
মোঃ জাকারিয়া, তালতলী উপজেলা প্রতিনিধি
রুগীর অপেক্ষায় মোবাইলের ফ্লাশ লাইট জ্বালিয়ে বসে থাকেন ডাক্তার নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীরা। রুগী আসা মাত্রই দুর্ঘটনা, আগুনে পোড়া, সেলাইসহ সব ধরনের জরুরী সেবা দেন মোবাইলের লাইট জ্বালিয়ে।
বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স দির্ঘদিন ধরে এভাবেই সেবা দিয়ে আসছে ডাক্তার নার্সেরা। আছে বিদ্যৎ নেই পর্যাপ্ত লাইট। যেটুকো আছে তাও জ্বলছে মিটি মিটি করে। তবে বেশির ভাগ সময়ে থাকেনা বিদ্যুৎ। আর বিদ্যুৎ না থাকলে নেই বিকল্প কোন আলোর ব্যবস্থা। তাই বসে থাকতে হয় মোবাইলের লাইট জ্বালিয়ে।
জানা গেছে, পশ্ববর্তী উপজেলা আমতলীর সাব সেন্টার নামে পরিচিত ছিলো তালতলী ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালটি, এরপরে তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘোষণা করে সরকার। সম্প্রতি ২০ শয্যা থেকে ৩১ শয্যায় উন্নতি করন করছে সরকার। এই হাসপাতালে বর্তমানে ১৪জন ডাক্তার, ৮জন নার্স, ১৩ জন স্বাস্থ্য সহকারী, ১০ জন সিএইচ সিপি সহ প্রায় অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা কর্মচারী কর্মরত রয়েছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, বিদ্যুৎ নেই তাই মোবাইলের লাইট জ্বালিয়ে বসে আছেন নাইট ডিউটি রত ডাক্তার ও নার্স। মোবাইলের আলো জ্বালিয়ে ঔষধ দিচ্ছেন ভর্তি রোগীদের। ডেঙ্গু, ডায়রিয়া, দুর্ঘটনাসহ ভর্তি আছেন ১৪জন রুগী। অনেক রুগীর স্বজনেরা মোমবাতি জ্বালিয়েছেন।
ভর্তি রুগীর স্বজন মো. জাহিদ বলেন, মোটরসাইকেল এক্সিডেন্ট করে গুরুতর আহত হয়েছে আমার ছোট ভাই। তাকে নিয়ে এই হাসপাতালে এসেছি রাতে। কিন্তু হাসপাতালের বিদ্যুৎ থাকলেও পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা নেই। কয়েকটা বাতি আছে মিটমিট করে জলে। তাই হাসপাতালে নার্সরা তাদের মোবাইলে লাইট জ্বালিয়ে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরে মোমবাতি কিনে জ্বালিয়ে রাখতে হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন নার্স বলেন, হাসপাতালে বিদ্যুৎ আছে কিন্তু পর্যাপ্ত বাতি নেই। যা আছে তা মিট মিট করে জ্বলে। এজন্য রাতে রোগীরা চিকিৎসা নিতে অসসলে আলো সংকটে মোবাইলের ফ্লাশ লাইট জালিয়ে রোগিদের সেবা দিতে হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডা.শাকিলা আক্তার বলেন, হাসপাতালের অধিকাংশ কক্ষেই লাইট নেই এতে হাসপাতালে কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। দ্রুত এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।