
আব্দুল্লাহ আল মামুন যশোর জেলা প্রতিনিধি:
মণিরামপুর উপজেলার মুক্তারপুর গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে বিএনপির নেতা আজিজুর রহমান কে চাঁদা না দেওয়ায় মারপিট করে প্রতিবন্ধী ইজিবাইক চালক আক্তারুল ইসলামকে। ঘটনাটি ঘটেছে ঈদের দুইদিন আগে।
আহত আক্তারুল ইসলাম মারপিটের স্বীকার হয়ে স্থানীয় ডাক্তারের নিকট চিকিৎসা নিলেও বুকে ব্যাথা কম না হলে মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়েছে। ডাক্তার বিভিন্ন পরিক্ষা নিরীক্ষা করে জানায় বুকে রক্ত জমাট ও একটি পাজড়ের হাঁড় আঘাত লেগে বুকে ব্যাথা হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাকড়া পারবাজার থেকে রাজাগঞ্জ রোডে ইজিবাইক চালিয়ে ৬ জন সদস্যের সংসার চালে প্রতিবন্ধী আক্তারুল ইসলামের। এই রোডে বাইক চালাতে গেলে ঘটনা স্থান বাঁকড়া পারবাজারে দিতে হয় ২০ টাকা ও রাজগঞ্জ স্টান্ডে দিতে হয় ৩০ টাকা চাঁদা। না দিলে এই সড়কে বাইক চালাতে দেয় না তারা।
বাকড়া পারবাজার টু রাজগঞ্জ রোডের বাকড়া পারবাজার রোডের সভাপতি বিএনপির নেতা জুলু মিয়া ও স্ট্যাটার বিএনপির নেতা রিপন হোসেন বলেন, প্রতিবন্ধী আক্তারুল ইসলামকে মারপিটের ঘটনাটি দুঃখ জনক ঝাপা ফাঁড়িতে একটি অভিযোগ দিয়েছে আক্তারুল ইসলাম, ফাঁড়ির ইনচার্জ সহ আমরা স্থানীয় ভাবে বৈঠকের মাধ্যমে মিমাংসা করার চেষ্টা করছি। কিন্তু ২০ টাকা চাঁদা রোড ভর্তি ফি ২ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন। রাজগঞ্জের স্টাটার মিজানুর রহমান কে ফোন দিলেও তিনি ফোন টি রিসিভ করেনি। তবে চাঁদা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন একাধিক ইজিবাইক চালক।
আহত প্রতিবন্ধী আক্তারুল ইসলাম এবিষয়ে ঝাঁপা ফাঁড়িতে একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। ঝাপা ফাড়ি ইনচার্জ সাব – ইন্সপেক্টর সঞ্চিত জানায়, একটি অভিযোগ পেয়েছি, আমরা এবিষয়ে তদন্ত মূলক ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
এবিষয়ে জানতে চাইলে মণিরামপুর থানার ইনচার্জ এবিএম মেহেদী মাসুদ বলেন, আমি ঘটনার বিষয়ে কিছু জানিনা, মাত্র জানতে পেরেছি, অভিযোগ পেলে অবশ্যই তদন্ত আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
ভুক্তভোগী আক্তারুল ইসলাম বলেন, আমি প্রতিবন্ধী ইজিবাইক চালিয়ে কোন রকম সংসার চলে তার মধ্যে ওদের কে চাঁদা দেয়া আমার পক্ষে সম্ভব না গাড়ি চালালে দিনে ৫০ টাকা চাঁদা দেয়া লাগে তারপরও বাড়তি দুই হাজার টাকা আমার কাছে দাবি করে আমি দিতে অস্বীকার করলে আজিজুর আমাকে উল্টো পাল্টা মারপিট করে আমি প্রশাসনের নিকট সঠিক বিচার চাই।