
বিশেষ প্রতিনিধি: সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে জনস্বার্থে প্রতিবাদ করতে রাস্তার মোড়ে ঝুঁকি পূর্ণ ভাবে মসজিদের কালেকশন নিয়ে আপত্তি ও সড়ক দুর্ঘটনা রোধে স্হানীয় পুলিশ প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করায় দূর্বৃত্তদের রোষানলে পড়েছেন প্রতিবাদকারি শিক্ষক। ব্যস্ততম রাস্তার মোড়ে কালেকশন কারীরা ধর্মীও অনুভূতি কে কাজে লাগিয়ে মিথ্যা অপ প্রচারে লিপ্ত হয়েছে।
পার্বতীপুর উপজেলার ১০ নং হরিরামপুর ইউনিয়নের খাগড়াবন্দ গ্রামের প্রধান শিক্ষক কে নিয়ে কুচক্রীমহলের অপ প্রচারে বিব্রোতকর পরিস্থিতিতে সমাজ সচেতন মহল তীব্র নিন্দা জানিয়ে মিথ্যাচারকারিদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছেন। মিথ্যাপ্রচারনা চালিয়ে বাসার সামনে একদল উশৃংখল দূর্বৃত্ত সংঘবদ্ধ দুস্কৃতকারি অবস্হান নিয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে কুরুচিপূর্ণ শ্লোগান দিয়ে ক্ষতি সাধন সহ অনুপ্রবেশের চেষ্টার ঘটনায় ১১জনকে চিন্হিত করে নিকটবর্তী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে জিডি নথিভুক্ত হয়েছে যার নং ৫৮৬ তারিখ ২৩/০৪/২৪ইং।
জানা গেছে, পবিত্র ঈদুল ফিতরের পূর্বে এবং পরবর্তী সময়ে খাগড়াবন্দ শুয়োর কাটি নামক স্হানে ব্যাস্ততম রাস্তার টার্নিং মোড়ে দীর্ঘ দিন ধরে মসজিদের কালেকশন সড়ক দুর্ঘটনা রোধে স্হানীয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ নিয়ে প্রধান শিক্ষকের ছোট্ট ১ টি পোস্ট কে কতিপয় ধর্মান্ধ ভিন্ন ভাবে উপস্থাপন করে বিভ্রান্তি মুলক অপ প্রচার ছড়িয়ে ফায়দা হাসিলের চেষ্টায় তৎপর হয়। ব্যস্ততম রাস্তার মোড়ে ঝুঁকি পূর্ণ ভাবে ছোট বাচ্চাদের দিয়ে মসজিদের কালেকশন নিয়ে পথচারীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এবং সড়কে দুর্ঘটনা রোধে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন প্রধান শিক্ষক খন্দকার হাবিবুর রহমান।
বিষয়টিকে কয়েকজন দুষ্ট প্রকৃতির লোক ইন্ধন দিয়ে অপপ্রচার চালিয়ে মিথ্যাচারের আশ্রয় নেয় এবং সন্মানিত প্রধান শিক্ষক কে হেয়প্রতিপন্য করার লক্ষে গত ১৪ এর্প্রিল /২৪ইং সকাল ৯.৩০ মিনিটে ধর্মান্ধ ২৫/৩০ জনের সংঘবদ্ধ উৎশৃক্ষল পুরুষ মহিলা ও শিশুদের নিয়ে উস্কানিমূলক ভাবে প্রধান শিক্ষকের আইডি থেকে ছবি ডাউনলোড করে পোস্টার প্লে- কার্ড তৈরি করে মানহানিকর উস্কানিমূলক অসম্মানজনক কুরুচিপূর্ণ শ্লোগান দিয়ে তাঁর বাসার সামনে অবস্থান নিয়ে ক্ষতি সাধন সহ অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে।
বিষয় টি তাৎক্ষণিকভাবে মধ্যপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র ইনচার্জ কে মোবাইল ফোনে অবহিত করলে পুলিশ এবং মহল্লাবাসী ঘটনা স্হলে পৌঁছিলে দূর্বৃত্তের দল সটকে পড়ে। পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে প্রধান শিক্ষকের সামাজিক মর্যাদা ক্ষুন্ন করার হীন মানসিকতায় দূর্বৃত্তরা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে বলে সচেতন মহল মনে করেন।
এ বিষয়ে খাগড়াবন্দ গ্রামের মৌলভীর ডাঙ্গা শাহী জামে মসজিদের সভাপতি ও মৌলভীর ডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানান, ধর্মীয় অনুভূতি কে কাজে লাগিয়ে ওরা অহেতুক আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও বানোয়াট প্রচারনা চালিয়ে আমার সামাজিক মর্যাদা হানির অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। আমি কখনোই তাদের মসজিদের কালেকশন নিয়ে আপত্তি তুলি নি। আমার প্রস্তাব ছিল দীর্ঘদিন নয় সীমিত সময়ের জন্য নিয়মতান্ত্রিকভাবে দূর্ঘটনার ঝুঁকি এড়িয়ে কালেকশন করা বান্চনীয়। অনেকেই সঠিকটা না জেনে কারো প্ররোচনায় সংঘবদ্ধভাবে সন্ত্রাসী কায়দায় আমার বাসার সামনে অবস্থান নিয়েছিল তাদের ছবি ও ভিডিও নিয়েছি এবং তারই আলোকে কয়েক জনের নামে জিডি করেছি।
যেহেতু ওরা আমার নিকট প্রতিবেশী তাই তাদের প্রতি আমার ক্ষোভ নেই। তবে যারা সাধারণ মানুষকে ভুল বুঝিয়ে ইন্ধন দিয়ে সংঘবদ্ধ ভাবে মিথ্যা প্রচারনা চালিয়েছে এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন অমান্য করেছে তারা দ্বায় এড়াতে পারেন না। যাদের ইন্ধনে ও নেতৃত্বে অসম্মানজনক অশান্ত পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছিল তাদের মানহানিকর কর্মকান্ডের ডকুমেন্ট হাতে এসেছে এ জন্য সাইবার অপরাধে মামলা সময়ের ব্যাপার মাত্র।
মৌলভীর ডাঙ্গা মহল্লার বাসিন্দা আমেজ উদ্দিন অহিদুল ইসলাম লালমিয়া মহসিন আলী জানান, ওই মসজিদের কালেকশনের নামে দীর্ঘদিন হতে যা চলছে তা সাধারণ মানুষের জন্য অত্যন্ত বিব্রোতকর এবং প্রতিনিয়ত চরম শব্দ দূষণ লংঘন। এ ভাবে মসজিদ উন্নয়নের নামে যা হচ্ছে তা গ্রহন যোগ্য নয়। হাবিব মাষ্টার একজন প্রতিবাদী মানুষ তিনি যা করেছেন সঠিক কাজ করেছেন এবং সামাজিক দ্বায়বদ্ধতা থেকেই করছেন।
এদিকে ইউনিয়ন জাপা সভাপতি ডাঃ আরিফুল ইসলাম জানান, খন্দকার হাবিবুর রহমান হাবিব শুধু একজন মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষক নন তিনি নব্বইয়ের দশক থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত জাতির বিবেক আপোষহীন ক্ষুরধার সাংবাদিক হিসাবে অপরাধী চক্রের মুখোশ উন্মোচন করেছেন। পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন সামাজিক মানবিক জনকল্যাণমুখী সংগঠন সহ মধ্যপাড়া উপজেলা বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ও রুপকার। সন্মানিত ব্যক্তিকে অমানুষ গুলো অসম্মান করতে চায় কিন্তু কাউকে অসম্মান করে ভালো কাজ থামানো যায় না।
এ বিষয়ে বিশিষ্ট সাংবাদিক আতিকুর রহমান আতিক স্হানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ডাঃ আঃ আলিম শাহ রাজু আবু হানিফ আব্দুল গনি মিয়া জুল হক রজব ঊদ্দিন বলেন, সন্মানিত ব্যক্তিকে নিয়ে অপপ্রচারনা সহ মিথ্যাচারের জন্য অবশ্যই অপরাধী চক্রকে কঠোর আইনের আওতায় আনা বান্চনীয়। কারো বিনা অনুমতিতে তাঁর আইডি থেকে ছবি নিয়ে অসম্মান জনক প্রচারনার কঠিন শাস্তির বিধান রয়েছে। তাছাড়া প্রশাসনের পূর্বানুমতি ছাড়া সংঘবদ্ধভাবে সমবেত হওয়া কিংবা মিছিল মিটিং করা চরম ভাবে আইনের লংঘন এ ব্যাপারে পুলিশ প্রশাসনের তৎপরতা জোরদার করা আবশ্যক।