
মোঃ সারোয়ার হোসেন অপু নওগাঁ প্রতিনিধি:
নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ন একটি গ্রামীণ রাস্তা হচ্ছে লোহাচূড়িয়া টু ঝিনা রাস্তা। রক্তদহ বিল থেকে আসা রতনডারী ডারার তীর দিয়ে এই গ্রামীণ রাস্তাটি চলে গেছে। এই রাস্তার পাশ দিয়ে গড়ে উঠেছে ছিন্নমূল, ভূমিহীন, গৃহহীন, গরীব ও অসহায় মানুষদের বসতি। প্রায় ৪ বছর আগে বন্যার পানিতে গহেলাপুর, ঝিনা ও লোহাচূড়িয়া রাস্তার সংযোগ স্থলের রিং কালভার্ট টি ভেঙ্গে গেলেও এখন পর্যন্ত তা মেরামত কিংবা সংস্কার না করায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে হাজার হাজার স্থানীয় বাসিন্দা সহ লোকজনদের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় যে, রিং কালভার্টটি ভেঙ্গে যাওয়ার পর থেকে এই ভাঙ্গা অংশ পায়ে হেটে কিংবা বাইসাইকেল দিয়ে কোন মতে পার হওয়া গেলেও ভ্যান সহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। ফলে প্রতিনিয়তই আকনা, বাঁশবাড়িয়া, ঝিনা, বিজয়কান্দি, বড়বড়িয়া সহ প্রায় ২০টি গ্রামের মানুষদের ঐতিহ্যবাহী লোহাচূড়িয়া ধানের হাটে যেতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এই অঞ্চলের কৃষকদের ধানের হাটে ধান নিয়ে যেতে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে বর্তমানে ২০-২৫ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষকরা। অথচ এই রিং কালভার্টটি মেরামত করা হলে মাত্র ৫ কিলোমিটার রাস্তা পারি দিয়ে ধানের হাটে চলাচল করা সম্ভব। এতে করে কৃষিপণ্য বিপনন করতে লোকসান হিসেবে অতিরিক্ত খরচও গুনতে হবে না ২০টি গ্রামের কৃষকদের।
ঝিনা গ্রামের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, শহরের সুবিধা এখনোও গ্রামের মানুষরা পাচ্ছে না। ৪ বছর আগে এই সামান্য রিং কালভার্টটি ভেঙ্গে যাওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত মেরামত না করায় এই রাস্তা দিয়ে হাজার হাজার মানুষকে প্রতিদিন চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দিনের বেলায় ঝুঁকি নিয়ে কোন মতে চলাচল করলেও রাতের আধাঁরে এই ভাঙ্গা স্থানটি পারাপার হতে অনেক মানুষই নিচে পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
এলাকার বাসিন্দা নারী আছমা খাতুন বলেন, আমাদের ছেলে মেয়েদের এই রাস্তা দিয়ে গহেলাপুর স্কুলে যেতে হয়। এই ভাঙ্গা অংশটি ৪ বছরেও মেরামত না করায় প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে চলাফেরা করতে হয়। আবার বর্ষা মৌসুমে রাস্তাটির ইটের উপর শেওলা জমে যাওয়ার কারণে হাটার সময় পিছলে পড়েও অনেক দূর্ঘটনা ঘটে। তাই এই ভাঙ্গা রিং কালভার্টটি দ্রুত মেরামত সহ পুরো রাস্তাটি ইটের পরিবর্তে পাঁকাকরণ করার জন্য উন্নয়নবান্ধব সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
রাণীনগর উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ ইসমাইল হোসেন মুঠোফোনে জানান, বিষয়টি আমার জানা ছিলো না। আমি স্থানটি সরেজমিনে পরিদর্শন করে দ্রুত ঐ স্থানে আরেকটি রিং কালভার্ট কিংবা অন্য কোন কালভার্ট নির্মাণ করার জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে জানাবো।