বাংলাদেশ ০৯:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
জেলা পরিষদের সদস্য ও বাইশারীর কৃতি সন্তানদের গণসংবর্ধনা চট্টগ্রামে আঞ্চলিক গানের কিংবদন্তি শিল্পী শেফালী ঘোষ সরকারি চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎকারি শীর্ষ প্রতারক হাবিবুল্লাহ হাবিব কারিকরকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। জিয়া সেতুতে অবৈধ ডাম্প ট্রাক না চলার হুঁশিয়ারি ঘূর্ণিঝড় সিডর স্মরণে রাঙ্গাবালীতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন। কালুরঘাট সেতুর কাজ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে : সেতু উপদেষ্টা ব্রাহ্মণপাড়ায় বিপুল পরিমাণ মাদক ও অবৈধ ভারতীয় মালামাল জব্দ পীরগঞ্জে আবু সাঈদের কবর জেয়ারত করেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক। ইন্দুরকানিতে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল পিরোজপুরে জোড়া খুন এর মামলায় ২১ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী খাগড়াছড়ি থেকে গ্রেপ্তার বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে আলোচনা ও আপনজন সম্মাননা চাঁদা আদায়ের উদ্দেশ্যে অপহৃত মসজিদের ইমাম হাফেজ সোলাইমান কে উদ্ধার অপহরণকারী দাদনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। নাটোরে ভোরের চেতনা পত্রিকার ২৬ তম বর্ষপূর্তী উদযাপিত। বিস্ফোরক আইনে প্রধান শিক্ষক শফিক গ্রেফতার বিএনপি নেতা – কর্মীদের ওপর বোমা হামলার অভিযোগ

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির এলাকায় ক্ষতিপূরণের নামে মিথ্যা আশ্বাসের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০১:১৪:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ১৬২৩ বার পড়া হয়েছে

 

 

মোঃ আফজাল হোসেন, দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া হামিদপুর ইউনিয়নের কয়লা খনি মেইন গেট এলাকায় জীবন ও বসত ভিটা রক্ষা কমিটির আয়োজনে কয়লা খনি কর্তৃক ক্ষতিপূরণের নামে মিথ্যা আশ্বাসের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর মানববন্ধন ও বিক্ষোভ।

আজ রবিবার সকাল ১০টায় বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির মেইন গেটের সামনে জীবন ও বসত ভিটা রক্ষা কমিটির সভাপতি মোঃ মতিয়ার রহমানের নেতৃত্বে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার প্রায় দেড় হাজার নারী পুরুষ ও স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণ করেন।

মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে জীবন ও বসত ভিটা রক্ষা কমিটির সভাপতি মতিয়ার রহমান বলেন, কয়লা উত্তোলনের কারণে চৌহাটি এলাকায় প্রায় দেড় হাজার বাসাবাড়ি কম্পনে ফেটে যাওয়ায়। আমরা ৪ দফা মেনে নেওয়ার জন্য খনি কর্তৃপক্ষকে বারবার তাগাদা দিয়েছি। আমাদের কোন কথা কয়লা খনি কর্তৃপক্ষ গুরুত্ব দিছেনা। ৪ দফা দাবি বাস্তবায়নের মধ্যে রয়েছে-পূর্বের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ফাটা বাড়ীর ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ধোকাবাজি, মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে চৌহাটি বাসীকে বোঝানো বন্ধ করতে হবে। কয়লাখনি প্রতিষ্ঠাকালীন সময় চৌহাটি এলাকাবাসির সাথে সমঝতা চুক্তির ১০০% বাস্তবায়ন করতে হবে। চৌহাটি বাসির চলাচলের রাস্তা মেরামত করতে হবে।

আমাদের ৪ দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য তৎকালীন খনি কর্তৃপক্ষ ও পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং সংসদ সদস্যকে অবগত করলেও আজ পর্যন্ত কোন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেখা যাচ্ছে। আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে আর কতদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই গ্রামে বসবাস করব? এই এলাকার ভূ-গর্ভ থেকে কয়লা তোলার কারণে প্রতিনিয়ত দেবে যাচ্ছে।

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির কর্মকর্তা কর্মচারীরা লাভবান হলেও এলাকার গ্রাম ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। আমরা অতি দ্রুত মাননীয় বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ও প্রেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান এর কাছে অতিদ্রুত ৪ দফা বাস্তবায়ন করে ক্ষতিপূরণ প্রদান করা অনুরোধ করছি।

সমাবেশে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বলেন, স্কুল কলেজ মাদ্রাসা কবরস্থান রাস্তাঘাট সবই ধ্বংস হয়ে গেছে, কিছু বাকি নেই। কি ‘আমরা এখান থেকে অসুস্থ’ রোগীকে নিয়ে হাসপাতালে যাব, রাস্তার বেহাল অবস্থা থাকায় অ্যাম্বুলেন্স্ও এই গ্রাম আসতে চায় না। তাহলে আপনারা বোঝেন আমরা কিভাবে জীবনযাপন করছি? চৌহাটি গ্রামে বসবাসরত মোসলেমা বেগম, মালেকা বেগম, আলিমুদ্দিন, গোলাম রহমান ও মাসুদ আলী জানান, নলকুপে পানি উঠছে না, এই এলাকায় তাপমাত্রা বেড়ে গেছে, যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে, স্কুল কলেজ মাদ্রাসা গুলিতে যাওয়ার রাস্তা থাকলেও বর্ষাকালে চলাচল করা সম্ভব হয়না। আমরা এর প্রতিকার চাই ও ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

