বাংলাদেশ ১০:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
জেলা পরিষদের সদস্য ও বাইশারীর কৃতি সন্তানদের গণসংবর্ধনা চট্টগ্রামে আঞ্চলিক গানের কিংবদন্তি শিল্পী শেফালী ঘোষ সরকারি চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎকারি শীর্ষ প্রতারক হাবিবুল্লাহ হাবিব কারিকরকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। জিয়া সেতুতে অবৈধ ডাম্প ট্রাক না চলার হুঁশিয়ারি ঘূর্ণিঝড় সিডর স্মরণে রাঙ্গাবালীতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন। কালুরঘাট সেতুর কাজ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে : সেতু উপদেষ্টা ব্রাহ্মণপাড়ায় বিপুল পরিমাণ মাদক ও অবৈধ ভারতীয় মালামাল জব্দ পীরগঞ্জে আবু সাঈদের কবর জেয়ারত করেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক। ইন্দুরকানিতে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল পিরোজপুরে জোড়া খুন এর মামলায় ২১ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী খাগড়াছড়ি থেকে গ্রেপ্তার বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে আলোচনা ও আপনজন সম্মাননা চাঁদা আদায়ের উদ্দেশ্যে অপহৃত মসজিদের ইমাম হাফেজ সোলাইমান কে উদ্ধার অপহরণকারী দাদনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। নাটোরে ভোরের চেতনা পত্রিকার ২৬ তম বর্ষপূর্তী উদযাপিত। বিস্ফোরক আইনে প্রধান শিক্ষক শফিক গ্রেফতার বিএনপি নেতা – কর্মীদের ওপর বোমা হামলার অভিযোগ

ঠাকুরগাঁওয়ে ভোটের মাঠের বীরযোদ্ধা অরুণাংশু দত্ত টিটো

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০২:৪৪:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ মে ২০২৪
  • ১৬৪১ বার পড়া হয়েছে

ঠাকুরগাঁওয়ে ভোটের মাঠের বীরযোদ্ধা অরুণাংশু দত্ত টিটো

 

স্টাফ রিপোর্টার

ঠাকুরগাঁওয়ে ভোটের মাঠের বীরযোদ্ধা অরুণাংশু দত্ত টিটো বলে মনে করছেন স্থানীয় জনগণ। ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায়।গত ২ মে উপজেলা নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রতীক বরাদ্দের পর ১৮ দিন প্রচার-প্রচারণার সময় নির্ধারণ করে দিয়ে ২১ মে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৯ জন প্রার্থী।

উক্ত নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড. অরুণাংশু দত্ত টিটো (আনারস প্রতীক), সদর উপঃ আ.লীগের সহ-সভাপতি মোঃ রওশনুল হক তুষার (ঘোড়া প্রতীক), সদর উপঃ আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক রমোঃ মোশারুল ইসলাম সরকার (মোটরসাইকেল প্রতীক), সাবেক ছাত্র নেতা মোঃ কামরুল হাসান খোকন (কাপ পিরিচ প্রতীক) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।

ভাইস চেয়ারম্যানদের মধ্যে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোঃ গেলাম মোস্তফা (উড়োজাহাজ প্রতীক), সদর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুর রশিদ (টিউবওয়েল প্রতীক) এবং রুহিয়া ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম (চশমা প্রতীক) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছাঃ মাসহুরা বেগম হুরা (কলস প্রতীক) এবং সংরক্ষিত সংসদ সদস্য ৩০২ ও নারী সাংসদ ২ দ্রৌপদী আগরওয়ালের বৌমা-প্রিয়া আগরওয়াল (ফুটবল প্রতীক)।

এই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোঃ মোশারুল ইসলাম সরকার ১০৬৬৫৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এ্যাড.অরুণাংশু দত্ত টিটো পেয়েছেন ৯২৪২৪ ভোট।তবে এই নির্বাচনে স্থানীয় সাংসদ ও আ.লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ জনাব রমেশ চন্দ্র সেন পূর্ণ সমর্থন দিয়েছিলেন চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ মোশারুল ইসলাম সরকারকে। শুধু সমর্থন দিয়েই ক্ষান্ত হননি তিনি, সেই সাথে জেলা আ.লীগ, জেলা যুবলীগ, জেলা সেচ্ছাসেবক লীগ, জেলা মহিলা লীগ সহ আ.লীগের সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতৃবৃন্দকে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ মোশারুল ইসলাম সরকার পক্ষে নির্বাচন করার জন্য কঠোর নির্দেশ প্রদান করেছেন। স্থানীয় সাংসদ রমেশ চন্দ্র সেনের নির্দেশ প্রদান করার সত্যতা প্রমানের অংশ হিসেবে রুহিয়া থানা আ.লীগের সহ-দপ্তর সম্পাদক গনেশ চন্দ্র সেন ও ২০ নং রুহিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অনিল চন্দ্র সেনের কয়েকটি ভিডিও ক্লিপ ইতোমধ্যেই হয়েছে।

