
রাবি প্রতিনিধি:
অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্তৃক জারীকৃত পেনশন-সংক্রান্ত প্রত্যয় স্কিম প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের সুপার গ্রেডে অন্তর্ভুক্তকরণ এবং স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তনের দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) মানববন্ধন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। রবিবার (২৫ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে শিক্ষকরা বলেন, গত ১৩ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয় একটি বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। উক্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সব স্ব-শাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং তাদের অধীনস্থ অঙ্গ প্রতিষ্ঠানসমূহের চাকরিতে ১ জুলাইয়ের পর যোগদান করলে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনার আওতাভুক্ত হবে। হঠাৎ করেই এমন একটি প্রজ্ঞাপন জারির ফলে সারাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে চরম হতাশা ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। প্রবীণ শিক্ষক হিসাবে এটা আমরা নিতে পারছি না। এতে করে মেধাবী শিক্ষার্থীরা এ মহান পেশায় আসবে না। আর কাদের চক্রের এ ধরনের বৈষম্যমূলক পেনশন-সংক্রান্ত স্কিম চালু করছে এটা আমাদের বোধগম্য নয়।
এসময় রাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক হাবিবুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষকদের সম্মান রক্ষার্থে আজ আমরা এখানে একত্রিত হয়েছি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়কে যে স্বায়ত্তশাসিত ঘোষণা করেছিলেন এই স্কিম তার চরম অবজ্ঞার সামিল। এই স্কিম একটা বৈষম্য তৈরি করছে। এটা আমাদের যে সংবিধান আছে তার চরম পরিপন্থী। বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে কিছু দিনের মধ্যে একটা অস্থিরতা বিরাজ করবে। এমন চলতে থাকলে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মান কমিয়ে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আরো ফুলিয়ে তুলবে। কারণ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের গরিব শিক্ষার্থীরা বেশি। তাদের টাকায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো চলে। রাষ্ট্রের সকল স্তরের কর্মচারীর অধিকার আদায়ে সহায়তা করবেন এই আশা করছি।
তিনি আরো বলেন, সারাদেশের প্রত্যাকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা প্রতিবাদের মাধ্যমে এই স্কিম প্রত্যাখ্যান করেছি। এরপরও যদি আমাদের দাবি না মানা হয় তাহলে আমরা আগামী ২৮ তারিখে ক্লাস বাদ দিয়ে দুই ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করব। এছাড়া ৪ জুন অর্ধদিবস কর্মসূচি পালন করব। তারপরও যদি দাবি মেনে না নেয় তাহলে আমরা আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করব।
রাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ওমর ফারুক সরকারের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সাঊদ, অধ্যাপক আব্দুল কদ্দুস, অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম-২, অধ্যাপক মো. আমিরুল ইসলাম, অধ্যাপক মানিকুল ইসলাম, অধ্যাপক মো. সোমেন হাসানসহ শতাধিক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।