
মোঃ সাইদুর রহমান, বরগুনা প্রতিনিধি:
বরগুনার আমতলীর গুলিশাখালী ইউনিয়নের ডালাচারা গ্রামে বড় ভাই কর্তৃক ছোট ভাই ও তার স্ত্রী ও ছোট ভাইয়ের নাতী এক শিশুকে মারধোর ও টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল মাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছেন ছোট ভাইয়ের স্ত্রী পারবিন বেগম (৪২)।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের ডালাচারা গ্রামের দেলোয়ার হোসেন (৫০) ও চাচাত ভাই আনোয়ার হাওলাদার ও জাহাঙ্গীর হাওলাদারের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এ বিরোধকে কেন্দ্র করে ২২ ফেব্রæয়ারী মঙ্গলবার সকাল ১০ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার সকালে দেলোয়ার হেসেন ও তার স্ত্রী পারবিন বেগম জমি বিক্রির ৩ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা রাখার জন্য ঘর থেকে বের হলে মামলার আসামী আনোয়ার (৪৮) জাহাঙ্গির (৫২) নুরুল হক (৫০) আহসান ঘরামী (৩০) সানু আকন (৪০) মোজাম্মেল (৩৪) দেশিয় অ¯্র শ¯্র নিয়ে দেলোয়ার (৪৮) তার স্ত্রী পারবিন বেগম (৪২)কে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে ও এ সময় মামলার আসামীরা পারবিন বেগমের শ্লিলতাহানি ঘটায় ও ঘরের দরজা জানালা কুপিয়ে ক্ষতিসাধন করেন। পারবিন বেগম ও তার স্বামীকে মরধোরের সময় ঘটনা স্থলে উপস্থিত পারবিন বেগমের একমাত্র নাতী সাইফ উদ্দিন (৫)কেও মারধোর করেন।
এই বিষয়ে মামলার বাদী পারবিন (৪২) বলেন, আমি ও আমার স্বামী ঘর থেকে বের হওয়া মাত্র মো.আনোয়ার হাওলাদার (৪৮),মো: জাহাঙ্গীর হাওলাদার(মাষ্টার) (৫২) মো. নুরুল হক (৫০),আহসান ঘরামী (৩০) সানু আকন (৪০)মোজাম্মেল (৩৪) আমার স্বামীকে মারধর শুরু করেন আমি বাঁধাদিতে গেলে আমাকে ছুড়ি দিয়ে আঘাত করে এবং আমার ভ্যানিটি ব্যাগে থাকা ৩ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যান।এমন কি আমার অ স্পর্শকাতর স্থানে আঘাত করে মাটিতে ফেলে দেন আমাদের ডাক চিৎকারে বাড়ীর আশ পাষের লোক জন ছুটে এসে আমাদের উদ্ধার করে আমতলী হাসপাতালে নিয়ে আসেন। হাসপাতালে আসার পর আমার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় আমতলী হাসপাতালের কর্তৃব্যরত ডাক্তার আমাকে পটুুয়াখালী হাসপাতালে রেফার করেন।
এ ঘটনায় বিচার চেয়ে গত ২৪ ফেব্রৃয়ারী পারবিন বেগম বাদী হয়ে আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মো.আনোয়ার হাওলাদার(৪৮),মো: জাহাঙ্গীর হাওলাদার(মাষ্টার)(৫২) মো. নুরুল হক (৫০),আহসান ঘরামী (৩০) সানু আকন (৪০) মোজাম্মেল (৩৪) আসামী করে মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জকে এজাহার গ্রহনের আদেশ দেন।
আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম মিজানুর রহমান বলেন আদালতের আদেশ মত ব্যবস্থা নেয়া হবে।