
নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের সাংবাদিক, জাতীয় দৈনিক মাতৃজগত নাটোর জেলা প্রতিনিধি, দৈনিক দেশ বাংলা, দৈনিক বাংলার আলো নিউজ বাগাতিপাড়া নাটোর প্রতিনিধি, বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের বাগাতিপাড়া উপজেলার প্রচার সম্পাদক, বাগাতিপাড়া স্মার্ট প্রেসক্লাবের সদস্য মোঃ কামাল মাহামুদের বাবা কমেদ আলী ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৯ সালের ২৪ মার্চ সকাল ৬:২০ মিনিটে তিনি ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না-লিল্লাহ ওয়াইন্না এলাইহি রাজিউন।
পরিবার আত্মীয় স্বজনদের পক্ষ থেকে মরহুম কমেদ আলীর রুহের মাগফেরাত কামনা করা হয়। আল্লাহ তায়লা তাকে জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থানের মর্যাদা দান করুন। আমিন।
এদিকে বাবার মৃত্যুবার্ষিকীর দিনে তার ছেলে মোঃ কামাল মাহামুদ আবেগঘন স্মৃতিচারণ করেছেন তার লেখনীতে।
২০১৯ সাল সকাল ৬:২০ মিনিট। অর্থাৎ ২৪ মার্চ ২০১৯ রবিবার। জীবনের অনেক স্মৃতি, বিস্মৃতির অতল গহবরে মিলিয়ে গেলেও এই দিনের বেদনার স্মৃতি আজও অশ্রু সজল করে তোলে দৃ’চোখকে।
যা হারিয়েছি তা এ জনমে পুরণ হবার নয়। বটবৃক্ষ হারিয়ে আজও এক এবং একা পথ চলছি। জীবন পথের নানা বাকে চলতে চলতে আজ আমি ক্লান্ত। দেখতে দেখতে পরিনত বয়সে এসে পৌচেছি। এখন শুধুমাত্র বেঁচে আছি মৃত্যুর অপেক্ষায়। আশপাশের পরিচিত অনেকেই পরপাড়ে পাড়ি জমিয়েছে। হয়তো ভাবছেন কেন আমি এ ধরনের বেদনা মিশ্রিত হতাশার কথা বলছি।
আজ আমার বাবা কমেদ আলীর ৫ম মৃত্যু বার্ষিকী। প্রতিবছরই এ মাসটি এলে আমার মধ্যে এক ধরনের পরির্তন চলে আসে। বারে বারে মনে হয়, কবে হবে মৃত্যু আমার। কখন পরপাড়ে মিলিত হব আমার আদর্শ, নীতিবান ও একজন উত্তম পিতার সঙ্গে। প্রতিনিয়তই কামনা করি হে আল্লাহ আমার বাবাকে তুমি ভাল রেখো।
রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বা ইয়ানি ছগিরা। দীর্ঘদিনের অতিযত্নে লালন করা একটি আশা নিয়ে বসে আছি। বসে থাকতে হবে মৃত্যু অবধি। প্রত্যাশা শুধু একটিই মৃত্যুর পর আমাকে যেন আমার বাবার সঙ্গে বসবাসের ঠিকানাটা পাই। হে রহমানুর রহিম জীবনে যদি একবিন্দুও তোমার নাম স্মরণ করে থাকি তার বিনিময়ে হলেও পরপাড়ে আমার আশ্রয় স্থানটি আমার বাবার সঙ্গে করে দিও। আমীন।
সকলের কাছে অন্তত এইটুকু দোয়া ভিক্ষা চাই, আমার প্রয়াত বাবার জন্য দোয়া করবেন এবং আমার জন্য দোয়া করবেন যাতে আমার পরজনমের ঠিকানাটা আমার বাবার সঙ্গে হয়। দুনিয়াতে কি পেয়েছি আর কি পাইনি সে হিসাব করিনি কোনদিন।
কিন্তু পরকালের এই একটি চাওয়া যেন মহান রাব্বুল আলামীন কবুল করেন। ইহজগতে খুব বেশীদিন বাবার সান্নিধ্য পাইনি। মাত্র ৪৮ বছর বয়সেই তিনি আমাদের এক-ভাই, দু’বোন ও মাকে রেখে চলে যান না ফেরার দেশে।
বাবার সেই অকৃত্রিম ভালবাসার সঙ্গে এ জীবনে আর কারো ভালবাসাকে একত্রিত করতে পারিনা। কি পরিবার, কিংবা স্বজন অথবা আমার পরিচিত মহলে। নি:স্বার্থ এ ভালবাসা হারানোর দহনে আজও পুড়ছি আমি। জানিনা আর কতদিন পুড়তে হবে। আমি ফিরে যেতে চাই আমার সেই Lost of Love এর সান্নিধ্যে।