
নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানী ঢাকার আশকোনার চাঞ্চল্যকর শাকিব (১৩) হত্যাকান্ডের সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত কিশোর অপরাধী মোঃ সাকিব (১৬)’কে পূর্বাচল উপশহর হতে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১।
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সবসময় বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে অত্যন্ত অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাবের সৃষ্টিকাল থেকে এ পর্যন্ত হত্যাকারী, অপহরণকারী, সন্ত্রাসী, এজাহারনামীয় আসামী, ছিনতাইকারী, চাঁদাবাজ, প্রতারকচক্র, ধর্ষণকারী, পর্ণোগ্রাফি বিস্তারকারী, চোরাকারবারীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বিশেষত সাম্প্রতিক সময়ে অনেকগুলো ক্লুলেস ও চাঞ্চল্যকর হত্যা ঘটনার দ্রæততম সময়ে নিষ্পত্তি করে র্যাব সাধারণ জনগণের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
ভিকটিম শাকিব (১৩), পিতা-আশ্রম আলী, মাতা- লাইজু আক্তার, সাং- আশকোনা, থানা- দক্ষিণখান, ডিএমপি, ঢাকা। ভিকটিম একজন ইজি বাইক চালক। গত ০৫/০৪/২০২৪ ইং তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ০৬৩০ ঘটিকার সময় ভিকটিম শাকিব যাত্রী আনা নেয়া করার জন্য ইজি বাইক নিয়ে বের হয়। কিশোর অপরাধী সাকিব, মাছুম ও ইব্রাহীম পূর্ব হতে ভিকটিম শাকিব কর্তৃক চালিত ইজি বাইকটি ছিনতাই করার পরিকল্পনা করে।
তদানুযায়ী ০৫/০৪/২০২৪ ইং তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ০৬.৪৫ ঘটিকার সময় খিলক্ষেত থানাধীন বটতলা নামক স্থানে ভিকটিম শাকিব ইজি বাইক নিয়ে আসলে পূর্ব হতে বটলায় থাকা কিশোর অপরাধী মোঃ সাকিব, ইব্রাহীম এবং মাছুম খিলক্ষেত বরুয়া এলাকা যাওয়ার জন্য ভিকটিম শাকিব এর সাথে ৬০ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করে ইজি বাইকে উঠে।
পরবর্তীতে কিশোর অপরাধী সাকিব সহ অন্যান্যরা বরুয়া না গিয়ে ভিকটিমকে নীলা মাকের্টে যাওয়ার কথা বলে। ভিকটিম শাকিব যেতে অপরাগতা প্রকাশ করলে কিশোর অপরাধীরা তাকে জোর করে পূর্বাচল উপশহর এলাকায় নিয়ে আসে। তারা ভিকটিম শাকিবকে নিয়ে রাত অনুমান ০৯.৩০ ঘটিকা পর্যন্ত পূর্বাচল উপশহরের বিভিন্ন সেক্টরে ঘুরাফেরা করে।
পরবর্তীতে কিশোর অপরাধীরা ভিকটিম শাকিবকে পূর্বাচল উপশহর ১৯নং সেক্টরে প্রস্তাবিত ১৪২ তলা বিল্ডিং এর নিকটবর্তী নির্জন স্থানে নিয়ে রাত অনুমান ০৯.৪৫ ঘটিকার সময় নাকে ও মুখে স্কচটেপ পেঁচিয়ে শ^াসরোধ করে হত্যা করে এবং হাতে পায়ে স্কচটেপ পেঁচিয়ে বেঁধে ব্রীজের নীচে ফেলে দেয়।
পরে ভিকটিম শাকিবরে মৃত্যু নিশ্চিত করে লাশ গুম করার জন্য উপশহরের নির্মাণাধীন ড্রেনে ফেলে লাশের উপর বিভিন্ন ধরণের গাছের পাতা দিয়ে ঢেকে দেয়। ভিকটিম শাকিব রাতে বাসায় না ফেরায় তার পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করে। অদ্য ০৬/০৪/২০২৪ ইং তারিখ সকাল ১০.০০ ঘটিকার সময় স্থানীয় লোকজন ড্রেনের মধ্যে একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে খবর দিলে র্যাব-১, সিপিসি-৩ এর গোয়েন্দা দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে। অনুসন্ধান কালে মৃতের নাম ঠিকানা জানতে পারে এবং এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের খুঁজে বের করার তৎপরতা শুরু করে।
এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ০৬ এপ্রিল ২০২৪ তারিখ ১৪.০০ ঘটিকায় র্যাব-১, সিপিসি-৩ এর একটি আভিযানিক দল তথ্য প্রযুক্তি ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হত্যাকান্ডের সরাসরি জড়িত কিশোর অপরাধী আসামী মোঃ সাকিব (১৬), পিতা- মোঃ কাঞ্চন মিয়া, মাতা- মোছাঃ মাকছুদা বেগম, সাং- বাগলীপুর, থানা- তজুমদ্দিন, জেলা-ভোলা এ/পি সাং- মধ্যপাড়া (আনু মিয়ার বাড়ীর ভাড়াটিয়া), থানা- খিলক্ষেত, ডিএমপি, ঢাকা-কে পূর্বাচল উপশহর এলাকা হতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।