
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
র্যাব-৩ এর অভিযানে রাজধানীর শাহবাগ, যাত্রাবাড়ী, কেরানীগঞ্জ এলাকা হতে মোবাইল চোর চক্রের ১৮ জন গ্রেফতার: বিপুল পরিমান চোরাই মোবাইল ও নগদ টাকা উদ্ধার।
এলিট ফোর্স হিসেবে র্যাব আত্মপ্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই আইনের শাসন সমুন্নত রেখে দেশের সকল নাগরিকের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে অপরাধ চিহিৃতকরণ, প্রতিরোধ, শান্তি ও জনশৃংখলা রক্ষায় কাজ করে আসছে। একদল সংঘবদ্ধ অসাধু দূস্কৃতিকারী চক্রের সদস্যরা দীর্ঘদিন যাবৎ চোরাই ও ছিনতাইকৃত বিভিন্ন আধুনিক মডেলের এনড্রয়েড মোবাইল বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করছে। পরবর্তীতে এ সমস্ত মোবাইল গুলোই অপরাধীরা ক্রয় করে জঙ্গি কার্যক্রম, অপহরন, হত্যা, গুম, মাদক ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন অপরাধী চক্রের সদস্যরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে নিরাপদ অবলম্বন হিসেবে ব্যবহার করে থাকে, যা সাধারণ জনগনের জানমালের নিরাপত্তার জন্য ব্যাপক হুমকিস্বরুপ।

এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৩ গোয়েন্দা সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, মোবাইল চোর সিন্ডিকেট চক্র ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ অবৈধ মোবাইল কেনা-বেচার বানিজ্য নিয়ে তৎপর রয়েছে এবং এসব মোবাইল ফোন বিভিন্ন মার্কেটের সামনে ভাসমান দোকানে গোপনে বিক্রি করে আসছে। এছাড়াও রাজধানীর বিভিন্ন স্থান হতে চুরি এবং ছিনতাইকৃত মোবাইল ফোনের ছিনতাইকারী চক্র সুকৌশলে নানা সিন্ডিকেট হোতার সাথে যোগসাজশে এসব চোরাই মুঠোফোন কেনা-বেচায় জড়িত রয়েছে।
এরই প্রেক্ষিতে র্যাব-৩ এর আভিযানিক দল রাজধানীর শাহবাগ, যাত্রাবাড়ী, কেরানীগঞ্জ থানাধীন এলাকায় ৩০/০৫/২০২২ তারিখ রাতে অভিযান পরিচালনা করে মোবাইল চোরচক্রের সদস্য ১। মোঃ আক্তার হোসেন খান (২৯), সাং-রাজাবাড়িয়া, থানা-নান্দাইল, জেলা-ময়মনসিংহ, ২। মোঃ লিটন (৩৫), পিতা-মোঃ হাবিবুল্লাহ, সাং-মির্জানগর, থানা-বেগমগঞ্জ, জেলা-নোয়াখালী, ৩। মোঃফরহাদ হোসেন (২৬), সাং-শাহাপুর, থানা-ফরিদগঞ্জ, ৪। মোঃ দিদার (৪০), সাং-দিয়াপাড়া তেরবাগদি বাজার, থানা-মাদারীপুর সদর, জেলা-মাদারীপুর, ৫। মোঃ মিজান (৪৭), সাং-বাউলাকান্দি, থানা-দাউদকান্দি, জেলা-কুমিল্লা, ৬। মোঃ রাশেদ ঢালি (৩১), সাং-মুশকান্দি, থানা-ভেদরগঞ্জ, জেলা-শরিয়তপুর, ৭। মোঃ হাদিদ ইকবাল (৩৫), সাং-চর পার্বতী, থানা-বসুরহাট, জেলা-নোয়াখালি, ৮। মোঃ রতন মোল্লাওরফে সোহেল (৩০), সাং-ঢালিকান্দি, থানা-নড়িয়া, জেলা-শরিয়তপুর, ৯। মোঃ আব্দুসসালাম ওরফেকাল্লু (২৮), সাং-সতেরবাড়ি, থানা-গফরগাঁও, জেলা-ময়মনসিংহ, ১০। মোহাম্মদ আলী (২৬), সাং-হরিপুর, থানা-হোমনা, জেলা-কুমিল্লা, ১১। মোঃ দ্বীনইসলাম (৪২), সাং-নুনেরটেক, থানা-সোনারগাঁও, জেলা-নারায়ণগঞ্জ, ১২। মোঃ খোকন (৪২), সাং-গোলাপবাগ, থানা-যাত্রাবাড়ি, ডিএমপি, ঢাকা, ১৩। মোঃ মামুন (৪৪), সাং-বেগুন বাজার, থানা-লালবাগ, ডিএমপি, ঢাকা, ১৪। জয়নাল (২৮), সাং-সোনাকান্দা, থানা-ভাঙ্গুরা, জেলা-কুমিল্লা, ১৫। মোঃ সুমন (৫৫), সাং-বরুনা, থানা-শ্রীমঙ্গল, জেলা-মৌলভীবাজার, ১৬। মোঃ হরুন (৪৫), সাং-চরহোন্দী, থানা-শরীয়তপুর সদর, জেলা-শরীয়তপুর, ১৭। মোঃ রনি সরদার (২৯), সাং-সুলতানাবাদ, থানা-বাউফল, জেলা-পটুয়াখালী এবং ১৮। মোঃ আবুল বাসার (৩৯), সাং-শহিদ নগর জিনজিরা, থানা-কেরানীগঞ্জ মডেল, জেলা-ঢাকাদেরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
উক্ত অভিযানসমূহে গ্রেফতারকৃত আসামীদের নিকট হতে ট্যাব ০৭ টি, টাচ মোবাইল ২৪২ টি, বাটন মোবাইল ৩৯০ টি, আইপ্যাড ০১ টি, সীমকার্ড ২৪ টি এবং নগদ ৩৩,৯৫২/-টাকা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তারা মূলত ছিনতাই/চোরাইকৃত মোবাইল ফোনসমূহ অল্প দামে ক্রয় করে সুযোগ বুঝে বেশি দামে বিক্রি করে। ধৃত আসামীরা প্রত্যেকেই মুঠোফোন ছিনতাই/চোর চক্রের সদস্য এবং চোরাই ও ছিনতাইকৃত মোবাইল ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িত।
ছিনতাইকারীদের প্রধান টার্গেট থাকে পথচারীদের মোবাইল। এসব মোবাইল স্বল্পদামে চোরাই মোবাইল কারবারিদের নিকট বিক্রি করে থাকে। এছাড়াও এসব মোবাইল স্বল্প আয়ের গ্রাহকদের নিকট বিক্রি করে থাকে। বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ডাকাতিকৃত, ছিনতাইকৃত ও চোরাইমাল বিক্রি ও হেফাজতে রাখা আমলযোগ্য অপরাধ। দীর্ঘদিন যাবৎ ধৃত আসামীরা নির্বিঘেœ নির্ভয়ে চোরাই মোবাইলের অবৈধ ব্যবসা করে যাচ্ছে। ধৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
বীণা রানী দাস, পিপিএম, পিপিএম (সেবা)
অতিরিক্তি পুলিশ সুপার
স্টাফ অফিসার (অপস্ ও ইন্ট শাখা)
পক্ষে পরিচালক