
নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানীর বিমানবন্দর সংলগ্ন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বেপরোয়া গতিতে চলমান রাইদা পরিবহনের বাসের চাপায় পিষ্ট হয়ে সিভিল এভিয়েশনের ইঞ্জিনিয়ার মাইদুল ইসলামের নির্মম মৃত্যুর ঘটনায় ঘাতক বাস ড্রাইভার হাসান মাহমুদ হিমেল (২৫)‘কে র্যাব-১ ও র্যাব-৮ এর যৌথ অভিযানে ২৪ ঘন্টার মধ্যে বরিশালের হিজলা থেকে গ্রেফতার।
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সবসময় বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতার এবং হত্যার রহস্য উদঘাটনে অত্যন্ত অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে।
এছাড়াও র্যাবের সৃষ্টিকাল থেকে এ পর্যন্ত অপহরণকারী, সন্ত্রাসী, দূর্ঘটনা ঘাতক, এজাহারনামীয় আসামী, ছিনতাইকারী, চাঁদাবাজ, প্রতারকচক্র, ধর্ষণকারী, পর্ণোগ্রাফি বিস্তারকারী, চোরাকারবারীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বিশেষত সাম্প্রতিক সময়ে অনেকগুলো চাঞ্চল্যকর হত্যা ঘটনার আসামীদের গ্রেফতারে অগ্রগন্য ভূমিকা পালন করে আসছে র্যাব।
গত ১৯ এপ্রিল ২০২৪ খ্রিঃ তারিখ সকাল আনুমানিক ১০.০০ ঘটিকার সময় রাজধানীর বিমানবন্দর থানাধীন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সামনে হযরত শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর তৃতীয় টার্মিনালের নির্মানাধীন অস্থায়ী বাউন্ডারি ভেঙে রাইদা পরিবহন এর একটি বাস দূর্ঘটনা ঘটায়।
এসময় রাইদা পরিবহনের বাসটি একই দিকে গমনকারী মোটরসাইকেল চালিয়ে যাওয়া সিভিল এভিয়েশন এর উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাইদুল ইসলাম সিদ্দিকীকে মোটরসাইকেল সহ চাপা দিয়ে তৃতীয় টার্মিনালের নিরাপত্তা বাউন্ডারি ভেঙে ভেতরে ঢুকে যায়।
পরবর্তীতে দূর্ঘটনাস্থল হতে গুরুহত আহত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন মাইদুল ইসলাম সিদ্দিকীকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে।
নৃশংসভাবে হত্যাকারী ঘাতক ড্রাইভার মাহমুদ হাসান এবং হেলপার ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। দূর্ঘটনাটি ঘটার সংবাদ পাওয়া মাত্র র্যাব-১ এর চৌকসদল উক্ত ঘটনার তদন্তে বেরিয়ে পড়ে। উক্ত নৃশংস হত্যাকান্ডটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে এবং বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও প্রিন্ট ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ায় গুরুত্বের সাথে প্রচারিত হয়।
পরবর্তীতে এই হত্যাকান্ডের আসামীদের আইনের আওতায় আনার জন্য র্যাব-১ এবং র্যাব-৮ এর আভিযানিক দল ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং জরুরীভাবে আসামী গ্রেফতারের জন্য গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।
এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ২০ এপ্রিল ২০২৪ তারিখ আনুমানিক ভোর ০৫.০০ ঘটিকার সময় র্যাব-১ এবং র্যাব-৮ এর আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, উক্ত ঘটনার ঘাতক ড্রাইভার হাসান মাহমুদ হিমেল বরিশাল জেলার হিজলা থানাধীন হরিনাথপুর এলাকায় আত্বগোপনে আছে।
উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১ এবং র্যাব-৮ এর আভিযানিক দলটি বরিশাল জেলার হিজলা থানাধীন হরিনাথপুর এলাকায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করে এই হত্যাকান্ডের ঘাতক ড্রাইভার আসামী হাসান মাহমুদ হিমেল (২৫), পিতা-মোঃ হারুন অর রশিদ, থানা-হিজলা, জেলা-বরিশাল‘কে গ্রেফতার করা হয়। এসময় ধৃত আসামীর নিকট হতে ০১টি মোবাইল ফোন ও নগদ ১০০/- টাকা উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, এ ধরনের বাস চালানোর জন্য তার যথাযথ লাইসেন্স ছিলো না বলে মর্মে স্বীকার করে এছাড়াও গাড়ীর ফিটনেস সংক্রান্ত কাগজপত্র ছিলো না বলে ও প্রাথমিক তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়।গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।