
মাহফুজ হাসান,কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:
“যদি আগুন লেগে ধ্বংস হয়েও যায় পৃথিবীর সব বইয়ের দোকান,বিশ্ব থেকে ফুরাইবে না পবিত্র কোরআন “
বিষ্ময়কর ঘটনা, মাত্র সাত মাসে পবিত্র কুরআন মুখস্থ (হিফজ) করেছে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরের তের বছরের কিশোরী মারিয়া আক্তার। এ ঘটনায় সে এলাকায় বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছে।
কুরআনে ১১৪টি সূরা হাফেজ হওয়ার এ প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ হতে সাধারণত ৩ থেকে ৬ বছর লাগে। এর জন্যে বিশেষ মাদ্রাসা রয়েছে, যেখানে কুরআন মুখস্থের সাথে সাথে সঠিক উচ্চারণরীতিও শেখানো হয়। মুসলমান সমাজে হাফেজরা খুবই সম্মানিত। তারা তাদের নামের আগে হাফেজ শব্দটি ব্যবহার করে।
হাফেজ বলতে বুঝানো হয়, যার সমস্ত কোরআন মুখস্থ আছে। সারাবিশ্বে হাফেজে কোরআনদের বেশ সম্মানের চোখে দেখা হয়, সম্মান করা হয়। কোরআন ব্যাতীত পৃথিবীতে আর কোনো বই কী আছে, যার শুরু থেকে শেষ অবধি কেউ মুখস্থ করেছেন? মনে হয় নেই, কারণ তা সম্ভব নয়। কিন্তু বিশ্বে পবিত্র কোরআনের সাড়ে ৬ কোটিরও বেশি সংখ্যক হাফেজ রয়েছেন বলে জানিয়েছে একটি জরিপ সংস্থা।
মারিয়া উপজেলার উত্তর গোবিন্দপুর গ্রামের হাফেজ নূরুল ইসলামের মেয়ে ও দারুল উলুম আমেনা মহিলা মাদরাসার শিক্ষার্থী।
দুই ভাই ও পাঁচ বোনের মধ্যে মারিয়া সবচেয়ে ছোট।তার বড় ভাই স্কলারশিপ নিয়ে মিশরের কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন। তার আরেক বড় ভাইও হাফেজ ৷
মারিয়ার ভাই মাহমুদ হাসান জানান, করোনার মধ্যেই সে ৮ম শ্রেণিতে পরীক্ষা দিয়ে দারুল উলুম আমেনা মহিলা মাদরাসার হিফজ বিভাগে ভর্তি হয়। মাত্র কয়েক মাসেই পুরো কোরআন মুখস্ত করে ফেলে সে।
পিতা হাফেজ নূরুল ইসলাম জানান, ছেলে মেয়েদের দ্বীনের পথে আনার চেষ্টা করেছি। সে লক্ষ্যেই তাকে হিফজে ভর্তি করেছি৷ তবে এত তাড়াতাড়ি সে পুরো কোরআন মুখস্ত করে ফেলবে তা কখনো ভাবি নি। এটা আল্লাহর কুদরত।
এদিকে, হাফেজা মারিয়া আক্তারের ইচ্ছে কোরআন ও হাদিসের খেদমত করার পাশাপাশি দেশ ও জাতির খেদমতে নিজেকে উৎসর্গ করা।