
মো. নাঈম হাসান ঈমন, ঝালকাঠি প্রতিনিধি:
ঝালকাঠি নলছিটি শহরের সোনালী ব্যাংকের নিজ তলায় প্রাইম ব্যাংকের মোবাইল এজেন্ট ব্যাংকিং চালু করে অধিক মুনাফার লাভ দেওয়ার কথা বলে, গ্রাহকের কাছ থেকে প্রায় এক কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে সুফিয়ান নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত যুবক মো. সুফিয়ান ওরফে মিলন (২৯) উপজেলার বারই করন গ্রামের আহসান তালুকদার মন্টুর ছেলে।
ভুক্তভোগী মো. জাকির মোল্লা বলেন, প্রাইম ব্যাংকের মোবাইল এজেন্ট ব্যাংকিং চালু করেছিল মিলন। অধিক মুনাফার লাভ দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে প্রায় ১ কোটি টাকা নিয়ে গত ১৮ ই সেপ্টেম্বর সোমবার বিকাল থেকে পালাতক রয়েছে। তিনি এ বিষয়ে নলছিটি থানায় গত ২৩শে সেপ্টেম্বর অভিযোগ দিয়েছেন।
ভুক্তভোগী বারই করন এলাকার মো. এনামুল হক সোহেল বলেন, আমার কাছ থেকে ১১ লাখ টাকা নিয়েছে। আমিও নলছিটি থানায় গত ২৩শে সেপ্টেম্বর অভিযোগ করেছি।
ভুক্তভোগী মো. চুন্নু তালুকদার বলেন, আমার কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা নিয়েছে প্রাইম ব্যাংকের মোবাইল এজেন্ট এ ডিপোজিট করার কথা বলে। এ বিষয়ে আমি মামলার করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। ভুক্তভোগী কুলকাঠি ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বর মো. খোকন মাঝি বলেন, বেশি মুনাফা দেওয়ার কথা বলে আমার কাছ থেকেও ৩ লাখ টাকা ডিপোজিট করার কথা বলে নিয়েছে।
ভুক্তভোগী নলছিটি শহরে বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম রাজু বলেন, আমাকে ব্যবসায়িক পার্টনার হিসেবে নেওয়ার জন্য নগদ ৩ লাখ টাকা নিয়েছে। আমার কাছে ব্যাংকের চেক ও স্টাম্পের চুক্তিপত্র রয়েছে। একাধিক ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা বলেন, আমাদের স্ট্যাম্পে লিখিত ও ব্যাংকের চেক দিয়ে প্রতারণা করে ডিপোজিট করার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়েছে। এ বিষয়ে নলছিটি থানায় একাধিক ভুক্তভোগী পরিবার অভিযোগ দিয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সুফিয়ান ওরফে মিলন এর মুঠোফোন ০১৭৭৭০২১১১১ এই নাম্বারে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আতাউর রহমান বলেন, একাধিক ভুক্তভোগী পরিবার অভিযোগ দিয়েছে। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।