এখন স্থানীয় জনমত জরিপ বলছে, যে প্রার্থীর পক্ষে স্থানীয় সাংসদ, জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড সহ আ.লীগের সকল স্তরের নেতৃবৃন্দের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় বিজয়ী প্রার্থী মোঃ মোশারুল ইসলাম সরকার পেয়েছেন ১০৬৬৫৫ ভোট,সেখানে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড.অরুণাংশু দত্ত টিটো একার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় পেয়েছেন ৯২৪২৪ ভোট। অথচ অরুণাংশু দত্ত টিটোর সহধর্মিণী বিগত কয়েক বছর যাবৎ মরণ ব্যাধি ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। সহধর্মিণীকে নিয়ে অরুণাংশু দত্ত টিটো কয়েক বছর ধরে ভারতে চিকিৎসা করাতে গিয়ে সর্বশান্ত হয়েছেন। তারপরও শেষ রক্ষা করতে পারেননি, গত ২৫ ফেব্রুয়ারী ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার সহধর্মিণী শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। সহধর্মিণীর মৃত্যুর শোক কাটিয়ে উঠার আগেই চলে আসে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। সহধর্মিণী মৃত্যুর ২ মাস পূর্ণ হওয়ার আগেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল করতে হয়েছে অরুনাংশু দত্ত টিটোকে।

মনে অনেক বড় আশা ছিলো, তার এই দূর্দিনে সবাই পাশে থাকবেন এবং এই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি আবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন।কিন্তু হয়েছে তার উল্টোটা। স্থানীয় সাংসদ থেকে শুরু করে জেলা পর্যায়ের সকল নেতৃবৃন্দ তার বিপক্ষে গিয়ে নির্বাচনে বিজয়ী করেছেন মোঃ মোশারুল ইসলাম সরকারকে। এখন জনগণের মুখে মুখে একটাই কথা ঠাকুরগাঁওয়ে ভোটের মাঠের বীরযোদ্ধা অরুণাংশু দত্ত টিটো। কারণ বিজিত প্রার্থীর পক্ষে স্থানীয় সাংসদ সহ সকল নেতৃবৃন্দের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় পেয়েছেন ১০৬৬৫৫ ভোট, আর শত প্রতিকুলতার মোকাবেলা করেও অরুণাংশু দত্ত টিটো একার ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও জনগণের ভালোবাসায় পেয়েছেন ৯২৪২৪ ভোট। যদি স্থানীয় সাংসদ ও জেলা পর্যায়ের সকল নেতৃবৃন্দ অরুনাংশু দত্ত টিটোর পাশে থাকতো তাহেল তার প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা দেরলক্ষ ছাড়িয়ে যেতো।

সে হিসেবে বলা যায়, ঠাকুরগাঁওয়ের ভোটের মাঠের বীরযোদ্ধা অরুণাংশু দত্ত টিটো জনপ্রিয়তায় সবার শীর্ষে। মানুষের প্রকৃত ভালোবাসা ছিলো বলেই একাই নির্বাচন করেও তিনি এত সংখ্যক পেয়েছেন। তিনি যে শুধু ভোটের মাঠের বীরযোদ্ধা তা নয়, তিনি রাজনীতির মাঠেও বীরযোদ্ধা।কারণ তিনি ছাত্র রাজনীতি দিয়ে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন এবং পরবর্তীতে ঝিমিয়ে পড়া জেলা যুবলীগকে সুসংগঠিত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এক পর্যায়ে উপজেলা ও জেলা আওয়ামিলীগের ক্ষেত্রেও রাখেন অবর্ননীয় ভূমিকা। আ.লীগ সহ সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনকে সঠিক দিক নির্দেশনা দিয়ে সাংগঠনিক কার্যক্রম তরান্বিত করার ক্ষেত্রে অপরিসীম ভূমিকা রেখেছেন এই জনগণের ভালোবাসার ও একমাত্র আস্থার মানুষ এ্যাড. অরুণাংশু দত্ত টিটো। তাই আগামী দিনগুলোতে ভোটের মাঠে ও রাজনীতিতে উভয় ক্ষেত্রেই অরুনাংশু দত্ত টিটোকে শীর্ষ স্থানে দেখতে চায় স্থানীয় জনগণ।

