
পিরোজপুর প্রতিনিধি :
নিরাপদ সড়ক চাই ও ঝুকিমুক্ত পরিবহন দাবিতে পিরোজপুর সদর উপজেলার ৭ নং শংকরপাশা ইউনিয়নের শংকরপাশা ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে স্থানীয় জনসাধারণের সমন্বয়ে এবং অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও মেম্বার সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে বেলা ১১ঃ৩০ ঘটিকার সময় এক শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন অনুষ্ঠানে শংকরপাশা ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন এর আহ্বায়ক হাসান মোহাম্মদ পারভেজ সহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিকার চেয়ে মূল্যবান বক্তব্য পেশ করেন।
মানববন্ধনে ৭ নং শংকরপাশা ইউনিয়নের স্কুল গোলাম হায়দার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস ওহি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা স্বার্থে বলেন, যে অত্র প্রতিষ্ঠানে প্রায় চারশত থেকে পাঁচশত শিক্ষার্থী রয়েছে তারা প্রতিদিন স্কুলে আসা এবং যাওয়ার ক্ষেত্রে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার হন। ইতিপূর্বে তাদের সহপাঠী সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুলের সম্মুখেই নিহত হয়েছিলেন। তাই তিনি সকল শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে স্কুলের সম্মুখে একটি ঢালাই স্পিড ব্রেকারের জোরালো আবেদন করেন।
আরো বক্তব্য প্রদান করেন মোঃ কাউসার হোসেন তিনি এ সড়কের বারবার দুর্ঘটনার কারণ সমূহ চিহ্নিত করে বলেন, অদক্ষ ড্রাইভার এবং রেজিস্ট্রেশন বিহীন গাড়ি, রাস্তার দুই ধারে ঝুঁকিপূর্ণ গাছ বৈদ্যুতিক খুঁটি এবং যত্রতত্র ট্রাকে মাল লোড আন লোডসহ বিভিন্ন বিষয়ে উপস্থাপন করেন এবং প্রতিকারে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
পরবর্তীতে অত্র মানববন্ধনের অন্যতম সমন্বয়কারী মোঃ শামসুদ্দোহা তিনি তার বক্তব্যে বলেন, গত ৮ মার্চ ২০২৪ ইংরেজি তারিখ সকাল ১১:৩০ ঘটিকার সময় একটি সড়ক দুর্ঘটনায় সাতজন প্রাণ হারিয়েছেন এবং বহু লোক আহত হয়েছেন তিনি অল্পের জন্য বেঁচে গিয়েছেন। তিনি তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন যে এই সড়কটি ক্রমাগত একটি ভয়াবহ সড়কে পরিণত হতে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন গত ৮ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১০ জন সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন। প্রতিদিনই সড়ক দুর্ঘটনা এ রাস্তায় লেগেই থাকে।
তাই তিনি দাবি করেন যে পিরোজপুর পুরাতন বাস স্ট্যান্ড থেকে টগড়া ফেরিঘাট পর্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে স্পিড ব্রেকার ঝুঁকিপূর্ণ গাছ ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যুতের খুঁটি সমূহ দ্রুত অপসারণ করা একান্ত প্রয়োজন। এ বিষয়ে তিনি প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী সড়ক ও জনপদ, চেয়ারম্যান জেলা পরিষদ পিরোজপুর বনও বিদ্যুৎ বিভাগ পিরোজপুর এর দৃষ্টিআকর্ষণ কামনা করেন।
তিনি আরো উল্লেখ করেন যে পিরোজপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে টগরা ফেরিঘাট পর্যন্ত কমপক্ষে তিনজন ট্রাফিক থাকা একান্ত আবশ্যক। তাছাড়া পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে ভান্ডারিয়া মঠবাড়িয়া ও ইন্দুরকানির বাস গুলি অনৈতিকভাবে অবস্থান করে ছাড়ার নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে যাত্রা শুরু করায় তাদেরকে রাস্তায় নির্ধারিত স্পিডের দ্বিগুণ গতিতে চালিয়ে ফেরী ধরতে হয় ফলে এ কারণে নানান সড়ক দুর্ঘটনার সৃষ্টি হচ্ছে ফলে সাধারণ জনগণ তার পিতা-মাতা ও সন্তান হারাচ্ছেন যা মোটেই কাম্য নয়। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার এবং জেলা বাস মালিক সমিতির সুদৃষ্টি কামনা করেন।
সর্বশেষ বক্তব্য রাখেন স্থানীয় চেয়ারম্যান মো: তোফাজ্জেল হোসেন মল্লিক স্বপন সভাপতি উপজেলা আওয়ামী লীগ পিরোজপুর তিনি তার বক্তব্য একই দাবি দাওয়া সমূহ উল্লেখ করেন এবং মাননীয় জেলা প্রশাসক প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী সড়ক ও জনপথ চেয়ারম্যান জেলা পরিষদ বন বিভাগ নির্বাহী প্রকৌশলী বিদ্যুৎ এবং বাস মালিক সমিতির সকলের দৃষ্টি আকর্ষণপূর্বক সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিকারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেন এবং তিনি তার বক্তব্য সমাপ্তি ঘোষণা করেন।