৬। মোঃ মাসুম (২৫) তার সহযোগী ১টি মামলার আসামি ৭। মোঃ শাওন (২৩), কিশোর গ্যাং “পিনিক গ্রুপ” এর গ্যাং লিডার ৮। হাসান (২৯) ও তার সহযোগী ৯। মোঃ মেহেদী হাসান@ রবিন (২৫), ১০। মোঃ আনোয়ার হোসেন (২২), ১১। মোঃ ইমন@ আরকত (২১), কিশোর গ্যাং “বাপ্পী গ্রুপ” এর গ্যাং লিডার ১২। মোঃ বাপ্পি (২৭) ও তার সহযোগী ১৩। মোঃ আব্দুল জলিল (২৭), ১৪। মোঃ আশরাফুল (২২) এবং কিশোর গ্যাং “ লিমন গ্রুপ” এর মূলহোতা ১৫। মোঃ লিমন (২২) ও তার সহযোগী ১৬। মোঃ ফয়সাল প্রকাশ আলিম (২৫), ১৭। মোঃ রাকিব প্রকাশ আকরান (১৯), ১৮। মোঃ সুমন (২৩), ১৯। মোঃ ফিরোজ (৩২), ২০। মোঃ সুজন মৃধা (৩২), ২১। মোঃ মমিন ইসলাম (২০), ২২। মোঃ নয়ন (১৯), ২৩। মোঃ জুয়েল (২৩), ২৪। মোঃ সুমন মিয়া (২১), ২৫। মোঃ রাবেল মিয়া (২২)দের’কে গ্রেফতার করা হয়।
উদ্ধার করা হয় বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রমে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র চাপাতি, ছুরি, চাকু, চাইনিজ কুড়াল, এন্টি কাটার ও বিভিন্ন দেশীয় ধারালো অস্ত্র।
গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ, আদাবর, ঢাকা উদ্যান ও ধানামন্ডি এলাকায় চাঁদাবাজি ও অন্যান্য সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করতো।
উল্লেখিত গ্রুপের সন্ত্রাসীরা একাকী পথচারীদের আকস্মিক ভাবে ঘিরে ধরে চাপাতিসহ ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রী ছিনতাই করে দ্রæত পালিয়ে যায়। তারা বিভিন্ন সময় চাঁদাবাজিসহ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঢাকা উদ্যান, বেড়িবাঁধ, আদাবর, মোহাম্মদপুরসহ এর পাশর্^বর্তী এলাকায় দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারামারিসহ বিভিন্ন ধরণের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করতো।
এছাড়াও তারা মাদক সেবনসহ বর্ণিত এলাকাসমূহে মাদক ব্যবসার সাথেও জড়িত ছিল। গ্রেফতারকৃতরা দিনের বেলায় গাড়ীর ড্রাইভার, হেলপার, দোকানের কর্মচারী, নির্মাণ শ্রমিক, পুরাতন মালামাল ক্রেতা, সবজি বিক্রেতা ইত্যাদি পেশার আড়ালে রাতের বেলায় ছিনতাই ও চাঁদাবাজি করতো বলে জানা যায়।
গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মাদক, ছিনতাই ও মারামারি সংক্রান্ত মামলা রয়েছে এবং এ সকল মামলায় কারাভোগ করেছে বলে জানা যায়। প্রাপ্ত তথ্য যাচাই বাছাই করে র্যাব এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য রাজধানীর বিভিন্ন থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শিহাব করিম, সিনিঃ এএসপি
সিনিঃ সহকারী পরিচালক (মিডিয়া)
পক্ষে অধিনায়ক
মোবাঃ ০১৭৭৭-৭১০২০৩
প্রকাশক ও সম্পাদক মোঃ গোলাম মাওলা শাওন ০১৭১১-০০৬২১৪, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক 01762119992, প্রধান কার্যালয় ৩৪ নুরজাহান শরীফ প্লাজা ৮ম তলা, পুরানা পল্টন ঢাকা ১০০০। ০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০ নিউজ ই-মেইল [email protected] সিভি পাঠান: [email protected]