বাংলাদেশ ০৩:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
জেলা পরিষদের সদস্য ও বাইশারীর কৃতি সন্তানদের গণসংবর্ধনা চট্টগ্রামে আঞ্চলিক গানের কিংবদন্তি শিল্পী শেফালী ঘোষ সরকারি চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎকারি শীর্ষ প্রতারক হাবিবুল্লাহ হাবিব কারিকরকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। জিয়া সেতুতে অবৈধ ডাম্প ট্রাক না চলার হুঁশিয়ারি ঘূর্ণিঝড় সিডর স্মরণে রাঙ্গাবালীতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন। কালুরঘাট সেতুর কাজ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে : সেতু উপদেষ্টা ব্রাহ্মণপাড়ায় বিপুল পরিমাণ মাদক ও অবৈধ ভারতীয় মালামাল জব্দ পীরগঞ্জে আবু সাঈদের কবর জেয়ারত করেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক। ইন্দুরকানিতে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল পিরোজপুরে জোড়া খুন এর মামলায় ২১ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী খাগড়াছড়ি থেকে গ্রেপ্তার বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে আলোচনা ও আপনজন সম্মাননা চাঁদা আদায়ের উদ্দেশ্যে অপহৃত মসজিদের ইমাম হাফেজ সোলাইমান কে উদ্ধার অপহরণকারী দাদনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। নাটোরে ভোরের চেতনা পত্রিকার ২৬ তম বর্ষপূর্তী উদযাপিত। বিস্ফোরক আইনে প্রধান শিক্ষক শফিক গ্রেফতার বিএনপি নেতা – কর্মীদের ওপর বোমা হামলার অভিযোগ

হত্যা মামলা, অস্ত্র মামলা, অপহরণ, চাঁদাবাজি, বিস্ফোরক, ডাকাতি ও অন্যান্য সর্বমোট ০৯ টি মামলার পলাতক চরমপন্থী দলের সদস্য খায়রুল ইসলাম গাইন কে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১১:০১:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ ২০২৪
  • ১৬২৮ বার পড়া হয়েছে

হত্যা মামলা, অস্ত্র মামলা, অপহরণ, চাঁদাবাজি, বিস্ফোরক, ডাকাতি ও অন্যান্য সর্বমোট ০৯ টি মামলার পলাতক চরমপন্থী দলের সদস্য খায়রুল ইসলাম গাইন কে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।

 

 

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

ঢাকা জেলার সাভার থানাধীন খাগান এলাকা হতে কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহের বিভিন্ন থানায় একাধিক চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলা, অস্ত্র মামলা, অপহরণ, চাঁদাবাজি, বিস্ফোরক, ডাকাতি ও অন্যান্য সর্বমোট ০৯ টি মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত পলাতক চরমপন্থী দলের সদস্য খায়রুল ইসলাম গাইন (৩৫)’কে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৩।

 

২৫/০৩/২০২৪ তারিখ ১৬.০০ ঘটিকায় ঢাকা জেলার সাভার থানাধীন খাগান এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহের বিভিন্ন থানায় একাধিক চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলা, অস্ত্র মামলা, অপহরণ, চাঁদাবাজি, বিস্ফোরক, ডাকাতি ও অন্যান্য সর্বমোট ০৯ টি মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত পলাতক চরমপন্থী দলের সদস্য ১। মোঃ খায়রুল ইসলাম গাইন (৩৫), পিতা-মৃত জবেদ আলী গাইন, সাং-পশ্চিম আব্দালপুর, থানা-ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, জেলা-কুষ্টিয়া’কে গ্রেফতার করেছে র‍্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৩।

 

গ্রেফতারকৃত আসামিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ও অনুসন্ধানে জানা যায় যে, সে কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ জেলার একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তার নামে ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুন্ড থানা ও শৈলকুপা থানা, কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানায় হত্যা, অপহরণ, অস্ত্র আইন, চাঁদাবাজি, বিস্ফোরক ও ডাকাতির একাধিক মামলা রয়েছে। ২০১১ সালের নভেম্বরে কুষ্টিয়া জেলার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার অন্তর্গত পশ্চিম আব্দালপুর গ্রামের বাসিন্দা রেজা (৪০)’কে ট্যাটা দিয়ে গ্রেফতারকৃত খায়রুল গাইন নৃশংসভাবে হত্যা করে। হত্যাকান্ডের কারণ ছিল পশ্চিম আব্দালপুর গ্রামের ৪২ বিঘা সরকারী খাস জমির দখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ। ২০১২ সালে ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা থানার চাঞ্চল্যকর বিপুল আরেকটি হত্যা মামলার দায়ে সে অভিযুক্ত হয়।

