
ভান্ডারিয়া প্রতিনিধি:
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার ধাওয়া ইউনিয়নের পূর্ব পশারীবুনিয়া গ্রামের আল আমিন হাওলাদার নামে এক ব্যক্তির অত্যাচারে বিজিবি সদস্য খাইরুল ইসলাম কামাল সহ এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। গতকাল শুক্রবার বিজিবি সদস্য খাইরুল ইসলাম কামাল অভিযোগে বলেন, উপজেলার পূর্ব পশারীবুনিয়া গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে আল আমিনের (৫৫) সাথে তার জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে।
তিনি চাকুরীর সুবাদে কর্মস্থলে না থাকায় উক্ত আল আমিন তার জমি জোড়পূর্বক দখল করে নিয়েছে। তিনি সম্প্রতি তার বাড়িতে বসত ঘর নির্মান করতে গেলে উক্ত প্রভাবশালী আল আমিন ও তার গং মিলে ঘর নির্মানে বাধাঁ দেয় এবং ঘরের পাশে থাকা পাকা দেয়াল ভেঙে ফেলে।
এ ঘটনায় প্রতিবাদ করলে তার ওপর হামলা সহ তার নামে একাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। অত্যাচারি আল আমিন ও তার লোকজনের ভয়ে এবং তার হয়রানির কারণে তিনি এখন গ্রামছাড়া হয়েছেন বলে জানান। হয়রানির শিকার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, তার জমিজমার কাগজপত্র তুলতে আল আমিনকে ৫ হাজার টাকা দিয়েছেন। তিনি টাকা নিয়ে কোন কাজ করেননি। তার কাছে টাকা চাইলে উল্টো সে তার নামে মামলা হয়রানি করছে। এতে তিনি আতংকে জীবন যাপন করছেন।
এলাকার আলতাফ হোসেন জানান, তিনি তার জমি মিউটেশন করার জন্য উক্ত আল আমিনকে ১২ হাজার টাকা দিয়েছে কিন্তু সে কাজ করেননি। তার কাছে টউক্ত টাকা ফেরত চাইতে গেলে উল্টো তার নামে একটি সাত ধারা মামলা করে তাকে হয়রানি করছে। একই অভিযোগ ওই গ্রামের ইকবালের, তিনি জানান- তার জমির কাগজপত্র তুলতে আল আমিনকে কয়েক বছর আগে ১৫ হাজার টাকা দিলে সে কোন কাগজ না কওে সকল টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এরপর তাকে ফোন করেও পাওয়া যায়না। ফলে টাকা ফেরত চাইতে আল আমিনের বাড়ি গেলে তাকে দাও নিয়ে কুপাতে চান এবং জোড়পূর্বক তাড়িয়ে দেয় এবং তার নামে মামলা দেয়ার হুমকি দেয়।
স্থানীয়রা জানায়, আল আমিন দুষ্ট প্রকৃত লোক। মানুষের নামে কথায় কথায় মামলা দেয়। সে বিভিন্ন এলাকার মানুষের কাছ থেকে জমিজমা সক্রান্ত বিষয়ে পর্চা ও দলিলপত্র সহ জমি মিউটেশন করে দিবে বলে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এসব কাজে তাকে সহযোগিতা করে আসছেন একই গ্রামের জাকির হাওলাদার (৫০),লিটন হাওলাদার (৩৫) ও শাহনাজ পারভীন (৩৭) নামে এক নারী।
এলাকাবাসী তার অত্যাচার ও হয়রানির হাত থেকে মুক্তির জন্য স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি দৃষ্টি আর্কশন করেছেন। এ বিষয়ে জানতে এ প্রতিবেদক আল আল আমিনের বাড়ি গেলে তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে তার বৃদ্ধা মা বকুল বেগম জানান, প্রতিবেশী বিজিবি সদস্যের সাথে জমিজমা নিয়ে জামেলা রয়েছে এবং ছেলে বিভিন্ন লোকের টাকা নেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন তার সাথে আলাপ করে বিষয়টি মিমাংসা করবেন বলে জানান।