
সিরাজুল ইসলাম, ঠাকুর গাঁও প্রতিনিধিঃ
ওকি গাড়িয়াল ভাই কতরব আমি পন্থের দিকে চাহিয়া রে,বর্তমান সময়ের সমীকরণে এই গান, গানেই রয়েগেছে কিন্তু কালের বিবর্তনে ধীরে ধীরে কখন যে হারিয়ে যেতে বসেছে সেই গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য বাহী গরু-মহিষের গাড়ি বর্তমান প্রজন্ম গরু মহিষের গাড়ির সাথে পরিচিত না হলেও গ্রামীণ কৃষকের কাছে প্রায় দুই যুগ আগে ও ছিল খুব জনপ্রিয়। ধীরে ধীরে তথ্য ওযোগাযোগ বিস্তার লাভের ফলে আধুনিক ইন্জিন চালিত যান দখল করে নিয়েছে তার জায়গা,যার ফলে পরিলক্ষিত হয় না সেই আদিম বাংলার গরু দিয়ে হাল চাষ ও পরিবহন ব্যবস্থা।
স্থানীয় টেংরিয়া রাজা পাড়া গ্রামের বাসিন্দা মোঃআব্দুর রহমান বয়স(৭৫)জানান, আগে আমরা গরু মহিষের গাড়ি করে বিয়ে বরযাত্রী,থেকে শুরু করে মালামাল পরিবহন করতাম গরুর গাড়িতে দুইটি গরুকে জোয়ালের সাথে বেধে কাঠও বাশ দিয়ে তৈরি এসব গাড়ি দিয়ে ধান বোঝাই করে মাঠ থেকে নিয়ে আসা হতো বাড়িতে। বড় বড় গোপাট বেয়ে গাড়ির কেচর কেচর আওয়াজে বৈশাখ -অগ্রহায়ণ মাস জুড়ে গ্রাম পাড়া গুলো থাকতো মুখরিত।
বিশিষ্ট সাংবাদিক জসিম উদ্দিন ইতি জানান, যাদু রানী বাজার ছিল প্রসিদ্ধ তৎকালীন সময়ে এই বাজার হতে কাঁঠাল ডাংগী বাজার পর্যন্ত মালামাল আনা হতো এই গরু মহিষের গাড়িতে,কিন্তু এইসব দূর্লভ যাতায়াত পরিবন ব্যবস্হা আজ আর পরিলক্ষিত হয় না, তবে ৮০দশকের শেষের দিকে ও এই গরু মহিষের গাড়ি দিয়ে যাতায়াত ব্যবস্হা অব্যহত ছিল।