উপজেলার বালিয়া হাটের ভোটার মোঃ গোলাম রব্বানীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে একমাত্র উপযুক্ত প্রার্থী ছিলেন অরুনাংশু দত্ত টিটো দাদা।কারন রাত ৩ টার সময়ও কোন প্রয়োজনে দাদার কাছে গেলে কখনো ফেরত আসতে হয়না।কোননা কোন একটা সমাধান দিয়েই তিনি জনগণকে বিদায় করেন।আবার ফুটানি হাটের ভোটার রনজিৎ রায় বলেন টিটো দাদার মতো প্রার্থী হেরে যাবেন ভাবতেই অবাক লাগতেছে। এখানে টিটো দাদার মতো যোগ্য প্রার্থী দ্বিতীয় আর কেউ ছিলেন না।

 

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

জেলা পরিষদের সদস্য ও বাইশারীর কৃতি সন্তানদের গণসংবর্ধনা

ঠাকুরগাঁওয়ে ভোটের মাঠের বীরযোদ্ধা অরুণাংশু দত্ত টিটো

আপডেট সময় ০২:৪৪:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ মে ২০২৪

 

স্টাফ রিপোর্টার

ঠাকুরগাঁওয়ে ভোটের মাঠের বীরযোদ্ধা অরুণাংশু দত্ত টিটো বলে মনে করছেন স্থানীয় জনগণ। ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায়।গত ২ মে উপজেলা নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রতীক বরাদ্দের পর ১৮ দিন প্রচার-প্রচারণার সময় নির্ধারণ করে দিয়ে ২১ মে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৯ জন প্রার্থী।

উক্ত নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড. অরুণাংশু দত্ত টিটো (আনারস প্রতীক), সদর উপঃ আ.লীগের সহ-সভাপতি মোঃ রওশনুল হক তুষার (ঘোড়া প্রতীক), সদর উপঃ আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক রমোঃ মোশারুল ইসলাম সরকার (মোটরসাইকেল প্রতীক), সাবেক ছাত্র নেতা মোঃ কামরুল হাসান খোকন (কাপ পিরিচ প্রতীক) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।

ভাইস চেয়ারম্যানদের মধ্যে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোঃ গেলাম মোস্তফা (উড়োজাহাজ প্রতীক), সদর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুর রশিদ (টিউবওয়েল প্রতীক) এবং রুহিয়া ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম (চশমা প্রতীক) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছাঃ মাসহুরা বেগম হুরা (কলস প্রতীক) এবং সংরক্ষিত সংসদ সদস্য ৩০২ ও নারী সাংসদ ২ দ্রৌপদী আগরওয়ালের বৌমা-প্রিয়া আগরওয়াল (ফুটবল প্রতীক)।

এই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোঃ মোশারুল ইসলাম সরকার ১০৬৬৫৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এ্যাড.অরুণাংশু দত্ত টিটো পেয়েছেন ৯২৪২৪ ভোট।তবে এই নির্বাচনে স্থানীয় সাংসদ ও আ.লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ জনাব রমেশ চন্দ্র সেন পূর্ণ সমর্থন দিয়েছিলেন চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ মোশারুল ইসলাম সরকারকে। শুধু সমর্থন দিয়েই ক্ষান্ত হননি তিনি, সেই সাথে জেলা আ.লীগ, জেলা যুবলীগ, জেলা সেচ্ছাসেবক লীগ, জেলা মহিলা লীগ সহ আ.লীগের সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতৃবৃন্দকে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ মোশারুল ইসলাম সরকার পক্ষে নির্বাচন করার জন্য কঠোর নির্দেশ প্রদান করেছেন। স্থানীয় সাংসদ রমেশ চন্দ্র সেনের নির্দেশ প্রদান করার সত্যতা প্রমানের অংশ হিসেবে রুহিয়া থানা আ.লীগের সহ-দপ্তর সম্পাদক গনেশ চন্দ্র সেন ও ২০ নং রুহিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অনিল চন্দ্র সেনের কয়েকটি ভিডিও ক্লিপ ইতোমধ্যেই হয়েছে।