 

২০১২ সালে কুষ্টিয়ার মিরপুর থানায় অস্ত্র আইনের মামলায় গ্রেফতারকৃত খায়রুল গাইন অস্ত্রসহ গ্রেফতার হয়। উভয় মামলায় অভিযুক্ত হয়ে সে ২১ মাস জেল খেটে জামিনে মুক্ত হয়। ২০১৮ সালে কুষ্টিয়া জেলার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত ২০১২ সালের অস্ত্র আইনের মামলায় তাকে ১৭ বছরের কারাদন্ড প্রদান করেন। জামিনে থাকা অবস্থায় ২০১৫ সালে ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুন্ড থানায় তার নামে একটি অপহরণ মামলা দায়ের হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, হরিণাকুন্ড থানাধীন বাগচোয়া লক্ষীপুর গ্রামের জনৈক মিন্টু মালতের ছেলেকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়। এছাড়াও ২০১৬ সালে কুষ্টিয়া জেলার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার বিজয় কুমার দাসের ছেলেকে অপহরণপূর্বক মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে আরেকটি অপহরণ মামলা দায়ের করা হয়।

 

২০১৭ সালে তার বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া জেলার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানায় অস্ত্র আইনে পৃথক একটি মামলা হয়। অস্ত্র ও বিস্ফোরকসহ ডাকাতির প্রস্তুতি কালে হাতেনাতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এসময় কুষ্টিয়া জেলা কারাগারে ১৯ মাস জেল খেটে ২০১৯ সালে জামিনে মুক্ত হয়। ২০২০ সালে কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালত উক্ত মামলায় সংশ্লিষ্টতার দায়ে তাকে ১০ বছরের কারাদন্ড প্রদান করেন।

 

গ্রেফতারকৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায় যে, কুষ্টিয়া জেলার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানাধীন পশ্চিম আব্দালপুরে কুখ্যাত চরমপন্থী কালু মিয়া সম্পর্কে তার চাচা হয়। ২০০৯ সালে চরমপন্থী কালুর নেতৃত্বে কুষ্টিয়া সদর থানাধীন এলাকায় চাঞ্চল্যকর দেহ থেকে মাথা কেটে তিনজনকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। গ্রেফতারকৃত খায়রুল গাইন চরমপন্থী কালুর অত্যন্ত বিশ্বস্ত সহচর ছিল। ২০১০ সাল থেকেই কালুর সাথে তার সখ্যতা গড়ে উঠে।

 

হত্যাকান্ডের পর সে আরও কালুর নিকটে চলে যায়। ২০১৭ সালে গ্রেফতারের পূর্ব পর্যন্ত যখনই সে জেলের বাইরে থাকতো তখনই সে কালুর সহচর হিসেবে দুষ্কর্মে সহযোগিতা করে আসছিলো। সে কালুর সাথে সম্পৃক্ত থেকে বিভিন্ন অপহরণ এবং মুক্তিপণ আদায়ে অংশগ্রহণ করতো। সে পশ্চিম আব্দালপুর গ্রামে কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত চরমপন্থী সদস্যদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করতো।

 

গ্রেফতারকৃত আসামি ২০১৯ সালে জামিনে মুক্ত হয়ে ঢাকা জেলার সাভার থানাধীন খাগান এলাকায় এসে আত্মগোপন করে। সেখানে সে নিজের প্রকৃত নাম পরিচয় গোপন করে ছদ্মনাম ও পরিচয় ব্যবহার করে দীর্ঘদিন যাবৎ একটি স্বনামধন্য এগ্রো প্রতিষ্ঠানে গরুর ফার্মে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলো। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গ্রেফতার এড়াতে সে আর কখনো কুষ্টিয়ায় নিজ গ্রামে ফেরত যায়নি। সে স্ত্রীসহ দুই ছেলেকে নিয়ে খাগান এলাকায় আত্মগোপনে ছিল।

