বাংলাদেশ ০৩:৫৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
জেলা পরিষদের সদস্য ও বাইশারীর কৃতি সন্তানদের গণসংবর্ধনা চট্টগ্রামে আঞ্চলিক গানের কিংবদন্তি শিল্পী শেফালী ঘোষ সরকারি চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎকারি শীর্ষ প্রতারক হাবিবুল্লাহ হাবিব কারিকরকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। জিয়া সেতুতে অবৈধ ডাম্প ট্রাক না চলার হুঁশিয়ারি ঘূর্ণিঝড় সিডর স্মরণে রাঙ্গাবালীতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন। কালুরঘাট সেতুর কাজ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে : সেতু উপদেষ্টা ব্রাহ্মণপাড়ায় বিপুল পরিমাণ মাদক ও অবৈধ ভারতীয় মালামাল জব্দ পীরগঞ্জে আবু সাঈদের কবর জেয়ারত করেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক। ইন্দুরকানিতে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল পিরোজপুরে জোড়া খুন এর মামলায় ২১ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী খাগড়াছড়ি থেকে গ্রেপ্তার বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে আলোচনা ও আপনজন সম্মাননা চাঁদা আদায়ের উদ্দেশ্যে অপহৃত মসজিদের ইমাম হাফেজ সোলাইমান কে উদ্ধার অপহরণকারী দাদনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। নাটোরে ভোরের চেতনা পত্রিকার ২৬ তম বর্ষপূর্তী উদযাপিত। বিস্ফোরক আইনে প্রধান শিক্ষক শফিক গ্রেফতার বিএনপি নেতা – কর্মীদের ওপর বোমা হামলার অভিযোগ

কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় ভাবির ওড়না পেঁচিয়ে দেবরের আত্মহত্যা

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৯:৩২:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ জুন ২০২৩
  • ১৬৩২ বার পড়া হয়েছে
বুড়িচং প্রতিনিধি। 
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে ইয়াসিন সরকার নামে এক কলেজছাত্র। স্বজনদের ধারণা ইয়াসিন সরকার আত্মহত্যা করে নি তাকে হত্যা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ জুন) মধ্যরাতে উপজেলার শিদলাই ইউনিয়নের শিদলাই ৮ নং ওয়ার্ড এলাকা থেকে ইয়াসিন সরকারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত ইয়াসিন সরকার একই গ্রামের আবদুল কুদ্দুস সরকারের ছেলে। তিনি মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরী বিশ্ব বিদ্যালয় কলেজের অনার্স ৩ম বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
ইয়াসিন সরকারের মা নাজমা বেগম বলেন, আমার ছেলে পড়াশোনার পাশাপাশি গ্রামের বাজারে মোবাইল সার্ভিসিং এর দোকান চালাইতো। সেখানে রাতে থাকতো। একদিন আমার ছেলে আমায় বলে মা আমার দোকানে ভয় লাগে। পরে সে ঘরে থাকতো। সে বেশ কিছু দিন যাবৎ ঘুমের ঔষধ খেয়ে ঘুমাইতেন। ঘুমের ঔষধ খাওয়া নিয়ে আমি তাকে গালমন্দ করি। তখন সে আমায় বলে তাকে আমি অপমান করছি কেন? তখন আমি আর কিছু বলি নি। আমার বড় ছেলে বউরা তাকে গোসল ও খাওয়া ডাওয়া করান। রাত আনুমানিক ২ টার সময় আমার ছোট ছেলে বাহিরে যাবে আমায় ডাকতেছিলো। তখন আমি ঘুম থেকে উঠে যায়। বাহির থেকে আাসার পর ইয়াসিন যে রুমে ঘুমায়। আমি দরজার ফাঁক দিয়ে দেখি আমার ছেলে ঘরের তীরের সঙ্গে ঝুলে আছে। আমার চিৎকার চেঁচামেছিস শুনে আমার স্বামী ও ছেলের বউরা দৌড়ে ছুটে আসে। আমরা সবাই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার স্যার বলে আমার ছেলে মারা গেছে বাবা। আমি আর কিছু জানি না।
নিহত ইয়াসিনের ভাবি বলেন, আমাদের সঙ্গে তো কোন কিছু নিয়ে ঝগড়া নাই। সে অনেক সময় ঘুমের ঔষধ খেয়ে ঘুমাইতেন। আমরা জিগাসা করলে কিছু বলতেন না শুধু বলতেন ভালা লাগে না তার। ওড়না পেঁচিয়ে মৃত্যুর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভেজা ওড়না রুমে শুকানোর জন্য রুমে দেওয়া ছিলো। এটা কেন করেছে তা আমরা জানি না।  আমরা তাকে ছোট ভাই হিসাবে দেখতাম।
ব্রাহ্মণপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি শেখ মাহমুদুল হাসান রুবেল জানান, লাশের সোরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে লাশ হস্থান্তর করা হবে। তবে কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন তা এখনো জানা যায়নি। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
জনপ্রিয় সংবাদ

জেলা পরিষদের সদস্য ও বাইশারীর কৃতি সন্তানদের গণসংবর্ধনা

কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় ভাবির ওড়না পেঁচিয়ে দেবরের আত্মহত্যা

আপডেট সময় ০৯:৩২:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ জুন ২০২৩
বুড়িচং প্রতিনিধি। 
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে ইয়াসিন সরকার নামে এক কলেজছাত্র। স্বজনদের ধারণা ইয়াসিন সরকার আত্মহত্যা করে নি তাকে হত্যা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ জুন) মধ্যরাতে উপজেলার শিদলাই ইউনিয়নের শিদলাই ৮ নং ওয়ার্ড এলাকা থেকে ইয়াসিন সরকারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত ইয়াসিন সরকার একই গ্রামের আবদুল কুদ্দুস সরকারের ছেলে। তিনি মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরী বিশ্ব বিদ্যালয় কলেজের অনার্স ৩ম বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
ইয়াসিন সরকারের মা নাজমা বেগম বলেন, আমার ছেলে পড়াশোনার পাশাপাশি গ্রামের বাজারে মোবাইল সার্ভিসিং এর দোকান চালাইতো। সেখানে রাতে থাকতো। একদিন আমার ছেলে আমায় বলে মা আমার দোকানে ভয় লাগে। পরে সে ঘরে থাকতো। সে বেশ কিছু দিন যাবৎ ঘুমের ঔষধ খেয়ে ঘুমাইতেন। ঘুমের ঔষধ খাওয়া নিয়ে আমি তাকে গালমন্দ করি। তখন সে আমায় বলে তাকে আমি অপমান করছি কেন? তখন আমি আর কিছু বলি নি। আমার বড় ছেলে বউরা তাকে গোসল ও খাওয়া ডাওয়া করান। রাত আনুমানিক ২ টার সময় আমার ছোট ছেলে বাহিরে যাবে আমায় ডাকতেছিলো। তখন আমি ঘুম থেকে উঠে যায়। বাহির থেকে আাসার পর ইয়াসিন যে রুমে ঘুমায়। আমি দরজার ফাঁক দিয়ে দেখি আমার ছেলে ঘরের তীরের সঙ্গে ঝুলে আছে। আমার চিৎকার চেঁচামেছিস শুনে আমার স্বামী ও ছেলের বউরা দৌড়ে ছুটে আসে। আমরা সবাই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার স্যার বলে আমার ছেলে মারা গেছে বাবা। আমি আর কিছু জানি না।
নিহত ইয়াসিনের ভাবি বলেন, আমাদের সঙ্গে তো কোন কিছু নিয়ে ঝগড়া নাই। সে অনেক সময় ঘুমের ঔষধ খেয়ে ঘুমাইতেন। আমরা জিগাসা করলে কিছু বলতেন না শুধু বলতেন ভালা লাগে না তার। ওড়না পেঁচিয়ে মৃত্যুর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভেজা ওড়না রুমে শুকানোর জন্য রুমে দেওয়া ছিলো। এটা কেন করেছে তা আমরা জানি না।  আমরা তাকে ছোট ভাই হিসাবে দেখতাম।
ব্রাহ্মণপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি শেখ মাহমুদুল হাসান রুবেল জানান, লাশের সোরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে লাশ হস্থান্তর করা হবে। তবে কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন তা এখনো জানা যায়নি। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।