
রুহুল আমিন, জেলা প্রতিনিধি মানিকগঞ্জ।
মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের পদ্মা নদীতে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ ও পদ্মা ভাঙনরোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ রবিবার (৩জুলাই) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ‘পদ্মা ভাঙন থামাও, হরিরামপুর বাঁচাও’ ফেসবুক পেজের আয়োজনে ঘন্টাব্যাপী উপজেলা চত্বরে এই মানববন্ধন করেন এলাকার রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন, শিক্ষক, শিক্ষার্থী সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার কয়েকশো জনগণ।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাসুদুর রহমানের সঞ্চালনায় বক্তারা প্রশাসন কে ব্যর্থ দাবী করে, অবিলম্বে অপরিকল্পিতভাবে পরিচালিত এই অবৈধ ড্রেজার বন্ধের দাবী জানান।
তারা বলেন, ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলা মানিকগঞ্জ। আর সেই জেলার বড় এবং সবচেয়ে বেশি ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে গঠিত একটি উপজেলা হরিরামপুর। যেখানে একসময় ১৪টি ইউনিয়ন পরিষদ থাকলেও একটি নদীতে বিলুপ্ত হয়ে বর্তমানে ১৩টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। যার মধ্যে ১০টি ইউনিয়ন নদী ভাঙনের স্বীকার। তারপরও কিছু স্বার্থান্বেষী মহল পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন করে পদ্মার তীরবর্তী পরিবারগুলোকে ভাঙনের কবলে ফেলছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তা বন্ধে তেমন কোন উদ্যোগ আমাদের চোখে পরেনি, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। তাই আমরা প্রশাসন কে ব্যর্থ বলেই দাবী করছি।
এছাড়াও বক্তারা বিভিন্ন জেলায় নদী ভাঙন রোধে স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হলেও হরিরামপুরে স্থায়ী বেড়িবাঁধ নেই বলে দুঃখপ্রকাশ করেন। সেই সাথে প্রধানমন্ত্রীর কাছে দৃষ্টি আকর্ষণ করে স্থায়ী বেড়িবাঁধের দাবী জানান।
এছাড়া এই অবৈধ ড্রেজার বন্ধ করতে মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, হরিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে গণস্বাক্ষর ও স্মারকলিপি প্রদান করবেন বলেও জানান আয়োজন কমিটি।
এতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ‘পদ্মা ভাঙন থামাও, হরিরামপুর বাঁচাও’ নামক ফেসবুক পেজের সমন্বয়ক ও স্বেচ্ছাসেক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শাহাবুদ্দিন আহমেদ (চঞ্চল), পাটগ্রাম অনাথবন্ধু সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক হরিপদ সূত্রধর, উপজেলার সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান আবুল বাশার সবুজ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মহিদুর রহমান মহিদ ও পবিত্র কুমার শাখারী, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক আমিনুর রহমান চৌধুরী (মিল্টন) উপজেলা কৃষক লীগের সদস্য সচিব শহিদুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কর্মসূচি ও পরিকল্পনা সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীমা চায়না, সামাজিক সংগঠনের কর্মী তানভীর আহমেদ, হারুকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান শেখ মোশারফ হোসেন প্রমুখ।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, আমাদের অভিযান চালাতে দুই থেকে তিনটা দপ্তরকে অবগত করতে হয়। শীঘ্রই বিষয়টি আমরা দেখবো।