
রাবি প্রতিনিধি:
মুক্তিযুদ্ধ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে অপপ্রচার এবং অবমাননার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও প্রজন্ম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখার সদস্যরা।
বুধবার (০৩ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাস ভবন সংলগ্ন প্যারিস রোডে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।
‘মুক্তিযোদ্ধা বিরোধী অপশক্তিরা নিপাত যাক’, ‘দেশ স্বাধীন করলো যারা, কেন অপমানিত হবে তারা’, ‘কোটা ব্যবস্থা বৈষম্য সৃষ্টি করে না বরং সমতা বিধান করে’, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কটাক্ষ চলবে না, চলবে না’, ‘মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সম্মানহানি করা যাবে না’ এসময় এমনসব প্ল্যাকার্ডের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানান তারা।
এসময় মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম, রাবি শাখার সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান বলেন, আমাদের আসার মূল উদ্দেশ্য যারা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে হেয় করছে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা। আপনারা আন্দোলন করেন আমাদের সমস্যা নেই কিন্তু আমাদেরকে অপমানিত করা হলে আমরা তা মেনে নিব না। আমাদের ছবি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। চাকরিতে নারীদের ৬০% কোটা, রেলওয়েতে ৪০% কোটা থাকলেও কেও কথা বলে না। সবাই কথা বলে মুক্তিযোদ্ধার কোটা নিয়ে। অবাঞ্চিত তথ্য দিয়ে আমাদের হেয় করা হচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যঙ্গ করে মুরগিযোদ্ধা বলা হচ্ছে। যারা এমনটা করছে এদেশকে তারা আফগানিস্তান বানাতে চায়। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন আমরা এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করে যাব।
এসময় তাদের সাথে একাত্মতা পোষণ করে মুক্তিযোদ্ধা সজল বলেন, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা যখন রাজপথে দাঁড়িয়েছে এটা জাতির লজ্জা। যারা নিজের জীবনকে বাজি রেখে দেশকে স্বাধীন করেছে তাদের সন্তান, প্রজন্মের সম্মান দিতে জানে না এই নির্লজ্জ জাতি। তাদেরকে নানাভাবে অপমান করা হচ্ছে, তাদের নামে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এটা খুবই লজ্জাজনক। আজ যারা তাদেরকে মেধাশূন্য বলছে তারা কি এস এস সি এইচ এস সি পরিক্ষা পাস করেনি? তারা মেধা দিয়েই পাস করে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছে। সুতরাং তাদেরকে মেধাশূন্য বলার কোনো সুযোগ নেই।
এছাড়া মুক্তিযোদ্ধার সন্তান রিয়াদ উদ্দিন বলেন, ১০টি বা ২০টি শৃগাল কখনো একটি বাঘকে শিকার করতে পারেনা। আমরা হচ্ছি বীরের সন্তান। আপনারা হলেন শৃগাল। আমাদেরকে বাধ্য করবেন না রাজপথে নামতে। আমাদের হুঙ্কার যখন ছুটবে আপনারা গর্তে লুকিয়ে বাঁচতে পারবেন না। যার প্রমাণ ৭১ সালে আমাদের বাপ-চাচারা দিয়ে গেছেন। আমরা যেভাবে মরতে পারবো আপনারা সেভাবে মরতে পারবেন না।
এসময় মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম রাবি শাখার প্রায় শতাধিক সদস্য উপস্থিত ছিলেন।