
স্টাফ রিপোর্টার:
গত ১৮ মার্চ ২০২৪, রানীশংকৈল উপজেলা শিক্ষা অফিসার রাহিমউদ্দীন এর প্রস্তাবে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার খন্দকার মনছুর রহমান স্বাক্ষরিত স্মারক নং জে প্রা শি অ/ঠাক/২০২৪/২৯৭ মোতাবেক অত্র বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রঃশি সেলিমা সিদ্দিকা, সহকারী শিক্ষক আয়শা খাতুন, আবুল কালাম আজাদ এবং ধীরেন্দ্র নাথকে উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ে প্রশাসনিক কারনে বদলী দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য অত্র বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ এর গুজবে গত ৩রা ডিসেম্বর ষষ্ঠ শ্রেণির ভর্তি বাতিল করা হয়েছে মর্মে অত্র বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আয়শা খাতুন এর স্বামী নওরোজ কাওসার কানন এলাকার কিছু অভিভাবক সহ উচ্ছৃঙ্খল লোকজনকে নিয়ে বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষ ভাঙচুর, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কে অশ্লীল অশ্রাব্য গালিগালাজ দিয়ে তাঁকে লাত্থি দিয়ে ছুড়ে ফেলার হুমকি সহ সহকারী শিক্ষক ধীরেন্দ্র নাথকে মারার জন্য আক্রমণ করে, সরকারি কাজে বাঁধা দান এর মতো জঘন্য কর্মকাণ্ড টি করে।
এর প্রায় চার মাসের মাথায় সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার জাহিদ হাসান এবং সীমান্ত বসাক এর তদন্ত উপেক্ষা করে উপজেলা শিক্ষা অফিসার রাহিমউদ্দীন তাঁর ব্যক্তিগত এজেন্ডা বিউটি আকতারকে রানীশংকৈল মডেল স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রঃশি এর দায়িত্ব পুন:বহাল করতেই, উক্ত জঘন্য কর্মকাণ্ড জড়িত আবুল কালাম আজাদ, কাননের স্ত্রী আয়শা খাতুনকে এবং নিরপরাধ ভারপ্রাপ্ত প্রঃশি ছেলিমা সিদ্দিকাসহ ধীরেন্দ্র নাথকে প্রশাসনিক কারনে বদলীর প্রস্তাব দিয়েছেন বলে এলাকার অভিভাবক গণ মনে করেন।
উল্লেখ্য গত ২৬/১১/২৩ তারিখে তৎকালীন প্রধান শিক্ষক ফরিদা ইয়াছমিন এর অবসরে গেলে উপজেলা শিক্ষা অফিসার রাহিমউদ্দীন অনলাইন গ্রেডেশনে একধাপ উপরে থাকা ছেলিমা সিদ্দিকাকে ভারপ্রাপ্ত প্রঃশি এর দায়িত্ব না দিয়ে এক ধাপ নিচে থাকা বিউটি আকতারকে ভারপ্রাপ্ত প্রঃশি এর দায়িত্ব দিয়ে বিদ্যালয়ের লেখাপড়া, সময়ানুবর্তিতা এবং শৃঙখলা সম্পুর্ণ ভেঙে পড়ে।
পরবর্তীতে প্রায় দুই মাসের প্রচেষ্টায় নিজেস্ব অধিকার আদায়ে সক্রিয় ছেলিমা সিদ্দিকা মডেলের ভারপ্রাপ্ত প্রঃশি এর দায়িত্ব বুঝে নিয়ে বিদ্যালয়ের সার্বিক অবস্থার ঈর্ষনীয় উন্নতি করতে শুরু করলেও, বাস্তবতা মেনে না নিয়ে বিষয়টি সম্পুর্ন ইগোতে নেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার রাহিমউদ্দীন। তার প্রচ্ছন্ন মদদে বিদ্যালয়ে ঘটতে থাকে একের পরে এক অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এবং ঘটনা। এইসব ঘটনার সুষ্ঠু নিরসন এর জন্য কোন উদ্যোগ না নিয়ে তিনি বিউটি আকতারকে ভারপ্রাপ্ত প্রঃশি এর দায়িত্ব দিতে মরিয়া হয়েই ব্যক্তিগত এজেন্ডা চরিতার্থ করতে আজ রানীশংকৈল মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর ভাবমূর্তি সম্পুর্ন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিয়েছেন।
এলাকাবাসীর আশঙ্কা রানীশংকৈল মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে বিনষ্ট কারী ষড়যন্ত্রের মূল হোতা বিউটি আকতার, এছাড়া গত কয়েকমাস আগে বিদ্যালয়ের কক্ষে সরকারি সম্পদ ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের জোর পূর্বক কোচিং বাণিজ্যে জড়িত অত্র বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক একই পরিবারের আসিফুজ্জামান, লাকী পারভিন, আয়েশা সিদ্দিকা সহ বদরুল আলম, জিয়াউর রহমানকে অত্র বিদ্যালয় থেকে অতি দ্রুত অন্যত্র বদলী না করলে এক সময়ের রানীশংকৈল এর গর্ব এবং অহংকার ধূলিস্যাৎ হতে সময়ের ব্যবধান মাত্র।