বাংলাদেশ ০৬:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
জেলা পরিষদের সদস্য ও বাইশারীর কৃতি সন্তানদের গণসংবর্ধনা চট্টগ্রামে আঞ্চলিক গানের কিংবদন্তি শিল্পী শেফালী ঘোষ সরকারি চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎকারি শীর্ষ প্রতারক হাবিবুল্লাহ হাবিব কারিকরকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। জিয়া সেতুতে অবৈধ ডাম্প ট্রাক না চলার হুঁশিয়ারি ঘূর্ণিঝড় সিডর স্মরণে রাঙ্গাবালীতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন। কালুরঘাট সেতুর কাজ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে : সেতু উপদেষ্টা ব্রাহ্মণপাড়ায় বিপুল পরিমাণ মাদক ও অবৈধ ভারতীয় মালামাল জব্দ পীরগঞ্জে আবু সাঈদের কবর জেয়ারত করেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক। ইন্দুরকানিতে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল পিরোজপুরে জোড়া খুন এর মামলায় ২১ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী খাগড়াছড়ি থেকে গ্রেপ্তার বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে আলোচনা ও আপনজন সম্মাননা চাঁদা আদায়ের উদ্দেশ্যে অপহৃত মসজিদের ইমাম হাফেজ সোলাইমান কে উদ্ধার অপহরণকারী দাদনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। নাটোরে ভোরের চেতনা পত্রিকার ২৬ তম বর্ষপূর্তী উদযাপিত। বিস্ফোরক আইনে প্রধান শিক্ষক শফিক গ্রেফতার বিএনপি নেতা – কর্মীদের ওপর বোমা হামলার অভিযোগ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সৌন্দর্য বিলাচ্ছে আগুনরঙা কৃষ্ণচূড়া

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১২:২৯:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ মে ২০২৪
  • ১৬৭৭ বার পড়া হয়েছে

 

 

 

 

রাবি প্রতিনিধি:
গ্রীষ্মের তাপদাহে চারদিকে কাঠফাটা রোদ্দুর, মাঝে মধ্যে দমকা হাওয়ায় দোল খাচ্ছে নজরকাড়া টুকটুকে লাল ফুল। চলতি পথে হঠাৎ করেই পথিকের চোখে এনে দিচ্ছে শিল্পের দ্যোতনা। মন ছুঁয়ে রঙিন দৃষ্টিতে অবাক হয়ে সেই সৌন্দর্য উপভোগ করছে সবাই। এমনই নয়নাভিরাম কৃষ্ণচূড়া ফুলের মায়ায় জড়িয়েছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিদ্যাপীঠ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

কৃষ্ণচূড়ার তাৎপর্য বুঝাতে তাইতো রবী ঠাকুর গেয়েছেন, গন্ধে উদাস হাওয়ার মতো উড়ে তোমার উত্তরী কর্ণে, তেমার কৃষ্ণচূড়ার মঞ্জরী।

গ্রীষ্মের শুরুতেই এই বিশাল ক্যাম্পাস যেন লাল রঙে ছেয়ে গেছে। যা দেখে মনে হচ্ছে এ যেন কৃষ্ণচূড়ার এক বৃহৎ আড্ডা স্থল। সূর্যের সবটুকু উত্তাপ কেড়ে নিয়েছে টুকটুকে লাল কৃষ্ণচূড়া। প্রখর রোদে পুড়ে জানান দিচ্ছে তার সৌন্দর্যের বার্তা। প্রকৃতিতে নীল আকাশের ক্যানভাসে জ্বলছে গাঢ় রক্তিম রঙ, এ যেন লাল রঙের এক মায়াবী ক্যানভাস।

ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও সত্যেন্দ্রনাথ বসু অ্যাকাডেমিক ভবন, পশ্চিমপাড়া এলাকায় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হল, পরিবহণ মার্কেটে এনামুল ভাইয়ের চায়ের দোকানের উপরে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, পূর্বপাড়া মসজিদের সামনের রাস্তার ধারে, বধ্যভূমি এলাকার পুকুর পাড়ে এবং চারুকলা চত্বরসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় রঙ ছড়াচ্ছে চোখ জুড়ানো কৃষ্ণচূড়া।

কৃষ্ণচূড়া ফুলের বর্ণ-বৈচিত্র লক্ষণীয়। গাঢ় লাল, লাল, কমলা, হলুদ এবং হালকা হলুদের এক দীর্ঘ বর্ণালীতে বিস্তৃত এর পাপড়ির রঙ। প্রথম ফোটার উচ্ছ্বাস আস্তে আস্তে স্তিমিত হয়ে আসলেও বর্ষার শেষ পর্যন্ত কৃষ্ণচূড়ার গাছ থেকে ফুলের রেশ হারিয়ে যায় না। শুধু ফুল নয়, পাতার ঐশ্বর্যেও কৃষ্ণচূড়া অনন্য। এই পাতার সবুজ রঙ এবং সূক্ষ্ম আকৃতি অতিশয় আকর্ষণীয়।

