
আসাদুর রহমান :
যশোরের শার্শার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ও যুবদল কর্মী জয়নাল বক্স ওরফে জয়নাল সরদার অবশেষে পুলিশের হাতে আটক হয়েছে। দীর্ঘ ২ দশক পর পুলিশ তার আটক করতে সক্ষম হয়েছে। সে এক ডজনের বেশি মাদক মামলার আসামী। শার্শা থানা পুলিশের ইনচার্য মামুন খাঁন জানান, জয়নাল বক্স ৫টি ওয়ারেন্ট ভুক্ত মামলা আসামী। তাকে পুলিশ দীর্ঘদিন যাবদ খুজছে। সে ছদ্দবেশ ধারন করে বিভিন্ন স্থানে আস্তানা গড়ে মাদকের কারবার করে আসছিল। বিশেষ সোর্সের মাধ্যমে জানতে পারি জয়নাল যশোরে অবস্থান করে মাদকের কারবার চালিয়ে আসছিল।
সে সুত্র ধরে জয়নালকে সোমবার যশোর শহর হতে আটক করা হয়েছে। এলাকাবাসি জানান, জয়নাল শার্শার দক্ষিন বুরুজ বাগান গ্রামের মৃত কাদের সরদারের ছেলে। সে সহ তার সহদর ভাই আয়নাল সরদার গত ৩দশক ধরে হেরোইন, ফেনসিডিল, ইয়াবা সহ বিভিন্ন ধরনের মাদকের কারবার করে আসছে। আয়নাল সরদার পুলিশের হাতে বারবার আটক হলেও জয়নাল থেকে যায় ধরা ছোয়ার বাইরে। পুলিশের নাকের ডগায় ছদ্দবেশে ঘুরলেও তার টিকিটিও ছুতে পারেনি পুলিশ। গত ২০ বছর পূর্বে যশোর র্যাব-৬ এর সদস্যরা তাদের ফেনসিডিল তৈরীর সরঞ্জাম সহ আটক করলেও জামিনে বের হয়ে আবারো পূর্রের ব্যবসায় ফিরে আসে।
এরই মধ্যে ইয়াবার বড় বড় চালান সহ জয়নালের ছোট ভাই আয়নাল দেশের বিভিন্ন স্থানে আটক হলেও জয়নাল রয়ে যায় ধরা ছোয়ার বাইরে। পুলিশের একটি সুত্র জানান, আদালতের পিসিপিআর মূলে মাদক ও বিস্ফোরক আইনে তার নামে ৭টি ওয়ারেন্ট রয়েছে। যে গুলি হলো, শার্শা থানার এফ আই আর নং ১২/৩৭০, তারিখ ১২ সেপ্টেম্বও ২০১৭। শার্শা থানার এফ আই আর নং ১৩, তারিখ ৯জুন ২০১৫। শার্শা থানার এফ আই আর নং ২৫, তারিখ ১৩ এপ্রিল ২০১৫। শার্শা থানার এফ আই আর নং ১৮, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০০৭, জিআর নং ২৫/০৭। শার্শা থানার এফ আই আর নং ০৩, ৪মে ২০০৬। ঝিকরগাছা থানার এফ আই আর নং ১২, ২০ নভেম্বর ২০১৩। ঝিকরগাছা থানার এফ আই আর নং ২০ মে, ২০১৪। অন্য একটি সুত্র জানায়, জয়নালের নামে যশোর সহ বিভিন্ন থানায় আরো মামলা রয়েছে। জয়নালের সাথে কিছু অসাধু পুলিশ সদস্য আপোষ করলেও শার্শা থানার নবাগত ওসি মামুন খাঁন ছাড় দেন নি। তিনি মাদক নির্মূলে অভিযান অব্যাহত রাখবেন। এদিকে জয়নালের আটকের খবরে ইতিমধ্যে অনেক মাদক ব্যবসায়ী এলাকা ছেড়েছেন বলে এলাকাবাসি জানান।