
কাউখালী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি।
পিরোজপুরে কাউখালীতে দিনের পর দিন বাড়ছে অপমৃত্যুর প্রবণতা। গত এক মাসে উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে শিশু, ছাত্র থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত ৬ জনের অপমৃত্যু হয়েছে।
এলাকাবাসী, পারিবারিক ও থানা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার আমরাজুরী ইউনিয়নের দক্ষিণ আমরাজুড়ি গ্রামের মৃত্যু আফজাল বেপারীর ছেলে রফিক বেপারী (৫০) গত ৬ এপ্রিল কীটনাশক পান করে মারা যায়, উপজেলা সদর ইউনিয়নের বাসুরী গ্রামের মৃত্যু জলিল উদ্দিন এর ছেলে হেলাল উদ্দিন (৭০) গত ৮ এপ্রিল গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করে, একই দিন উপজেলার সদর ইউনিয়নের দাসেরকাঠি গ্রামের রবিউল ইসলাম ডাকুয়ার তিন বছরের মেয়ে রুবাইয়া পানিতে ডুবে মারা যায়, উপজেলার পারসাতুরিয়া ইউনিয়নের পারসাতুরিয়া গ্রামের মনিরুজ্জামানের কলেজ পড়ুয়া ছেলে সানি (১৮) গত ২৩ এপ্রিল গলার রশি দিয়ে আত্মহত্যা করে, উপজেলার সয়না রঘুনাথপুর ইউনিয়নের পূর্ব শিষা গ্রামের সোহেল হোসেনের দেড় বছরের ছেলে মোরসালিন ২৪ এপ্রিল পানিতে ডুবে মারা যায়।
এছাড়া উপজেলার আমরাজুরি ইউনিয়নের গন্তব্য গ্রামের মৃত্যু নিরঞ্জন বরণ বড়ালের স্ত্রী সবিতা রানী বড়াল (৭০) সোমবার ৬মে পাশের বাড়ির শ্যামলী বড়ালের ঘরে রাতে মারা যায়।
অপমৃত্যু সম্পর্কে কাউখালী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি কাউখালী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুব্রত রায় বলেন, মানুষের আচরনিক পরিবর্তন ঘটায় এবং পারিবারিকভাবে হতাশার কারণে অপমৃত্যুর অন্যতম কারণ হতে পারে।
কাউখালী উপজেলা মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নারী নেত্রী সাহিদা হক বলেন, সামাজিক, পারিবারিক অশান্তি, হতাশা সহ বিভিন্ন কারণে এ ধরনের দুর্ঘটনা করতে পারে।
কাউখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হুমায়ুন কবির বলেন, গত এক মাসে কাউখালী থানায় ছয়টি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। কীটনাশক পান করে ও গলায় রশি দিয়ে যারা আত্মহত্যার করেছে তাদের লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।