কৃষ্ণচূড়া মূলত লাল রঙে দেখতে হলেও উদ্ভিদ বিজ্ঞানীরা বলছেন, কৃষ্ণচূড়া তিন রঙের হয়ে থাকে। লাল, হলুদ ও সাদা। এটি একটি বৃক্ষ জাতীয় উদ্ভিদ যার বৈজ্ঞানিক নাম ডেলোনিক্স রেজিয়া (Delonix regia)। ফ্যাবেসি (Fabaceae) পরিবারের অন্তর্গত এই বৃক্ষটি গুলমোহর নামেও পরিচিত। কৃষ্ণচূড়া উদ্ভিদ উচ্চতায় কম (সর্বোচ্চ ১২ মিটার) হলেও শাখা-পল্লবে এটি বেশি অঞ্চলব্যাপী ছড়ায়। ফুলগুলো বড় চারটি পাপড়ি যুক্ত। যা প্রায় ৮ সেন্টিমিটারের মত লম্বা হতে পারে। কৃষ্ণচূড়া জটিল পত্র বিশিষ্ট এবং উজ্জ্বল সবুজ। প্রতিটি পাতা ৩০-৫০ সেন্টিমিটার লম্বা এবং ২০-৪০ টি উপপত্র বিশিষ্ট। ভারতবর্ষে এপ্রিল-জুন সময়কালে কৃষ্ণচূড়া ফুল ফুটলেও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কৃষ্ণচূড়ার ফুল ফোটার সময় ভিন্ন।

কৃষ্ণচূড়ার এই রক্তিম সৌন্দর্যে বিমোহিত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী তাসনিম তাবাচ্ছুম বলেন, ফুল পছন্দ নয় এমন মানুষ খুব কমই পাওয়া যায়। এর মধ্যে কৃষ্ণচূড়া ফুল প্রায় সকলেরই পছন্দের। ক্যাম্পাসে পড়াশোনার ব্যস্ততায় শত ক্লান্তিতেও কৃষ্ণচূড়ার রঙিন সৌন্দর্যে মুহুর্তেই মন ভালো হয়ে যায়। প্রেমময় এই ঋতুতে কৃষ্ণচূড়া ফুল যেন অপরূপ এক সৌন্দর্যের প্রতিচ্ছবি।

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী শামসুল আরিফিন খান বলেন, এই গ্রীষ্মে কৃষ্ণচূড়া ফুল ক্যাম্পাসের সৌন্দর্যকে আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে। আমার মতে কৃষ্ণচূড়া হচ্ছে প্রেমের এক জলজ্যান্ত প্রতীক যা ক্যাম্পাসের সকল প্রেমিককে এক অন্যরকম বন্ধনে আবদ্ধ করে রেখেছে। বেঁচে থাকুক প্রেম, ফুটে থাকুক কৃষ্ণচূড়া।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী তাসনিয়া আক্তার বলেন, এই খটখটে রুক্ষ আবহাওয়ার মধ্যেও যেন এক নয়নাভিরাম বার্তা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে হাজির কৃষ্ণচূড়া। এর নজরকাড়া লাল পাপড়ির সৌন্দর্য ক্যাম্পাসের ক্লান্তিমাখা রূপে প্রাণ ফিরিয়ে দিয়েছে যেন কৃষ্ণচূড়া আর ভালোবাসা একই সুতোয় গাঁথা। যার লালিমার ঝলক ছড়িয়ে পড়েছে সবার মাঝে।

 

 

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

জেলা পরিষদের সদস্য ও বাইশারীর কৃতি সন্তানদের গণসংবর্ধনা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সৌন্দর্য বিলাচ্ছে আগুনরঙা কৃষ্ণচূড়া

আপডেট সময় ১২:২৯:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ মে ২০২৪

 

 

 

 

রাবি প্রতিনিধি:
গ্রীষ্মের তাপদাহে চারদিকে কাঠফাটা রোদ্দুর, মাঝে মধ্যে দমকা হাওয়ায় দোল খাচ্ছে নজরকাড়া টুকটুকে লাল ফুল। চলতি পথে হঠাৎ করেই পথিকের চোখে এনে দিচ্ছে শিল্পের দ্যোতনা। মন ছুঁয়ে রঙিন দৃষ্টিতে অবাক হয়ে সেই সৌন্দর্য উপভোগ করছে সবাই। এমনই নয়নাভিরাম কৃষ্ণচূড়া ফুলের মায়ায় জড়িয়েছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিদ্যাপীঠ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

কৃষ্ণচূড়ার তাৎপর্য বুঝাতে তাইতো রবী ঠাকুর গেয়েছেন, গন্ধে উদাস হাওয়ার মতো উড়ে তোমার উত্তরী কর্ণে, তেমার কৃষ্ণচূড়ার মঞ্জরী।

গ্রীষ্মের শুরুতেই এই বিশাল ক্যাম্পাস যেন লাল রঙে ছেয়ে গেছে। যা দেখে মনে হচ্ছে এ যেন কৃষ্ণচূড়ার এক বৃহৎ আড্ডা স্থল। সূর্যের সবটুকু উত্তাপ কেড়ে নিয়েছে টুকটুকে লাল কৃষ্ণচূড়া। প্রখর রোদে পুড়ে জানান দিচ্ছে তার সৌন্দর্যের বার্তা। প্রকৃতিতে নীল আকাশের ক্যানভাসে জ্বলছে গাঢ় রক্তিম রঙ, এ যেন লাল রঙের এক মায়াবী ক্যানভাস।

ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও সত্যেন্দ্রনাথ বসু অ্যাকাডেমিক ভবন, পশ্চিমপাড়া এলাকায় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হল, পরিবহণ মার্কেটে এনামুল ভাইয়ের চায়ের দোকানের উপরে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, পূর্বপাড়া মসজিদের সামনের রাস্তার ধারে, বধ্যভূমি এলাকার পুকুর পাড়ে এবং চারুকলা চত্বরসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় রঙ ছড়াচ্ছে চোখ জুড়ানো কৃষ্ণচূড়া।

কৃষ্ণচূড়া ফুলের বর্ণ-বৈচিত্র লক্ষণীয়। গাঢ় লাল, লাল, কমলা, হলুদ এবং হালকা হলুদের এক দীর্ঘ বর্ণালীতে বিস্তৃত এর পাপড়ির রঙ। প্রথম ফোটার উচ্ছ্বাস আস্তে আস্তে স্তিমিত হয়ে আসলেও বর্ষার শেষ পর্যন্ত কৃষ্ণচূড়ার গাছ থেকে ফুলের রেশ হারিয়ে যায় না। শুধু ফুল নয়, পাতার ঐশ্বর্যেও কৃষ্ণচূড়া অনন্য। এই পাতার সবুজ রঙ এবং সূক্ষ্ম আকৃতি অতিশয় আকর্ষণীয়।

কৃষ্ণচূড়া মূলত লাল রঙে দেখতে হলেও উদ্ভিদ বিজ্ঞানীরা বলছেন, কৃষ্ণচূড়া তিন রঙের হয়ে থাকে। লাল, হলুদ ও সাদা। এটি একটি বৃক্ষ জাতীয় উদ্ভিদ যার বৈজ্ঞানিক নাম ডেলোনিক্স রেজিয়া (Delonix regia)। ফ্যাবেসি (Fabaceae) পরিবারের অন্তর্গত এই বৃক্ষটি গুলমোহর নামেও পরিচিত। কৃষ্ণচূড়া উদ্ভিদ উচ্চতায় কম (সর্বোচ্চ ১২ মিটার) হলেও শাখা-পল্লবে এটি বেশি অঞ্চলব্যাপী ছড়ায়। ফুলগুলো বড় চারটি পাপড়ি যুক্ত। যা প্রায় ৮ সেন্টিমিটারের মত লম্বা হতে পারে। কৃষ্ণচূড়া জটিল পত্র বিশিষ্ট এবং উজ্জ্বল সবুজ। প্রতিটি পাতা ৩০-৫০ সেন্টিমিটার লম্বা এবং ২০-৪০ টি উপপত্র বিশিষ্ট। ভারতবর্ষে এপ্রিল-জুন সময়কালে কৃষ্ণচূড়া ফুল ফুটলেও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কৃষ্ণচূড়ার ফুল ফোটার সময় ভিন্ন।

কৃষ্ণচূড়ার এই রক্তিম সৌন্দর্যে বিমোহিত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী তাসনিম তাবাচ্ছুম বলেন, ফুল পছন্দ নয় এমন মানুষ খুব কমই পাওয়া যায়। এর মধ্যে কৃষ্ণচূড়া ফুল প্রায় সকলেরই পছন্দের। ক্যাম্পাসে পড়াশোনার ব্যস্ততায় শত ক্লান্তিতেও কৃষ্ণচূড়ার রঙিন সৌন্দর্যে মুহুর্তেই মন ভালো হয়ে যায়। প্রেমময় এই ঋতুতে কৃষ্ণচূড়া ফুল যেন অপরূপ এক সৌন্দর্যের প্রতিচ্ছবি।

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী শামসুল আরিফিন খান বলেন, এই গ্রীষ্মে কৃষ্ণচূড়া ফুল ক্যাম্পাসের সৌন্দর্যকে আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে। আমার মতে কৃষ্ণচূড়া হচ্ছে প্রেমের এক জলজ্যান্ত প্রতীক যা ক্যাম্পাসের সকল প্রেমিককে এক অন্যরকম বন্ধনে আবদ্ধ করে রেখেছে। বেঁচে থাকুক প্রেম, ফুটে থাকুক কৃষ্ণচূড়া।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী তাসনিয়া আক্তার বলেন, এই খটখটে রুক্ষ আবহাওয়ার মধ্যেও যেন এক নয়নাভিরাম বার্তা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে হাজির কৃষ্ণচূড়া। এর নজরকাড়া লাল পাপড়ির সৌন্দর্য ক্যাম্পাসের ক্লান্তিমাখা রূপে প্রাণ ফিরিয়ে দিয়েছে যেন কৃষ্ণচূড়া আর ভালোবাসা একই সুতোয় গাঁথা। যার লালিমার ঝলক ছড়িয়ে পড়েছে সবার মাঝে।