 

গ্রেফতারকৃত খায়রুল গাইন নিরক্ষর। উল্লেখ্য যে, আট বছর বয়সে তার বাবা পশ্চিম আব্দালপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত জবেদ আলী ১৯৯৬ সালে গ্রামের দুই পক্ষের কোন্দলে ট্যাটার আঘাতে নৃশংসভাবে হত্যাকান্ডের শিকার হয়। সে ছোটবেলা হতে কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো এবং চাচাদের সহযোগিতায় বেড়ে উঠে। ২০১৭ সালে গ্রেফতার হওয়ার আগে ২০১৫/১৬ সালে সে গ্রামে কাঁচামালের ব্যবসা করতো। গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

মোঃ শামীম হোসেন
সহকারী পুলিশ সুপার
স্টাফ অফিসার (মিডিয়া)
পক্ষে পরিচালক

 

 

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

জেলা পরিষদের সদস্য ও বাইশারীর কৃতি সন্তানদের গণসংবর্ধনা

হত্যা মামলা, অস্ত্র মামলা, অপহরণ, চাঁদাবাজি, বিস্ফোরক, ডাকাতি ও অন্যান্য সর্বমোট ০৯ টি মামলার পলাতক চরমপন্থী দলের সদস্য খায়রুল ইসলাম গাইন কে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।

আপডেট সময় ১১:০১:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ ২০২৪

 

 

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

ঢাকা জেলার সাভার থানাধীন খাগান এলাকা হতে কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহের বিভিন্ন থানায় একাধিক চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলা, অস্ত্র মামলা, অপহরণ, চাঁদাবাজি, বিস্ফোরক, ডাকাতি ও অন্যান্য সর্বমোট ০৯ টি মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত পলাতক চরমপন্থী দলের সদস্য খায়রুল ইসলাম গাইন (৩৫)’কে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৩।

 

২৫/০৩/২০২৪ তারিখ ১৬.০০ ঘটিকায় ঢাকা জেলার সাভার থানাধীন খাগান এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহের বিভিন্ন থানায় একাধিক চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলা, অস্ত্র মামলা, অপহরণ, চাঁদাবাজি, বিস্ফোরক, ডাকাতি ও অন্যান্য সর্বমোট ০৯ টি মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত পলাতক চরমপন্থী দলের সদস্য ১। মোঃ খায়রুল ইসলাম গাইন (৩৫), পিতা-মৃত জবেদ আলী গাইন, সাং-পশ্চিম আব্দালপুর, থানা-ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, জেলা-কুষ্টিয়া’কে গ্রেফতার করেছে র‍্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৩।

 

গ্রেফতারকৃত আসামিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ও অনুসন্ধানে জানা যায় যে, সে কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ জেলার একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তার নামে ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুন্ড থানা ও শৈলকুপা থানা, কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানায় হত্যা, অপহরণ, অস্ত্র আইন, চাঁদাবাজি, বিস্ফোরক ও ডাকাতির একাধিক মামলা রয়েছে। ২০১১ সালের নভেম্বরে কুষ্টিয়া জেলার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার অন্তর্গত পশ্চিম আব্দালপুর গ্রামের বাসিন্দা রেজা (৪০)’কে ট্যাটা দিয়ে গ্রেফতারকৃত খায়রুল গাইন নৃশংসভাবে হত্যা করে। হত্যাকান্ডের কারণ ছিল পশ্চিম আব্দালপুর গ্রামের ৪২ বিঘা সরকারী খাস জমির দখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ। ২০১২ সালে ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা থানার চাঞ্চল্যকর বিপুল আরেকটি হত্যা মামলার দায়ে সে অভিযুক্ত হয়।

 