এখন স্থানীয় জনমত জরিপ বলছে, যে প্রার্থীর পক্ষে স্থানীয় সাংসদ, জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড সহ আ.লীগের সকল স্তরের নেতৃবৃন্দের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় বিজয়ী প্রার্থী মোঃ মোশারুল ইসলাম সরকার পেয়েছেন ১০৬৬৫৫ ভোট,সেখানে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড.অরুণাংশু দত্ত টিটো একার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় পেয়েছেন ৯২৪২৪ ভোট। অথচ অরুণাংশু দত্ত টিটোর সহধর্মিণী বিগত কয়েক বছর যাবৎ মরণ ব্যাধি ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। সহধর্মিণীকে নিয়ে অরুণাংশু দত্ত টিটো কয়েক বছর ধরে ভারতে চিকিৎসা করাতে গিয়ে সর্বশান্ত হয়েছেন। তারপরও শেষ রক্ষা করতে পারেননি, গত ২৫ ফেব্রুয়ারী ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার সহধর্মিণী শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। সহধর্মিণীর মৃত্যুর শোক কাটিয়ে উঠার আগেই চলে আসে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। সহধর্মিণী মৃত্যুর ২ মাস পূর্ণ হওয়ার আগেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল করতে হয়েছে অরুনাংশু দত্ত টিটোকে।

মনে অনেক বড় আশা ছিলো, তার এই দূর্দিনে সবাই পাশে থাকবেন এবং এই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি আবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন।কিন্তু হয়েছে তার উল্টোটা। স্থানীয় সাংসদ থেকে শুরু করে জেলা পর্যায়ের সকল নেতৃবৃন্দ তার বিপক্ষে গিয়ে নির্বাচনে বিজয়ী করেছেন মোঃ মোশারুল ইসলাম সরকারকে। এখন জনগণের মুখে মুখে একটাই কথা ঠাকুরগাঁওয়ে ভোটের মাঠের বীরযোদ্ধা অরুণাংশু দত্ত টিটো। কারণ বিজিত প্রার্থীর পক্ষে স্থানীয় সাংসদ সহ সকল নেতৃবৃন্দের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় পেয়েছেন ১০৬৬৫৫ ভোট, আর শত প্রতিকুলতার মোকাবেলা করেও অরুণাংশু দত্ত টিটো একার ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও জনগণের ভালোবাসায় পেয়েছেন ৯২৪২৪ ভোট। যদি স্থানীয় সাংসদ ও জেলা পর্যায়ের সকল নেতৃবৃন্দ অরুনাংশু দত্ত টিটোর পাশে থাকতো তাহেল তার প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা দেরলক্ষ ছাড়িয়ে যেতো।

সে হিসেবে বলা যায়, ঠাকুরগাঁওয়ের ভোটের মাঠের বীরযোদ্ধা অরুণাংশু দত্ত টিটো জনপ্রিয়তায় সবার শীর্ষে। মানুষের প্রকৃত ভালোবাসা ছিলো বলেই একাই নির্বাচন করেও তিনি এত সংখ্যক পেয়েছেন। তিনি যে শুধু ভোটের মাঠের বীরযোদ্ধা তা নয়, তিনি রাজনীতির মাঠেও বীরযোদ্ধা।কারণ তিনি ছাত্র রাজনীতি দিয়ে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন এবং পরবর্তীতে ঝিমিয়ে পড়া জেলা যুবলীগকে সুসংগঠিত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এক পর্যায়ে উপজেলা ও জেলা আওয়ামিলীগের ক্ষেত্রেও রাখেন অবর্ননীয় ভূমিকা। আ.লীগ সহ সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনকে সঠিক দিক নির্দেশনা দিয়ে সাংগঠনিক কার্যক্রম তরান্বিত করার ক্ষেত্রে অপরিসীম ভূমিকা রেখেছেন এই জনগণের ভালোবাসার ও একমাত্র আস্থার মানুষ এ্যাড. অরুণাংশু দত্ত টিটো। তাই আগামী দিনগুলোতে ভোটের মাঠে ও রাজনীতিতে উভয় ক্ষেত্রেই অরুনাংশু দত্ত টিটোকে শীর্ষ স্থানে দেখতে চায় স্থানীয় জনগণ।

উপজেলার বালিয়া হাটের ভোটার মোঃ গোলাম রব্বানীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে একমাত্র উপযুক্ত প্রার্থী ছিলেন অরুনাংশু দত্ত টিটো দাদা।কারন রাত ৩ টার সময়ও কোন প্রয়োজনে দাদার কাছে গেলে কখনো ফেরত আসতে হয়না।কোননা কোন একটা সমাধান দিয়েই তিনি জনগণকে বিদায় করেন।আবার ফুটানি হাটের ভোটার রনজিৎ রায় বলেন টিটো দাদার মতো প্রার্থী হেরে যাবেন ভাবতেই অবাক লাগতেছে। এখানে টিটো দাদার মতো যোগ্য প্রার্থী দ্বিতীয় আর কেউ ছিলেন না।