
ক্রাইম রিপোর্টার মোস্তফা মিয়া-রংপুর :
প্রাক বাজেট আলোচনায় বৃটিশ আমেরিকান টোবাকোর এজেন্টরা জাতীয় রাজস্ বোর্ডকে বিড়ির প্যাকেট খুচরা মূল্যে ১৮ টাকার পরিবর্তে ২৫ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাবের প্রতিবাদে বৃহত্তর রংপুর জেলা বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়ন মানববন্ধন করেন।
আজ বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ-২৪) সকাল ১১ টায় রংপুর নগরীর সুরভী উদ্যোনের সমানে বৃহত্তর রংপুর জেলা বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়ন মানবন্ধন করেন।
এ সময় বক্তারা বলেন, বিড়ি শিল্প দেশের প্রাচীন একটি শিল্প জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরেই স্বাধীনতা পরবর্তী সময় বিকশিত হয়েছিল এই শিল্পের। বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের প্রায় ২০০ টি বিড়ি কারখানা রয়েছে এসব বিড়ি কারখানায় এই অঞ্চলের অসহায়, হতদরিদ্র, স্বামী পরিত্যাক্তা, বন্যা কবলিত জনগণ, শারীরিক বিকলাঙ্গসহ কয়েক লাখ শ্রমিক কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। বিড়ি শ্রমিকদের দুর্দশা লাঘবের জন্য এবং তাদের কর্ম রক্ষার্থে শ্রমিকের মূল্য বৃদ্ধি সহ বিড়ি শিল্পের কোন ট্যাক্স না রাখার দাবি জানান।
বৃহত্তর রংপুর জেলা বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আমিন উদ্দিন বিএসসি বলেন, দেশীয় শ্রমিক বান্ধব শিল্প। কিন্তু সরকারের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা ব্রিটিশ আমেরিকা টোবাকোর দালালরা দেশের বিড়ি শিল্প সিগারেট ও বীর একই গোত্রভুক্ত হওয়ায় সত্ত্বেও দুটোর মধ্যে বৈষম্য বিরাজ করছে এবং বিড়িকে অসম প্রতিযোগিতায় বাধ্য করা হচ্ছে। আয়কর আইন ২০২৩ অনুযায়ী বিড়িতে অগ্রিম আয়কর ১০ শতাংশ আর সিগারেটের তিন শতাংশ। বিড়ির উপর দশ শতাংশ কর সমন্বয় যোগ্য নয় কিন্তু সিগারেটের ৩ শতাংশ কর সমন্বয় যোগ্য। বিড়ির কর ন্যূনতম কর কিন্তু সিগারেটের ক্ষেত্রে তা গণ্য হয়নি। বিড়ি দেশের শ্রমিক নির্ভর শিল্প হিসেবে এই শিল্পের উপর থেকে অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার করতে হবে বলেও জানা
তিনি আরোও বলে, অসমর শুল্কের ভারে বিড়ি মারিকরা কারখানা বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছে ফলে বিল কারখানা নিয়োজিত শ্রমিকরা কর্ম হারিয়ে পরিবার নিয়ে মানুষের জীবন যাপন করছে তাই দেশের উন্নয়নের স্বার্থে দেশের শ্রমজীবী মানুষের স্বার্থে বিড়ি শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি করা দাবি জানাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে।
মানববন্ধন থেকে বঙ্গবন্ধু আমলের বিড়ি শিল্পের কোন ট্যাক্স ছিল না তাই বর্তমানে বিড়ি শিল্পের উপরে কোন ট্যাক্স থাকবে না, অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার করতে হবে, বিদেশি কোম্পানি নিম্নস্তরে সিগারেট বন্ধ করতে হবে, বিড়ি শিল্পের শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি করতে হবে। এই চারটি দাবি তুলে ধরেন তারা এই দাবি মানা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা দিবে সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, বৃহত্তর রংপুর জেলা বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আমিন উদ্দিন বিএসসি, সাধারণ সম্পাদক হেরিক হোসেন, সহ-সভাপতি জামিল আক্তার, লুৎফর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল গফুর, আবুল হাসাল লাভলু, সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম হোসেন, শ্রমিক নেতা আনোয়ার হোসেন।
পরে মানববন্ধন শেষে প্রধানমন্ত্রীর বরাবর রংপুর জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন বৃহত্তর রংপুর জেলা বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ।