বাংলাদেশ ০৩:৫৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
জেলা পরিষদের সদস্য ও বাইশারীর কৃতি সন্তানদের গণসংবর্ধনা চট্টগ্রামে আঞ্চলিক গানের কিংবদন্তি শিল্পী শেফালী ঘোষ সরকারি চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎকারি শীর্ষ প্রতারক হাবিবুল্লাহ হাবিব কারিকরকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। জিয়া সেতুতে অবৈধ ডাম্প ট্রাক না চলার হুঁশিয়ারি ঘূর্ণিঝড় সিডর স্মরণে রাঙ্গাবালীতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন। কালুরঘাট সেতুর কাজ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে : সেতু উপদেষ্টা ব্রাহ্মণপাড়ায় বিপুল পরিমাণ মাদক ও অবৈধ ভারতীয় মালামাল জব্দ পীরগঞ্জে আবু সাঈদের কবর জেয়ারত করেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক। ইন্দুরকানিতে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল পিরোজপুরে জোড়া খুন এর মামলায় ২১ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী খাগড়াছড়ি থেকে গ্রেপ্তার বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে আলোচনা ও আপনজন সম্মাননা চাঁদা আদায়ের উদ্দেশ্যে অপহৃত মসজিদের ইমাম হাফেজ সোলাইমান কে উদ্ধার অপহরণকারী দাদনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। নাটোরে ভোরের চেতনা পত্রিকার ২৬ তম বর্ষপূর্তী উদযাপিত। বিস্ফোরক আইনে প্রধান শিক্ষক শফিক গ্রেফতার বিএনপি নেতা – কর্মীদের ওপর বোমা হামলার অভিযোগ

মোবাইলের লাইটের আলোয় চলছে হাসপাতালের কার্যক্রম

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:০০:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩
  • ১৬৮৮ বার পড়া হয়েছে

মোবাইলের লাইটের আলোয় চলছে হাসপাতালের কার্যক্রম

 

 

 

 

মোঃ জাকারিয়া, তালতলী উপজেলা প্রতিনিধি 
রুগীর অপেক্ষায় মোবাইলের ফ্লাশ লাইট জ্বালিয়ে বসে থাকেন ডাক্তার নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীরা। রুগী আসা মাত্রই দুর্ঘটনা, আগুনে পোড়া, সেলাইসহ সব ধরনের জরুরী সেবা দেন মোবাইলের লাইট জ্বালিয়ে।
বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স দির্ঘদিন ধরে এভাবেই সেবা দিয়ে আসছে ডাক্তার নার্সেরা। আছে বিদ্যৎ নেই পর্যাপ্ত লাইট। যেটুকো আছে তাও জ্বলছে মিটি মিটি করে। তবে বেশির ভাগ সময়ে থাকেনা বিদ্যুৎ। আর বিদ্যুৎ না থাকলে নেই বিকল্প কোন আলোর ব্যবস্থা। তাই বসে থাকতে হয় মোবাইলের লাইট জ্বালিয়ে।
জানা গেছে, পশ্ববর্তী উপজেলা আমতলীর সাব সেন্টার নামে পরিচিত ছিলো তালতলী ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালটি, এরপরে তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘোষণা করে সরকার। সম্প্রতি ২০ শয্যা থেকে ৩১ শয্যায় উন্নতি করন করছে সরকার। এই হাসপাতালে বর্তমানে ১৪জন ডাক্তার, ৮জন নার্স, ১৩ জন স্বাস্থ্য সহকারী, ১০ জন সিএইচ সিপি সহ প্রায় অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা কর্মচারী কর্মরত রয়েছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, বিদ্যুৎ নেই তাই মোবাইলের লাইট জ্বালিয়ে বসে আছেন নাইট ডিউটি রত ডাক্তার ও নার্স। মোবাইলের আলো জ্বালিয়ে ঔষধ দিচ্ছেন ভর্তি রোগীদের। ডেঙ্গু, ডায়রিয়া, দুর্ঘটনাসহ ভর্তি আছেন ১৪জন রুগী। অনেক রুগীর স্বজনেরা মোমবাতি জ্বালিয়েছেন।
ভর্তি রুগীর স্বজন মো. জাহিদ বলেন, মোটরসাইকেল এক্সিডেন্ট করে গুরুতর আহত হয়েছে আমার ছোট ভাই। তাকে নিয়ে এই হাসপাতালে এসেছি রাতে। কিন্তু হাসপাতালের বিদ্যুৎ থাকলেও পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা নেই। কয়েকটা বাতি আছে মিটমিট করে জলে। তাই হাসপাতালে নার্সরা তাদের মোবাইলে লাইট জ্বালিয়ে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরে মোমবাতি কিনে জ্বালিয়ে রাখতে হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন নার্স বলেন, হাসপাতালে বিদ্যুৎ আছে কিন্তু পর্যাপ্ত বাতি নেই। যা আছে তা মিট মিট করে জ্বলে। এজন্য রাতে রোগীরা চিকিৎসা নিতে অসসলে আলো সংকটে মোবাইলের ফ্লাশ লাইট জালিয়ে রোগিদের সেবা দিতে হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডা.শাকিলা আক্তার বলেন, হাসপাতালের অধিকাংশ কক্ষেই লাইট নেই এতে হাসপাতালে কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। দ্রুত এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।
জনপ্রিয় সংবাদ

জেলা পরিষদের সদস্য ও বাইশারীর কৃতি সন্তানদের গণসংবর্ধনা

মোবাইলের লাইটের আলোয় চলছে হাসপাতালের কার্যক্রম

আপডেট সময় ১০:০০:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩

 

 

 

 

মোঃ জাকারিয়া, তালতলী উপজেলা প্রতিনিধি 
রুগীর অপেক্ষায় মোবাইলের ফ্লাশ লাইট জ্বালিয়ে বসে থাকেন ডাক্তার নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীরা। রুগী আসা মাত্রই দুর্ঘটনা, আগুনে পোড়া, সেলাইসহ সব ধরনের জরুরী সেবা দেন মোবাইলের লাইট জ্বালিয়ে।
বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স দির্ঘদিন ধরে এভাবেই সেবা দিয়ে আসছে ডাক্তার নার্সেরা। আছে বিদ্যৎ নেই পর্যাপ্ত লাইট। যেটুকো আছে তাও জ্বলছে মিটি মিটি করে। তবে বেশির ভাগ সময়ে থাকেনা বিদ্যুৎ। আর বিদ্যুৎ না থাকলে নেই বিকল্প কোন আলোর ব্যবস্থা। তাই বসে থাকতে হয় মোবাইলের লাইট জ্বালিয়ে।
জানা গেছে, পশ্ববর্তী উপজেলা আমতলীর সাব সেন্টার নামে পরিচিত ছিলো তালতলী ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালটি, এরপরে তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘোষণা করে সরকার। সম্প্রতি ২০ শয্যা থেকে ৩১ শয্যায় উন্নতি করন করছে সরকার। এই হাসপাতালে বর্তমানে ১৪জন ডাক্তার, ৮জন নার্স, ১৩ জন স্বাস্থ্য সহকারী, ১০ জন সিএইচ সিপি সহ প্রায় অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা কর্মচারী কর্মরত রয়েছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, বিদ্যুৎ নেই তাই মোবাইলের লাইট জ্বালিয়ে বসে আছেন নাইট ডিউটি রত ডাক্তার ও নার্স। মোবাইলের আলো জ্বালিয়ে ঔষধ দিচ্ছেন ভর্তি রোগীদের। ডেঙ্গু, ডায়রিয়া, দুর্ঘটনাসহ ভর্তি আছেন ১৪জন রুগী। অনেক রুগীর স্বজনেরা মোমবাতি জ্বালিয়েছেন।
ভর্তি রুগীর স্বজন মো. জাহিদ বলেন, মোটরসাইকেল এক্সিডেন্ট করে গুরুতর আহত হয়েছে আমার ছোট ভাই। তাকে নিয়ে এই হাসপাতালে এসেছি রাতে। কিন্তু হাসপাতালের বিদ্যুৎ থাকলেও পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা নেই। কয়েকটা বাতি আছে মিটমিট করে জলে। তাই হাসপাতালে নার্সরা তাদের মোবাইলে লাইট জ্বালিয়ে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরে মোমবাতি কিনে জ্বালিয়ে রাখতে হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন নার্স বলেন, হাসপাতালে বিদ্যুৎ আছে কিন্তু পর্যাপ্ত বাতি নেই। যা আছে তা মিট মিট করে জ্বলে। এজন্য রাতে রোগীরা চিকিৎসা নিতে অসসলে আলো সংকটে মোবাইলের ফ্লাশ লাইট জালিয়ে রোগিদের সেবা দিতে হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডা.শাকিলা আক্তার বলেন, হাসপাতালের অধিকাংশ কক্ষেই লাইট নেই এতে হাসপাতালে কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। দ্রুত এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।