এই বিষয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মোঃ সাইফুল ইসলাম এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সার্ভে টিম গঠন করা হয়েছে পর্যাক্রমে সার্ভে করে অতিদ্রুত ক্ষতিগ্রস্থ’ গ্রামগুলির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। আমরা ইতি মধ্যে ৮টি গ্রামকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া শুরু করেছি। মানববন্ধনে চৌহাটি গ্রামের প্রায় দেড় হাজার নারী-পুরুষ স্কুল কলেজ মাদ্রাসার ছাত্র ছাত্রী স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ মানবন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।

পরিশেষে সভাপতি বলেন, আমাদের আজকের এই সমাবেশে ৪দফা দাবী মেনে না নিলে আগামী ৯তারিখে কঠোর থেকে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। ঘেরাও করা হবে কয়লা খনি। এর দায়ভার কয়লা খনি কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে।

 

 

 

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

জেলা পরিষদের সদস্য ও বাইশারীর কৃতি সন্তানদের গণসংবর্ধনা

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির এলাকায় ক্ষতিপূরণের নামে মিথ্যা আশ্বাসের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

আপডেট সময় ০১:১৪:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

 

 

মোঃ আফজাল হোসেন, দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া হামিদপুর ইউনিয়নের কয়লা খনি মেইন গেট এলাকায় জীবন ও বসত ভিটা রক্ষা কমিটির আয়োজনে কয়লা খনি কর্তৃক ক্ষতিপূরণের নামে মিথ্যা আশ্বাসের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর মানববন্ধন ও বিক্ষোভ।

আজ রবিবার সকাল ১০টায় বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির মেইন গেটের সামনে জীবন ও বসত ভিটা রক্ষা কমিটির সভাপতি মোঃ মতিয়ার রহমানের নেতৃত্বে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার প্রায় দেড় হাজার নারী পুরুষ ও স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণ করেন।

মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে জীবন ও বসত ভিটা রক্ষা কমিটির সভাপতি মতিয়ার রহমান বলেন, কয়লা উত্তোলনের কারণে চৌহাটি এলাকায় প্রায় দেড় হাজার বাসাবাড়ি কম্পনে ফেটে যাওয়ায়। আমরা ৪ দফা মেনে নেওয়ার জন্য খনি কর্তৃপক্ষকে বারবার তাগাদা দিয়েছি। আমাদের কোন কথা কয়লা খনি কর্তৃপক্ষ গুরুত্ব দিছেনা। ৪ দফা দাবি বাস্তবায়নের মধ্যে রয়েছে-পূর্বের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ফাটা বাড়ীর ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ধোকাবাজি, মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে চৌহাটি বাসীকে বোঝানো বন্ধ করতে হবে। কয়লাখনি প্রতিষ্ঠাকালীন সময় চৌহাটি এলাকাবাসির সাথে সমঝতা চুক্তির ১০০% বাস্তবায়ন করতে হবে। চৌহাটি বাসির চলাচলের রাস্তা মেরামত করতে হবে।

আমাদের ৪ দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য তৎকালীন খনি কর্তৃপক্ষ ও পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং সংসদ সদস্যকে অবগত করলেও আজ পর্যন্ত কোন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেখা যাচ্ছে। আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে আর কতদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই গ্রামে বসবাস করব? এই এলাকার ভূ-গর্ভ থেকে কয়লা তোলার কারণে প্রতিনিয়ত দেবে যাচ্ছে।

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির কর্মকর্তা কর্মচারীরা লাভবান হলেও এলাকার গ্রাম ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। আমরা অতি দ্রুত মাননীয় বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ও প্রেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান এর কাছে অতিদ্রুত ৪ দফা বাস্তবায়ন করে ক্ষতিপূরণ প্রদান করা অনুরোধ করছি।

সমাবেশে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বলেন, স্কুল কলেজ মাদ্রাসা কবরস্থান রাস্তাঘাট সবই ধ্বংস হয়ে গেছে, কিছু বাকি নেই। কি ‘আমরা এখান থেকে অসুস্থ’ রোগীকে নিয়ে হাসপাতালে যাব, রাস্তার বেহাল অবস্থা থাকায় অ্যাম্বুলেন্স্ও এই গ্রাম আসতে চায় না। তাহলে আপনারা বোঝেন আমরা কিভাবে জীবনযাপন করছি? চৌহাটি গ্রামে বসবাসরত মোসলেমা বেগম, মালেকা বেগম, আলিমুদ্দিন, গোলাম রহমান ও মাসুদ আলী জানান, নলকুপে পানি উঠছে না, এই এলাকায় তাপমাত্রা বেড়ে গেছে, যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে, স্কুল কলেজ মাদ্রাসা গুলিতে যাওয়ার রাস্তা থাকলেও বর্ষাকালে চলাচল করা সম্ভব হয়না। আমরা এর প্রতিকার চাই ও ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

এই বিষয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মোঃ সাইফুল ইসলাম এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সার্ভে টিম গঠন করা হয়েছে পর্যাক্রমে সার্ভে করে অতিদ্রুত ক্ষতিগ্রস্থ’ গ্রামগুলির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। আমরা ইতি মধ্যে ৮টি গ্রামকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া শুরু করেছি। মানববন্ধনে চৌহাটি গ্রামের প্রায় দেড় হাজার নারী-পুরুষ স্কুল কলেজ মাদ্রাসার ছাত্র ছাত্রী স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ মানবন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।

পরিশেষে সভাপতি বলেন, আমাদের আজকের এই সমাবেশে ৪দফা দাবী মেনে না নিলে আগামী ৯তারিখে কঠোর থেকে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। ঘেরাও করা হবে কয়লা খনি। এর দায়ভার কয়লা খনি কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে।