
সিলেটে হাফেজে কোরআনদের মহানগর শিবিরের সংবর্ধনা।
হাফেজে কোরআনদের আল-কোরআনের আলোকে রাষ্ট্র ও সমাজকে গড়ে তোলার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে: মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন। সিলেটে হাফেজে কোরআনদের সংবর্ধনা দিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সিলেট মহানগর শাখা। বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) বিকেলে নগরীর এক মিলনায়তনে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগর সভাপতি আবদুল্লাহ আল-ফারুকের সভাপতিত্বে, নগর সেক্রেটারি সিদ্দিক আহমদের সঞ্চলনায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল রাজিবুর রহমান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন হাফেজদের শ্রদ্ধা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, হাফেজে কোরআনদের আল্লাহ যে মেধা দিয়েছে তা কোন ভাবেই নষ্ট করা যাবে না।
এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে সবচেয়ে বড় নিয়ামত। কোরআনে হাফেজ হওয়া যত সহজ তার চাইতে কঠিন হচ্ছে কোরআনকে নিজের মাঝে সংরক্ষন করে রাখা। শুধু কোরআনে হাফেজ হয়ে বসে থাকলে চলবে না, আপনাদের আল- কোরআনের আলোকে রাষ্ট্র ও সমাজকে গড়ে তোলার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার পাশা পাশি আগামীর দেশ পরিচালনার জন্য এগিয়ে আসতে হবে এজন্য বিজ্ঞান, তথ্য প্রযুক্তি থেকে শুরু করে সকল ধরনের জ্ঞান আপনাদের মাঝে থাকতে হবে।
এদেশের জনগণ আল্লাহর পথের পথিকদের একত্রিত দেখতে চায়। অভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে মাঠে- ময়দানে কালেমায় বিশ্বাসী জনগণকে ঐক্যবদ্ধ দেখতে চায়। এই আকুতি পূরণে বাস্তব পদক্ষেপ নেয়ার তাওফিক দেয়ার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করি। মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, কোরআন সবসময় আধুনিক এবং সব ক্ষেত্রের জন্যই প্রযোজ্য। কাজেই হাফেজে কোরআনদের আল-কোরআনের শিক্ষাকে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে বাস্তবায়নের জন্য চেষ্টা করতে হবে।
মানুষের ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনের সব সমস্যার সমাধান একমাত্র কোরআনই দিতে পারে তা মানুষের সামনে আপনাদেরই তুলে ধরতে হবে। মানুষ যখন আঁধারে পথ হারায়, অন্যায়-অবিচারে জীবনকে বিষাক্ত করে তোলে, তখন কোরআন সম্ভাবনার আলো হয়ে জাতিকে নিরাপত্তার শিখরে পৌছে দেয়। ছাত্রশিবির ছাত্র সমাজকে কোরআনের পথেই আহবান করছে। শিক্ষার্থীদের ইহকালের সফলতা ও পরকালের মুক্তির জন্য ছাত্রশিবির কাজ করে যাচ্ছে। তাই দেশ ও জাতির প্রয়োজনে দক্ষ, সৎ ও যোগ্য নাগরীক তৈরীর পথচলায় হাফেজে কোরআনদের ছাত্রশিবিররের পাশে থাকার পাশাপাশি কোরআনের আলোকে সার্বিক জীবন পরিচালনায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হওয়ার জন্য সবার প্রতি আহবান জানাচ্ছি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাজিবুর রহমান বলেন, একজন হাফেজ যেমন তার মেধা দিয়ে আল কুরআানের সংরক্ষণ করে তেমনিভাবে যেন ইসলামী সংস্কৃতি লালন করার মাধ্যমে সারা জীবন ইসলামকে আগলে রাখতে পারে সেই প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। আন্তর্জাতিক মানের হাফেজ তৈরি করার পাশাপাশি প্রতিটি ছাত্রকেই প্রকৃত দেশপ্রেমিক ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার পাশাপাশি একজন দায়ী ইলাল্লাহ তৈরি করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
হাফেজদের সম্মাননা রাসূল (সাঃ) এর যুগ থেকে চলে আসছে। বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির এই ধারা এখনও অব্যাহত রেখেছে এবং আগামীতে তা অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ। উক্ত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন মহানগর শিবিরের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা। বার্তা প্রেরক, শহিদুল ইসলাম সাজু প্রচার স¤পাদক ,সিলেট মহানগর।