২০১২ সালে কুষ্টিয়ার মিরপুর থানায় অস্ত্র আইনের মামলায় গ্রেফতারকৃত খায়রুল গাইন অস্ত্রসহ গ্রেফতার হয়। উভয় মামলায় অভিযুক্ত হয়ে সে ২১ মাস জেল খেটে জামিনে মুক্ত হয়। ২০১৮ সালে কুষ্টিয়া জেলার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত ২০১২ সালের অস্ত্র আইনের মামলায় তাকে ১৭ বছরের কারাদন্ড প্রদান করেন। জামিনে থাকা অবস্থায় ২০১৫ সালে ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুন্ড থানায় তার নামে একটি অপহরণ মামলা দায়ের হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, হরিণাকুন্ড থানাধীন বাগচোয়া লক্ষীপুর গ্রামের জনৈক মিন্টু মালতের ছেলেকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়। এছাড়াও ২০১৬ সালে কুষ্টিয়া জেলার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার বিজয় কুমার দাসের ছেলেকে অপহরণপূর্বক মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে আরেকটি অপহরণ মামলা দায়ের করা হয়।

 

২০১৭ সালে তার বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া জেলার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানায় অস্ত্র আইনে পৃথক একটি মামলা হয়। অস্ত্র ও বিস্ফোরকসহ ডাকাতির প্রস্তুতি কালে হাতেনাতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এসময় কুষ্টিয়া জেলা কারাগারে ১৯ মাস জেল খেটে ২০১৯ সালে জামিনে মুক্ত হয়। ২০২০ সালে কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালত উক্ত মামলায় সংশ্লিষ্টতার দায়ে তাকে ১০ বছরের কারাদন্ড প্রদান করেন।

 

গ্রেফতারকৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায় যে, কুষ্টিয়া জেলার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানাধীন পশ্চিম আব্দালপুরে কুখ্যাত চরমপন্থী কালু মিয়া সম্পর্কে তার চাচা হয়। ২০০৯ সালে চরমপন্থী কালুর নেতৃত্বে কুষ্টিয়া সদর থানাধীন এলাকায় চাঞ্চল্যকর দেহ থেকে মাথা কেটে তিনজনকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। গ্রেফতারকৃত খায়রুল গাইন চরমপন্থী কালুর অত্যন্ত বিশ্বস্ত সহচর ছিল। ২০১০ সাল থেকেই কালুর সাথে তার সখ্যতা গড়ে উঠে।

 

হত্যাকান্ডের পর সে আরও কালুর নিকটে চলে যায়। ২০১৭ সালে গ্রেফতারের পূর্ব পর্যন্ত যখনই সে জেলের বাইরে থাকতো তখনই সে কালুর সহচর হিসেবে দুষ্কর্মে সহযোগিতা করে আসছিলো। সে কালুর সাথে সম্পৃক্ত থেকে বিভিন্ন অপহরণ এবং মুক্তিপণ আদায়ে অংশগ্রহণ করতো। সে পশ্চিম আব্দালপুর গ্রামে কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত চরমপন্থী সদস্যদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করতো।

 

গ্রেফতারকৃত আসামি ২০১৯ সালে জামিনে মুক্ত হয়ে ঢাকা জেলার সাভার থানাধীন খাগান এলাকায় এসে আত্মগোপন করে। সেখানে সে নিজের প্রকৃত নাম পরিচয় গোপন করে ছদ্মনাম ও পরিচয় ব্যবহার করে দীর্ঘদিন যাবৎ একটি স্বনামধন্য এগ্রো প্রতিষ্ঠানে গরুর ফার্মে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলো। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গ্রেফতার এড়াতে সে আর কখনো কুষ্টিয়ায় নিজ গ্রামে ফেরত যায়নি। সে স্ত্রীসহ দুই ছেলেকে নিয়ে খাগান এলাকায় আত্মগোপনে ছিল।

 

গ্রেফতারকৃত খায়রুল গাইন নিরক্ষর। উল্লেখ্য যে, আট বছর বয়সে তার বাবা পশ্চিম আব্দালপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত জবেদ আলী ১৯৯৬ সালে গ্রামের দুই পক্ষের কোন্দলে ট্যাটার আঘাতে নৃশংসভাবে হত্যাকান্ডের শিকার হয়। সে ছোটবেলা হতে কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো এবং চাচাদের সহযোগিতায় বেড়ে উঠে। ২০১৭ সালে গ্রেফতার হওয়ার আগে ২০১৫/১৬ সালে সে গ্রামে কাঁচামালের ব্যবসা করতো। গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

মোঃ শামীম হোসেন
সহকারী পুলিশ সুপার
স্টাফ অফিসার (মিডিয়া)
পক্ষে পরিচালক