
উজ্জ্বল কুমার দাস (কচুয়া, বাগেরহাট) প্রতিনিধি।।
বাগেরহাটের কচুয়ায় হাজার হাজার মানুষের পদচারণার মধ্য দিয়ে মহা বারুণী স্নান উপলক্ষে জমজমাট মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।কবে থেকে এখানে বারুণী স্নান উৎসব অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে তার সঠিক কোন তথ্য কেউ বলতে না পারলেও লোকগাঁথা অনুযায়ী জানাযায়, ‘প্রাচীণকালে সূর্যবংশীয় রাজা সগরের ষাট হাজার পুত্র মহর্ষি কপিলের ক্রুদ্ধদৃষ্টিতে ভস্মীভূত হয়ে প্রেতরূপে আবদ্ধ হলে আত্মাকে উদ্ধারের জন্য তদীয় প্রপৌত্র ভগীরথ ব্রম্মার কৃপাধন্য হয়ে স্বর্গলোক থেকে পতিতপাবনী মা গঙ্গাকে পৃথিবীতে আনায়ন করেন। গঙ্গোত্রী হতে হরিদ্বার, ত্রিবেণী, এলাহাবাদ, বারানসী, নবদ্বীপ ও গঙ্গাসাগর হয়ে মায়ের আগমন ভৈরবের স্রোতধারায় এখানে মা গঙ্গা যাত্রা পথে নিজ হস্ত উত্তোলন করে তাঁর যাত্রার স্বাক্ষর রেখে যান। মায়ের অপ্রাকৃত দর্শন ও কৃপায় দ্রুতই এই স্থানটি এক পূণ্য তীর্থক্ষেত্রে পরিণত হয়ে ওঠে’।
সেই থেকে প্রতি বছর চৈত্র মাসের শুক্ল পক্ষের মধু কৃষ্ণা ত্রয়োদশীতে বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলার মঘিয়া ইউনিয়নের কাঁঠালিয়া গ্রামে এই মহা বারুনির পুণ্যস্নান অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। একে কেন্দ্র করেই ১দিন ব্যাপী বৃহত্তর মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। যদিও কালের পরিক্রমায় আগের সেই জৌলুশ এখন আর নেই। তাছাড়া সরকারি ভাবেও এখানে তেমন কোন উন্নয়ন বা ইতিহাস সংরক্ষণের চেষ্টা করা হয়নি। স্থানীয়দের দাবি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের এ পূণ্য তীর্থক্ষেত্রটি সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সংরক্ষণ ও উন্নয়ন করা হয়।