
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানার আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর সাবিনা আক্তার পান্না হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন ও মূলহোতা আব্দুর রহমান’কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৪।
র্যাব-৪ সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ নির্মূল ও মাদকবিরোধী অভিযানের পাশাপাশি খুন, চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও অস্ত্রধারী সংঘবদ্ধ ও সক্রিয় সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যদের গ্রেফতারে জোড়ালো তৎপরতা অব্যাহত আছে। এরই ধারাবাহিকতায় ০৩ মার্চ ২০২৪ তারিখ দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানার আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর সাবিনা আক্তার পান্না (২৮) হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন ও মূলহোতা আব্দুর রহমান (৩০), জেলা: নারায়ণগঞ্জ কে ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন খেজুরটেক এলাকা হতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ ও ঘটনার বিবরণে জানা যায় যে, গত তিন বছর যাবত গ্রেফতারকৃত আসামী আব্দুর রহমান ও নিহত ভিকটিম সাবিনা আক্তার পান্না এর পরিবারের সাথে জমি-জমা নিয়ে বিরোধ চলছিলো। গত ০৪ অক্টোবর ২০২৩ তারিখ বিকালে ভিকটিমের মেয়ে গ্রেফতারকৃত আসামীর ভাড়াটিয়া টিনের ঘরের পাশে অন্যান্য বাচ্চাদের খেলাধুলা করছিলো।
এ সময় গ্রেফতারকৃত আসামী পূর্ব বিরোধের জেরে ভিকটিমের মেয়েকে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ ও মারধর করলে সে তার মায়ের কাছে ঘটনাটি জানায়। ভিকটিম তাৎক্ষনিকভাবে গ্রেফতারকৃত আসামীর নিকট গিয়ে প্রতিবাদ করলে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে তার নিজ ঘর হতে একটি ধারালো কোদাল বের করে ভিকটিমের মাথায় আঘাত করলে ভিকটিমের মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যায় এবং গ্রেফতারকৃত আসামী কৌশলে ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়। উক্ত ঘটনায় প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াসহ এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
পরবর্তীতে ভিকটিমের শাশুড়ী বাদী হয়ে গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে নারায়নগঞ্জ জেলার বন্দর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলা রুজুর পর থেকে গ্রেফতার এড়াতে আসামী ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন খেজুরটেক এলাকায় অবস্থান করে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্থান্তর করা হয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে এরূপ হত্যাকারীর বিরুদ্ধে র্যাব-৪ এর জোরালো অভিযান অব্যাহত থাকবে। (মোঃ জিয়াউর রহমান চৌধুরী) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সিনিঃ সহকারী পরিচালক (মিডিয়া অফিসার) পক্ষে পরিচালক