
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
জাগতিক নিয়মের পথ-পরিক্রমায় বছর শেষে আমাদের মধ্যে আবার এসেছে নতুন বছর- ১৪২৯ বঙ্গাব্দ। সবাইকে নতুন বছরের আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা- শুভ নববর্ষ।
বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে দেশে এবং দেশের বাইরে অবস্থানরত সকল বাঙালিকে শুভেচ্ছা জানান বিনয়বাঁশী শিল্পীগোষ্ঠী’র নেতৃবৃন্দ।
শিল্পী গোষ্ঠীর প্রধান উপদেষ্টা ও আন্তর্জাতিক ঢোলবাদক লোকশিল্পী শ্রী বাবুল জলদাস বলেন, এ ভূখণ্ডে হাজার বছরের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং কৃষ্টির বাহক এদেশের বাঙালি জনগোষ্ঠি। বিভিন্ন ধর্মে-বর্ণে বিভক্ত হলেও ঐতিহ্য ও কৃষ্টির জায়গায় সব বাঙালি এক এবং অভিন্ন।
বিনয়বাঁশী শিল্পীগোষ্ঠী’র সভাপতি সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব প্রণব রাজ বড়ুয়া বলেন, নানা ঘাত-প্রতিঘাতে অনেক ঐতিহ্য হারিয়ে গেলেও পয়লা বৈশাখে নববর্ষ উদযাপন এখনও স্ব-মহিমায় টিকে আছে। সারা বছরের ক্লেদ-গ্লানি, হতাশা ভুলে এদিন সব বাঙালি নতুন আনন্দ-উদ্দীপনায় মেতে উঠেন।
‘‘এসো হে বৈশাখ, এসো এসো/মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা/অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা” – কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কালজয়ী এই গান গেয়ে আমরা আবাহন করি নতুন বছরকে। পয়লা বৈশাখের বর্ষবরণ বাঙালির সর্বজনীন উৎসব। আবহমানকাল ধরে বাংলার গ্রাম-গঞ্জে, আনাচে-কানাচে এই উৎসব পালিত হয়ে আসছে। গ্রামীণ মেলা, হালখাতা, বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলার আয়োজন ছিল বর্ষবরণের মূল অনুসঙ্গ।
সকল সঙ্কীর্ণতা, কুপমুণ্ডুকতা পরিহার করে উদারনৈতিক জীবন-ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পয়লা বৈশাখ আমাদের অনুপ্রাণিত করে জানিয়ে সংগঠনের পরিচালক শ্রী বিপ্লব জলদাস বলেন, মনের ভিতরের সকল ক্লেদ, জীর্ণতা দূর করে আমাদের নতুন উদ্যোমে বাঁচার শক্তি যোগায়, স্বপ্ন দেখায়। আমরা যে বাঙালি, বিশ্বের বুকে এক গর্বিত জাতি, পয়লা বৈশাখের বর্ষবরণের মাধ্যমে আমাদের মধ্যে এই স্বাজাত্যবোধ এবং বাঙালিয়ানা নতুন করে প্রাণ পায়, উজ্জীবিত হয়।